বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে পূর্ণিমার প্রভাব থাকায় বিষখালী ও পায়রা নদীতে পানি বেড়ে বিপদসীমার উপর প্রবাহিত ও ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন মাছচাষিরা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সাগরে লঘুচাপ ও ভারী বর্ষনে পানি বৃদ্ধি পেয়ে এসব পুকুর তলিয়ে যায়।এতে বরগুনার ছয়টি উপজেলার অসংখ্য পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুরের সংখ্যা এখনো নির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছেনা।
গতকাল রোববার থেকে আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত ভারী বর্ষণ হওয়ায় সূর্যের আলোর দেখা মেলেনি বরগুনায়। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ ফুটের বেশি জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে।
আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়, স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্র বন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে নিম্নাঞ্চলগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ