ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে আর কিছু দিন পর শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা, তাই ঘরে ঘরে দেবী দুর্গার আগমনীর বার্তা। এবার নবীনগরে ১২৬ টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য মূর্তি তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নবীনগরের মৃৎশিল্পীরা।
আগামী ১ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে শুরু হবে এ পূজা এবং ৫ অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এ অনুষ্ঠান। সনাতনী পঞ্জিকা অনুযায়ী, এবার মহালয়া হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। এবার দেবীর আগমন ঘটবে গজে চড়ে এবং গমন ঘটবে নৌকায়। তাই ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠী তিথিতে হবে বোধন ও ষষ্ঠী বিহিত পূজা। পর দিন ২ অক্টোবর মহাসপ্তমী পূজার মাধ্যমে শুরু হবে দুর্গাপূজার মূল অনুষ্ঠান। ৩ অক্টোবর মহাঅষ্টমী এবং ৪ অক্টোবর মহানবমী পূজা।
৫ অক্টোবর মহাদশমী বা বিজয়া দশমী অনুষ্ঠিত হবে। এ দিন প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। উপজেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপে ঘুরে দেখা যায়, কাদা-মাটি, বাঁশ, খড় দিয়ে শৈল্পিক ছোঁয়ায় গড়ে তোলা দেবীদুর্গার প্রতিমা তৈরিতে দিনরাত ব্যস্থ সময় পার করছেন প্রতিমা কারিগররা। প্রতিমা তৈরির কারিগর মনেন্দ্র পাল (৫৫) বলেন- প্রতি বছর এ সময় ৫০-৫৫টি পূজা মন্ডপের কাজ করে থাকি, এ বছর মাত্র ৩৫টি পূজা মন্ডপের কাজ করছি।
প্রতিটি প্রতিমার দাম ৪৫/৫০ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে কিন্তু অতীতের মত ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না, একই কথা বলেন বিজয় পাল ও বিভিন্ন পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ করতে আসা শিল্পীরা। নবীনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবু বিনয় চক্রবতী বলেন- করোনা ভাইরাসের কারণে এবার স্বাস্থ্যবিধির কঠোর নির্দেশনা নাই। নবীনগর থানার ওসি বলেন- পূজা মন্ডপ গুলোতে কঠোর নিরাপত্তা থাকবে। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটতে দেয়া হবে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একামুল সিদ্দিক জানান-আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশনা আসবে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব