০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অনলাইনে বিমানের টিকিট বিক্রি শুরু

৬ মাস ১৮ দিন পর চালু হলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ওয়েবসাইটে টিকিট বিক্রি। আজ রোববার সকাল থেকেই যাত্রীরা অনলাইনে টিকিট কেনা, বুক দেওয়া ও ওয়েবসাইটে হলিডে–সম্পর্কিত সেবা পাচ্ছেন। তবে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এসব সেবা পেলেও মুঠোফোন অ্যাপ্লিকেশন এখনই চালু হচ্ছে না।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস জানিয়েছে, তাদের নতুন প্যাসেঞ্জার সার্ভিস সলিউশন (পিএসএস) চালু হয়েছে। বর্তমান পিএসএস ‘সিটা’ থেকে ভিন্ন আরেক প্রতিষ্ঠান ‘সেবর’ কার্যক্রমে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেবর নামের এ সেবার মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কাটা, বুকিং, চেক-ইন, ওয়েব সার্ভিসসহ নানা সেবা রোববার সকাল থেকেই যাত্রীরা অনলাইনে পাচ্ছেন।

গত বছরের ১০ আগস্ট থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিমানের টিকিট কাটার ব্যবস্থা বন্ধ ছিল। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। তবে দেশি-বিদেশি বিক্রয়কেন্দ্র, অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সি ও বিমান কল সেন্টারের মাধ্যমে টিকিট কেনা যাচ্ছিল।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, পিএসএস সিটা থেকে তথ্যভান্ডার সেবরে স্থানান্তর করার কাজ শুরু হয় ২৬ ফেব্রুয়ারি বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে। প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা বিমানের সব চ্যানেল থেকে টিকিট বুকিং, রিজার্ভেশন ও টিকিট ইস্যু–সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে এ সময়ে বিশেষ ব্যবস্থায় ফ্লাইটের সূচি অনুযায়ী এয়ারপোর্টের চেক-ইনসহ বিমান পরিবহনসংক্রান্ত কার্যক্রম চালু রাখা হয়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার জানিয়েছেন, নতুন প্যাসেঞ্জার সার্ভিস সলিউশন চালু হওয়ায় বিমানের টিকিটিং ব্যয় কমেছে। একই সঙ্গে যাত্রীরা অনলাইনে আরও বেশি বিমানের সেবা গ্রহণ, টিকিট পরিবর্তন ও রিফান্ডের সুযোগ পাবেন।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, বিমানের ওয়েবসাইটে এখন থেকে যাত্রীরা টিকিট যেমন বুকিং করতে পারবেন, পাশাপাশি কোন সিটে বসতে চান, সেটিও নির্ধারণ করতে পারবেন। টিকিট কাটতে ব্যাংকের পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও টাকা পরিশোধ করা যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, ২০১৯ সালে ট্রাভেল শপ নামের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপে টিকিট বিক্রির দায়িত্ব দেয় বিমান। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২১ সালের ১০ আগস্ট থেকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বন্ধ হয়ে যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের টিকিট বিক্রি। বিমান সার্ভারের ভাড়া পরিশোধ করছে না, অভিযোগ তুলে সেবা বন্ধ করে দেয় ট্রাভেল শপ।

তবে ট্রাভেল শপের দক্ষতাকে দায়ী করে চুক্তি বাতিল করে বিমান। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে মোবাইল অ্যাপসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে টিকিটিং ছাড়াও নতুন প্যাসেঞ্জার সার্ভিস সলিউশন (পিএসএস) চালু করতে দায়িত্ব দেওয়া হয় সেবর করপোরেশনকে। চুক্তির আওতায়, সেবর পিএসএসের মাধ্যমে বিমানের টিকিটিং ব্যবস্থাকে ডিজিটালে রূপান্তর, রাজস্ব বৃদ্ধি ও যাত্রীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কাজ করছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে যেতে গ্রাহকের চাহিদা বিবেচনা করে বিমানের ফ্লাইট প্ল্যান তৈরিসহ বাণিজ্যিক কার্যক্রমও উন্নত করতে সহায়তা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

অনলাইনে বিমানের টিকিট বিক্রি শুরু

প্রকাশিত : ০৩:৫০:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

৬ মাস ১৮ দিন পর চালু হলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ওয়েবসাইটে টিকিট বিক্রি। আজ রোববার সকাল থেকেই যাত্রীরা অনলাইনে টিকিট কেনা, বুক দেওয়া ও ওয়েবসাইটে হলিডে–সম্পর্কিত সেবা পাচ্ছেন। তবে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এসব সেবা পেলেও মুঠোফোন অ্যাপ্লিকেশন এখনই চালু হচ্ছে না।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস জানিয়েছে, তাদের নতুন প্যাসেঞ্জার সার্ভিস সলিউশন (পিএসএস) চালু হয়েছে। বর্তমান পিএসএস ‘সিটা’ থেকে ভিন্ন আরেক প্রতিষ্ঠান ‘সেবর’ কার্যক্রমে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেবর নামের এ সেবার মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কাটা, বুকিং, চেক-ইন, ওয়েব সার্ভিসসহ নানা সেবা রোববার সকাল থেকেই যাত্রীরা অনলাইনে পাচ্ছেন।

গত বছরের ১০ আগস্ট থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিমানের টিকিট কাটার ব্যবস্থা বন্ধ ছিল। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। তবে দেশি-বিদেশি বিক্রয়কেন্দ্র, অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সি ও বিমান কল সেন্টারের মাধ্যমে টিকিট কেনা যাচ্ছিল।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, পিএসএস সিটা থেকে তথ্যভান্ডার সেবরে স্থানান্তর করার কাজ শুরু হয় ২৬ ফেব্রুয়ারি বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে। প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা বিমানের সব চ্যানেল থেকে টিকিট বুকিং, রিজার্ভেশন ও টিকিট ইস্যু–সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে এ সময়ে বিশেষ ব্যবস্থায় ফ্লাইটের সূচি অনুযায়ী এয়ারপোর্টের চেক-ইনসহ বিমান পরিবহনসংক্রান্ত কার্যক্রম চালু রাখা হয়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার জানিয়েছেন, নতুন প্যাসেঞ্জার সার্ভিস সলিউশন চালু হওয়ায় বিমানের টিকিটিং ব্যয় কমেছে। একই সঙ্গে যাত্রীরা অনলাইনে আরও বেশি বিমানের সেবা গ্রহণ, টিকিট পরিবর্তন ও রিফান্ডের সুযোগ পাবেন।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, বিমানের ওয়েবসাইটে এখন থেকে যাত্রীরা টিকিট যেমন বুকিং করতে পারবেন, পাশাপাশি কোন সিটে বসতে চান, সেটিও নির্ধারণ করতে পারবেন। টিকিট কাটতে ব্যাংকের পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও টাকা পরিশোধ করা যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, ২০১৯ সালে ট্রাভেল শপ নামের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপে টিকিট বিক্রির দায়িত্ব দেয় বিমান। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২১ সালের ১০ আগস্ট থেকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বন্ধ হয়ে যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের টিকিট বিক্রি। বিমান সার্ভারের ভাড়া পরিশোধ করছে না, অভিযোগ তুলে সেবা বন্ধ করে দেয় ট্রাভেল শপ।

তবে ট্রাভেল শপের দক্ষতাকে দায়ী করে চুক্তি বাতিল করে বিমান। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে মোবাইল অ্যাপসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে টিকিটিং ছাড়াও নতুন প্যাসেঞ্জার সার্ভিস সলিউশন (পিএসএস) চালু করতে দায়িত্ব দেওয়া হয় সেবর করপোরেশনকে। চুক্তির আওতায়, সেবর পিএসএসের মাধ্যমে বিমানের টিকিটিং ব্যবস্থাকে ডিজিটালে রূপান্তর, রাজস্ব বৃদ্ধি ও যাত্রীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কাজ করছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে যেতে গ্রাহকের চাহিদা বিবেচনা করে বিমানের ফ্লাইট প্ল্যান তৈরিসহ বাণিজ্যিক কার্যক্রমও উন্নত করতে সহায়তা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ