০১:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

অতিরিক্ত বৃষ্টি ও নদীর পানির জোয়ারে বেড়িবাঁধে ফাটল, আতঙ্কে এলাকাবাসী

শ্যামনগরে টানা বৃষ্টি ও নদীতে অতিরিক্ত জোয়ারে বেড়িবাঁধে ফাটল, আতঙ্কে এলাকাবাসী

শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে ৩দিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি ও চুনা নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ভাঙন দেখা দেয়। হঠাৎ করে বেড়িবাঁধ ভাঙনের কবলে পড়ায় চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানায়, নিম্নচাপের কারণে চুনা নদীর জোয়ারের আঘাতে ২দিনে অন্তত ৬০ ফুট বেড়িবাঁধের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এছাড়াও স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট জোয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধের বাহিরে ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। চরম আতঙ্কের মধ্যে আছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা আরও জানান, এখনই বেড়িবাঁধ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে যেকোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে ফসলি জমি, মাছের ঘের, কাঁকড়ার প্রকল্পসহ মানুষের অর্থনৈতিক ব্যাপক ক্ষতি হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল করিম তুফান বলেন, আমার বাড়ির সামনের বেড়িবাঁধটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বিগত আইলা, আমফান, ফনি, বুলবুলে এখানে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে এই স্থানটি ভেঙে প্লাবিত হয়। স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধটি নির্মাণ হলেও চোখে পড়ার মতো কোনো কাজ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড।

তিনি আরো জানান, গতকাল সোমবার (১২ই সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় হঠাৎ ২০ফুটের মত ভাঙ্গন দেখা দেয়। আজ সোমবার সেই ভাঙ্গন এখন প্রায় ৬০ফুট। এখনই মেরামতের উদ্যোগ না নিলে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে এলাকাটি।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবিয়ার রহমান জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে কেউই এখনো ঘটনাস্থলে আসতে পারেনি।

বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, দাতিনাখালীর ওই এলাকাটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। চুনা নদীর স্রোত লোকালয়ের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়।যারফলে বেড়িবাঁধের গোড়ার পলিমাটি সরে গিয়ে বেড়িবাঁধ ধসের ঘটনা ঘটেছে মাত্র কয়েক দিন আগে। আবার নতুন একটি জায়গায় একই ঘটনা ঘটেছে গতকাল। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতা ও স্থানীয়দের পরামর্শে মেরামত করা হবে ভঙ্গুর এই বাঁধটি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার সাজ্জাদ হোসেন জানান, আমরা ইতিমধ্যে জায়গাটি পরিদর্শন করেছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যেহেতু ভাঙ্গনটি অল্প পরিমাণ সেহেতু বৈরী পরিবেশের শিথিলতা আসলেই আমরা কাজ শুরু করব।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিববিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

অতিরিক্ত বৃষ্টি ও নদীর পানির জোয়ারে বেড়িবাঁধে ফাটল, আতঙ্কে এলাকাবাসী

প্রকাশিত : ০৫:০৪:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে ৩দিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি ও চুনা নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ভাঙন দেখা দেয়। হঠাৎ করে বেড়িবাঁধ ভাঙনের কবলে পড়ায় চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানায়, নিম্নচাপের কারণে চুনা নদীর জোয়ারের আঘাতে ২দিনে অন্তত ৬০ ফুট বেড়িবাঁধের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এছাড়াও স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট জোয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধের বাহিরে ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। চরম আতঙ্কের মধ্যে আছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা আরও জানান, এখনই বেড়িবাঁধ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে যেকোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে ফসলি জমি, মাছের ঘের, কাঁকড়ার প্রকল্পসহ মানুষের অর্থনৈতিক ব্যাপক ক্ষতি হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল করিম তুফান বলেন, আমার বাড়ির সামনের বেড়িবাঁধটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বিগত আইলা, আমফান, ফনি, বুলবুলে এখানে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে এই স্থানটি ভেঙে প্লাবিত হয়। স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধটি নির্মাণ হলেও চোখে পড়ার মতো কোনো কাজ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড।

তিনি আরো জানান, গতকাল সোমবার (১২ই সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় হঠাৎ ২০ফুটের মত ভাঙ্গন দেখা দেয়। আজ সোমবার সেই ভাঙ্গন এখন প্রায় ৬০ফুট। এখনই মেরামতের উদ্যোগ না নিলে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে এলাকাটি।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবিয়ার রহমান জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে কেউই এখনো ঘটনাস্থলে আসতে পারেনি।

বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, দাতিনাখালীর ওই এলাকাটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। চুনা নদীর স্রোত লোকালয়ের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়।যারফলে বেড়িবাঁধের গোড়ার পলিমাটি সরে গিয়ে বেড়িবাঁধ ধসের ঘটনা ঘটেছে মাত্র কয়েক দিন আগে। আবার নতুন একটি জায়গায় একই ঘটনা ঘটেছে গতকাল। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতা ও স্থানীয়দের পরামর্শে মেরামত করা হবে ভঙ্গুর এই বাঁধটি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার সাজ্জাদ হোসেন জানান, আমরা ইতিমধ্যে জায়গাটি পরিদর্শন করেছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যেহেতু ভাঙ্গনটি অল্প পরিমাণ সেহেতু বৈরী পরিবেশের শিথিলতা আসলেই আমরা কাজ শুরু করব।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিববিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব