১১:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

পাকিস্তান নাকি হংকং সুপার ফোরের কোন দল ?

এশিয়া কাপের সুপার ফোরের জন্য আর একটি স্থান খালি। সবার আগে আফগানিস্তান, তারপর ভারত এবং তৃতীয় দল হিসেবে শ্রীলঙ্কা পরের পর্বে উত্তীর্ণ হয়েছে। আর একটি জায়গা বাকি, যেটা নিশ্চিত করতে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় ৮টায় শারজায় মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান ও হংকং। সহজ হিসাব, বিজয়ী দল যাবে সুপার ফোরে, পরাজিত দল ধরবে ফিরতি বিমান।

আইসিসির পূর্ণ সদস্য পাকিস্তান এবং সহযোগী হংকং। কাগজে কলমে নিশ্চিতভাবে ফেভারিট পাকিস্তান। এই ম্যাচে তাদেরই বলা হচ্ছে জায়ান্ট, কিন্তু হংকং- জায়ান্ট কিলার।

ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ কিংবা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বলছে পাকিস্তানের শক্তির কাছে ধ্বংস হয়ে যাবে হংকং। কিন্তু ২০ ওভারের ক্রিকেটে অঘটন ঘটাতে কতক্ষণ! ভারতের বিপক্ষে বুক চিতিয়ে লড়াই করা হংকং বেশ আত্মবিশ্বাসী। দলে আছে বাবর হায়াত, জিশান আলী ও স্কট ম্যাককেচনির মতো বিগ হিটার। আয়ুশ শুক্লা, ইশান খান ও ইয়াসিম মুর্তজা বল হাতে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরতে পারেন।

ধারণা করা হচ্ছে, হংকংয়ের বিপক্ষে গত বুধবার ভারত যেভাবে ইনিংস খেলেছে, সেভাবেই এগোবে পাকিস্তান। শুরুতে রক্ষণাত্মক থেকে মাঝামাঝি সময়ে আগ্রাসী ভূমিকায় শেষ সাত ওভারে ৯৮ রান তুলেছিল রোহিত শর্মারা। অবশ্য বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান দারুণ শুরু করলে মিডল অর্ডারের জন্য চাপ কম থাকবে। তাছাড়া পাকিস্তানের মিডল অর্ডার নিয়ে রয়েছে বেশ উদ্বেগ।

পাকিস্তান দলে নাসিম শাহের ফিটনেস নিয়ে রয়েছে দুশ্চিন্তা। সম্ভবত তার পরিবর্তে দলে খেলতে পারেন মোহাম্মদ হাসনাইন। আর ভারতের বিপক্ষে উজ্জীবিত পারফরম্যান্স করা হংকং একই দল নিয়ে মাঠে নামবে।

অবাক করা ব্যাপার হলো, পাকিস্তান এই বছর কোনও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিততে পারেনি। অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের সঙ্গে দুটি ম্যাচ খেলেই দুটোই হেরেছে। প্রথমবার এই ফরম্যাটে হংকংয়ের মুখোমুখি হয়ে বছরের প্রথম জয় না পেলে সেটা হবে পাকিস্তানের জন্য দুর্যোগ। একই সঙ্গে ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য হবে হতাশার, কারণ তারা আশায় আছে আরেকটি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখার। দেখা যাক, হংকং সেই আশায় জল ঢেলে দেয় কি না!

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

পাকিস্তান নাকি হংকং সুপার ফোরের কোন দল ?

প্রকাশিত : ০৫:১২:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২

এশিয়া কাপের সুপার ফোরের জন্য আর একটি স্থান খালি। সবার আগে আফগানিস্তান, তারপর ভারত এবং তৃতীয় দল হিসেবে শ্রীলঙ্কা পরের পর্বে উত্তীর্ণ হয়েছে। আর একটি জায়গা বাকি, যেটা নিশ্চিত করতে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় ৮টায় শারজায় মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান ও হংকং। সহজ হিসাব, বিজয়ী দল যাবে সুপার ফোরে, পরাজিত দল ধরবে ফিরতি বিমান।

আইসিসির পূর্ণ সদস্য পাকিস্তান এবং সহযোগী হংকং। কাগজে কলমে নিশ্চিতভাবে ফেভারিট পাকিস্তান। এই ম্যাচে তাদেরই বলা হচ্ছে জায়ান্ট, কিন্তু হংকং- জায়ান্ট কিলার।

ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ কিংবা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বলছে পাকিস্তানের শক্তির কাছে ধ্বংস হয়ে যাবে হংকং। কিন্তু ২০ ওভারের ক্রিকেটে অঘটন ঘটাতে কতক্ষণ! ভারতের বিপক্ষে বুক চিতিয়ে লড়াই করা হংকং বেশ আত্মবিশ্বাসী। দলে আছে বাবর হায়াত, জিশান আলী ও স্কট ম্যাককেচনির মতো বিগ হিটার। আয়ুশ শুক্লা, ইশান খান ও ইয়াসিম মুর্তজা বল হাতে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরতে পারেন।

ধারণা করা হচ্ছে, হংকংয়ের বিপক্ষে গত বুধবার ভারত যেভাবে ইনিংস খেলেছে, সেভাবেই এগোবে পাকিস্তান। শুরুতে রক্ষণাত্মক থেকে মাঝামাঝি সময়ে আগ্রাসী ভূমিকায় শেষ সাত ওভারে ৯৮ রান তুলেছিল রোহিত শর্মারা। অবশ্য বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান দারুণ শুরু করলে মিডল অর্ডারের জন্য চাপ কম থাকবে। তাছাড়া পাকিস্তানের মিডল অর্ডার নিয়ে রয়েছে বেশ উদ্বেগ।

পাকিস্তান দলে নাসিম শাহের ফিটনেস নিয়ে রয়েছে দুশ্চিন্তা। সম্ভবত তার পরিবর্তে দলে খেলতে পারেন মোহাম্মদ হাসনাইন। আর ভারতের বিপক্ষে উজ্জীবিত পারফরম্যান্স করা হংকং একই দল নিয়ে মাঠে নামবে।

অবাক করা ব্যাপার হলো, পাকিস্তান এই বছর কোনও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিততে পারেনি। অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের সঙ্গে দুটি ম্যাচ খেলেই দুটোই হেরেছে। প্রথমবার এই ফরম্যাটে হংকংয়ের মুখোমুখি হয়ে বছরের প্রথম জয় না পেলে সেটা হবে পাকিস্তানের জন্য দুর্যোগ। একই সঙ্গে ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য হবে হতাশার, কারণ তারা আশায় আছে আরেকটি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখার। দেখা যাক, হংকং সেই আশায় জল ঢেলে দেয় কি না!

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব