১০:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কুমিল্লায় তারণ্যের ভেলকী দেখালেন কায়সার

তারণ্যের যে কি ক্ষমতা, কি যে শক্তি, তা কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দিখিয়ে দিয়েছেন সতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার। বলা চলে নির্বাচনী মাঠে এক ধরনের ভেলকী দিখিয়েছেন এই তরুন প্রজন্মের প্রার্থী। এই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল যখন ঘোষণা করা হয়, তখনও এই তরুন প্রার্থী সম্পর্কে কুমিল্লার খুব বেশি মানুষ জানতো না। রাজনীতির মাঠে পরিচিত হলেও, নির্বাচনী মাঠে তিনি ছিলেন একেবারেই অপরিচিত নতুন একটি মুখ।এমনকি যখন তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন, তখনও অনেকেই তাকে গণনার মধ্যেই রাখেননি। কিন্তু নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসে, তিনি তার তারণ্য, প্রজ্ঞা, ক্যারিশমা আর দক্ষতা দিয়ে ভোটারের, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের ভোটারের মন জয় করতে থাকেন। চলে আসেন আলোচনায়। নির্বাচনের দু’একদিন আগে কুমিল্লার রাজনৈতিক বোদ্ধারা ঠিকই টের পেয়ে যান যে, নিজাম উদ্দিন কায়সার মূল প্রতিদ্বন্ধিতার গন্ডিতে ঢুকে পড়েছেন।

তরুন প্রজন্মের প্রার্থী হিসেবে নতুন ভোটাররা তার নির্বাচনী ইশতেহার, বক্তব্য ও কথাবার্তা এমন ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন যে, তিনি অঘটনও ঘটিয়ে ফেলতে পারেন। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই কায়সারের ২৯ হাজার ভোট প্রাপ্তি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তফসিল ঘোষণার পরই নির্বাচনে প্রার্থিতার কথা জানান তিনি। অল্প সময়ের প্রচারে তার এই ভোট প্রাপ্তিতে অনেকে বিস্মিত হয়েছেন। মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লড়াইয়ের আড়ালে গণমাধ্যমেও খুব একটা প্রচার পাননি কায়সার। কিছু কিছু গণমাধ্যম তাকে অবহেলার দৃষ্টিতে দেখেছে, এমনকি প্রার্থী হিসেবে তার নামটি লিখতেও দ্বিধান্বিত ছিলেন। অনেক গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে চাইলেও তারা তাকে পাত্তা দেননি। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় উষ্মা প্রকাশ করেছেন তিনি। কুমিল্লার বেশির ভাগ মানুষ মনে করতেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দ্বিমুখী। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ও বিএনপি থেকে বহিস্কৃত সাবেক দুইবারের নির্বাচিত টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর মধ্যে।

এটা মনে করার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। আরফানুল হক রিফাত আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মী এবং কুমিল্লা সদর আসনের অত্যন্ত প্রভাবশালী এমপি বাহারের কর্মী। তিনি নিজেও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় নগরে তার রয়েছে বিশাল কর্মী বাহিনী। অপর দিকে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু সাবেক দুইবারের নির্বাচিত মেয়র। সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী প্রয়াত আকবর হোসেনের সমর্থক হওয়ায় শহরে তার ভাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। অথচ সকল হিসাব নিকাশ ভেঙেচুরে দেখা গেল ফলাফলে নিজামউদ্দিন তৃতীয় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হলেন। এ বিষয়টি সাবেক মেয়র মনিরুল আমলেই নেননি। গণমাধ্যমকর্মীরা যখন তার সঙ্গে বিএনপি ঘরানা থেকে একাধিক প্রার্থী কেন প্রশ্ন তুলেন, তখন তিনি বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন, নিজামউদ্দিনের কোনো সমর্থনই নেই। অথচ ভোটের হিসাব বলে দেয়, তার অবস্থান কতটা শক্ত ও পুক্ত । যেসব এলাকা বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত, সেসব এলাকায় তিনি বেশি ভোট পেয়েছেন।

নিজামউদ্দিন তার নির্বাচনী ইশতেহারে তরুণদের কর্মসংস্থান ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ের ব্যবস্থা করাসহ বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।তার এই প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাসে বিশ্বাস রেখেছে কুমিল্লার তরুন সমাজ। জাতীয়তাবাদী আদর্শের লোক, তরুণ ভোটার, সরকারবিরোধী অংশ এবং পরিবার, বন্ধু ও তাদের অনুসারীদের ভোট পেয়েছেন তিনি। তবে শেষ মুহূর্তে কালোটাকার ব্যবহার, নৌকা ঠেকাও, বাহার ঠেকাও স্লোগান দিয়ে চক্রান্তকারীরা ভোটারদের বিভ্রান্ত করে নিশ্চিত জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বলে মনে করেন কায়সার। তার বক্তব্য হচ্ছে- ‘সাক্কুর (মনিরুল হক) কারণে আমি হেরেছি। কারণ, বিএনপির আদর্শের সঙ্গে সাক্কু নেই কিন্তু বিএনপির পরিচয় ব্যবহার করে একটি অংশকে বিভ্রান্ত করে আমার ভোট নষ্ট করেছে।’ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার ২২ হাজার নতুন ভোটার ছিল। মেয়র নির্বাচনে এসব তরুণ ভোটাররাই ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে। নগরীর চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্রই এখন নির্বাচনি ফলাফল নিয়ে আলোচনা চলছে।

নতুন ভোটাররা জয়-পরাজয়ের চিত্র পালটে দিয়েছে। কুমিল্লা সিটিতে এবার মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এদের মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২ জন। ২০১৭ সালের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন। সে হিসাবে এবার নতুন ভোটার ২২ হাজার ৩৫৪ জন। নতুন ভোটারদের অধিকাংশই তরুণ। কায়সার মনে করেন নতুন ভোটারদের অধিকাংশই তাকে গ্রহণ করেছে এবং ভোট দিয়েছেন। বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। আরফানুল হক রিফাত নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি থেকে বহিস্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী, সদ্য বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কু টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট।

নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৯ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের রাশেদুল ইসলাম হাতাপাখা প্রতীকে ৩ হাজার ৪০ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান বাবু হরিণ প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৩২৯ ভোট। ভোটের এই ফলাফল বিশ্লেষণ করে অনেকে মনে করছেন তরুণ প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ভোটের মাঠে একটা শক্ত অবস্থান করে নিয়েছেন। এই নির্বাচনে তার অভিষেক ঘটলেও ভবিষ্যত পথ চলাকে আরও সহজ করে দিয়েছে। কুমিল্লার রাজনীতি বা নির্বাচনী ময়দানে এখন তাকে হিসাব করতেই হবে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

কুমিল্লায় তারণ্যের ভেলকী দেখালেন কায়সার

প্রকাশিত : ১২:০০:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০২২

তারণ্যের যে কি ক্ষমতা, কি যে শক্তি, তা কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দিখিয়ে দিয়েছেন সতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার। বলা চলে নির্বাচনী মাঠে এক ধরনের ভেলকী দিখিয়েছেন এই তরুন প্রজন্মের প্রার্থী। এই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল যখন ঘোষণা করা হয়, তখনও এই তরুন প্রার্থী সম্পর্কে কুমিল্লার খুব বেশি মানুষ জানতো না। রাজনীতির মাঠে পরিচিত হলেও, নির্বাচনী মাঠে তিনি ছিলেন একেবারেই অপরিচিত নতুন একটি মুখ।এমনকি যখন তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন, তখনও অনেকেই তাকে গণনার মধ্যেই রাখেননি। কিন্তু নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসে, তিনি তার তারণ্য, প্রজ্ঞা, ক্যারিশমা আর দক্ষতা দিয়ে ভোটারের, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের ভোটারের মন জয় করতে থাকেন। চলে আসেন আলোচনায়। নির্বাচনের দু’একদিন আগে কুমিল্লার রাজনৈতিক বোদ্ধারা ঠিকই টের পেয়ে যান যে, নিজাম উদ্দিন কায়সার মূল প্রতিদ্বন্ধিতার গন্ডিতে ঢুকে পড়েছেন।

তরুন প্রজন্মের প্রার্থী হিসেবে নতুন ভোটাররা তার নির্বাচনী ইশতেহার, বক্তব্য ও কথাবার্তা এমন ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন যে, তিনি অঘটনও ঘটিয়ে ফেলতে পারেন। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই কায়সারের ২৯ হাজার ভোট প্রাপ্তি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তফসিল ঘোষণার পরই নির্বাচনে প্রার্থিতার কথা জানান তিনি। অল্প সময়ের প্রচারে তার এই ভোট প্রাপ্তিতে অনেকে বিস্মিত হয়েছেন। মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লড়াইয়ের আড়ালে গণমাধ্যমেও খুব একটা প্রচার পাননি কায়সার। কিছু কিছু গণমাধ্যম তাকে অবহেলার দৃষ্টিতে দেখেছে, এমনকি প্রার্থী হিসেবে তার নামটি লিখতেও দ্বিধান্বিত ছিলেন। অনেক গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে চাইলেও তারা তাকে পাত্তা দেননি। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় উষ্মা প্রকাশ করেছেন তিনি। কুমিল্লার বেশির ভাগ মানুষ মনে করতেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দ্বিমুখী। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ও বিএনপি থেকে বহিস্কৃত সাবেক দুইবারের নির্বাচিত টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর মধ্যে।

এটা মনে করার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। আরফানুল হক রিফাত আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মী এবং কুমিল্লা সদর আসনের অত্যন্ত প্রভাবশালী এমপি বাহারের কর্মী। তিনি নিজেও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় নগরে তার রয়েছে বিশাল কর্মী বাহিনী। অপর দিকে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু সাবেক দুইবারের নির্বাচিত মেয়র। সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী প্রয়াত আকবর হোসেনের সমর্থক হওয়ায় শহরে তার ভাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। অথচ সকল হিসাব নিকাশ ভেঙেচুরে দেখা গেল ফলাফলে নিজামউদ্দিন তৃতীয় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হলেন। এ বিষয়টি সাবেক মেয়র মনিরুল আমলেই নেননি। গণমাধ্যমকর্মীরা যখন তার সঙ্গে বিএনপি ঘরানা থেকে একাধিক প্রার্থী কেন প্রশ্ন তুলেন, তখন তিনি বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন, নিজামউদ্দিনের কোনো সমর্থনই নেই। অথচ ভোটের হিসাব বলে দেয়, তার অবস্থান কতটা শক্ত ও পুক্ত । যেসব এলাকা বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত, সেসব এলাকায় তিনি বেশি ভোট পেয়েছেন।

নিজামউদ্দিন তার নির্বাচনী ইশতেহারে তরুণদের কর্মসংস্থান ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ের ব্যবস্থা করাসহ বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।তার এই প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাসে বিশ্বাস রেখেছে কুমিল্লার তরুন সমাজ। জাতীয়তাবাদী আদর্শের লোক, তরুণ ভোটার, সরকারবিরোধী অংশ এবং পরিবার, বন্ধু ও তাদের অনুসারীদের ভোট পেয়েছেন তিনি। তবে শেষ মুহূর্তে কালোটাকার ব্যবহার, নৌকা ঠেকাও, বাহার ঠেকাও স্লোগান দিয়ে চক্রান্তকারীরা ভোটারদের বিভ্রান্ত করে নিশ্চিত জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বলে মনে করেন কায়সার। তার বক্তব্য হচ্ছে- ‘সাক্কুর (মনিরুল হক) কারণে আমি হেরেছি। কারণ, বিএনপির আদর্শের সঙ্গে সাক্কু নেই কিন্তু বিএনপির পরিচয় ব্যবহার করে একটি অংশকে বিভ্রান্ত করে আমার ভোট নষ্ট করেছে।’ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার ২২ হাজার নতুন ভোটার ছিল। মেয়র নির্বাচনে এসব তরুণ ভোটাররাই ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে। নগরীর চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্রই এখন নির্বাচনি ফলাফল নিয়ে আলোচনা চলছে।

নতুন ভোটাররা জয়-পরাজয়ের চিত্র পালটে দিয়েছে। কুমিল্লা সিটিতে এবার মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এদের মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২ জন। ২০১৭ সালের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন। সে হিসাবে এবার নতুন ভোটার ২২ হাজার ৩৫৪ জন। নতুন ভোটারদের অধিকাংশই তরুণ। কায়সার মনে করেন নতুন ভোটারদের অধিকাংশই তাকে গ্রহণ করেছে এবং ভোট দিয়েছেন। বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। আরফানুল হক রিফাত নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি থেকে বহিস্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী, সদ্য বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কু টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট।

নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৯ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের রাশেদুল ইসলাম হাতাপাখা প্রতীকে ৩ হাজার ৪০ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান বাবু হরিণ প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৩২৯ ভোট। ভোটের এই ফলাফল বিশ্লেষণ করে অনেকে মনে করছেন তরুণ প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ভোটের মাঠে একটা শক্ত অবস্থান করে নিয়েছেন। এই নির্বাচনে তার অভিষেক ঘটলেও ভবিষ্যত পথ চলাকে আরও সহজ করে দিয়েছে। কুমিল্লার রাজনীতি বা নির্বাচনী ময়দানে এখন তাকে হিসাব করতেই হবে।