ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি জনবান্ধব নাগরিক সেবা হলো পুলিশ ক্রিয়ারেন্স সেবা। নাগরিকদের বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে সেবাটি প্রয়োজন হয়ে থাকে। অনলাইনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ফর্ম পূরন করে ব্যাংকে টাকা জমা করতঃ সেবাটি অত্যান্ত সরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। নাগরিক এ সেবাটি ডিএমপি অত্যন্ত সুনাম এবং স্বচ্ছতার সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রদান করছে।
সম্প্রতি পল্টন মডেল থানায় অনলাইনে পূরনকৃত কিছু আবেদন যাচাই বাছাইকালে আবেদনে প্রদত্ত ঠিকানা ভুয়া পরিলক্ষিত হয়। গত ২০ এপ্রিল ২০২২ খ্রিঃ তারিখ ১নং আসামী মোঃ মাসুদ মিয়া পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি, ঢাকা বরাবর অনলাইনে একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেন। যার রেফারেন্স নম্বর-২২০৪১৯৩২৬৫, তারিখ- ২০ এপ্রিল ২০২২। উক্ত পুলিশ ক্লিয়ারেন্সটি তদন্তকালে আবেদনে সাথে সংযুক্ত অনলাইন ডকুমেন্ট সন্দেহ হওয়ায় তিনি মতিঝিল মহোদয়ের নির্দেশে বিষয়টি নিয়ে গোপনে তদন্ত কার্য পরিচালনা করা হয়।
উক্ত আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলের প্রত্যয়নপত্রটি যাচাই করে প্রত্যয়নপত্রটির স্বাক্ষর ও প্রত্যয়নপত্রটি সঠিক নয় মর্মে ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিখিতভাবে জানান। যাহার প্রেক্ষিতে গত ৩১ মে ২২ ইং বিকাল অনুমান ৪.ঘটিকায় আসামী মোঃ মাসুদ মিয়া (৪৮)কে শেরে ই-বাংলা নগর থানাধীন ফার্মগেট এলাকা হতে ধৃত করা হয়। তাহার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২নং আসামী কামাল হোসেন (৪৮)কে গত ৩১ মে ২২ ইং সন্ধ্যা ৬. ঘটিকায় দিলক্ষেত এলাকা হতে ২ আসামী নেওয়া তথ্যে ভিত্তিতে ৩ নং আসামী মোঃ গোলাম কিবরিয়া (৫৩)কে গত ৩১ মে ২২ ইং তারিখ সন্ধ্যা ৮. ঘটিকায় কেরানীগঞ্জ এলাকা হতে ধৃত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ২নং আসামীর নামে নরসিংদী জেলার মাধবদী থানায় একাধিক মামলা থাকায় সে বিদেশ গমনের জন্য পল্টন মডেল থানার ঠিকানা ব্যবহার করে পল্টন মডেল থানা হতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সংগ্রহের জন্য আসামী মোঃ কামাল হোসেন (৪৮) কে ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা চুক্তিতে পাসপোর্ট প্রদান করে। আসামী মোঃ কামাল হোসেন ২৮,০০০/- (আটাশ হাজার) টাকা চুক্তিতে আসামী মোঃ খোলাম কিবরিয়া (৫৩)কে ১নং আসামীর পাসপোর্ট প্রদান করে। এজাহার নামীয় ধৃত ও পলাতক আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে মূল পাসপোর্টের তথ্য পাতা স্ক্যান করে জরুরী যোগাযোগের ঠিকানা কম্পিউটারের মাধ্যমে এডিট করে পল্টন মডেল থানার একটি ঠিকানা ব্যবহার করে এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ভুয়া প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত করে। পাসপোর্ট ধারীর ঠিকানা পরিবর্তন ও এডিটকৃত পাসপোর্টের ফটোকপিতে জাল সীল মোহর ও জাল স্বাক্ষর করিয়া সত্যায়নকারী ডাক্তারের সীল ও স্বাক্ষর তৈরি করিয়া সত্যায়নপূর্বক পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য অনলাইনে আবেদন করে। আসামীগন দীর্ঘদিন যাব ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সনদপত্র, জাল সীল মোহর তৈরী করিয়া পাসপোর্টধারীর ঠিকানা পরিবর্তন করতা এডিটকৃত পাসপোর্টের ফটোকপিতে ফ্রাল সীল মোহর ও স্বাক্ষর করিয়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানার ০১ জুন ২২ ইং মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-৮২০/৮৬৭/৮৬৮/৪৭১/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান গ্রেফতারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক এবং জালিয়াত চক্র। এ চক্রটি দীর্ঘদিন মানুষকে বিভ্রান্ত করে ভুল বুঝিয়ে অর্থের বিনিময়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স তৈরী করে দিবে। মর্মে প্রভাবনা করছিল। চক্রটি কিছুদিন আগে ছয়টি ভুয়া আবেদন করেছিল যা পল্টন থানা কর্তৃক প্রত্যাখাত হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এর সার্বিক দিক নির্দেশে মতিঝিল বিভাগ তথা ডিএমপির প্রতিটি বিভাগ স্বচ্ছতার সাথে অত্যন্ত দ্রুততার ও স্বল্প সময়ে সম্মানিত নাগরিকদের এ সেবাটি দীর্ঘদিন যাবৎ অব্যাহত রেখেছে। সম্মানিত নাগরিকদের সদয় জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য ব্যাংকে ৫০০ টাকা জমাকরন ব্যতিত অন্য কোন অর্থ প্রদান করার প্রয়োজন নেই। ডিএমপি এ ধরনের যে কোন প্রতারনা এবং জালিয়াতির বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর


























