০৩:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

ইসলামী ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষনা আজ

২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় ইসলামী ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান মুস্তাফা আনোয়ারকে সরিয়ে পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভাতেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন সরকারের সাবেক সচিব আরাস্তু খান। কিন্তু হঠাৎ করেই গত ১৭ এপ্রিল পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। বোর্ড সভায় আরাস্তু খান পদত্যাগ করলে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়। এ সময় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্বতন্ত্র পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজমুল হাসানকে। কিন্তু এরই মধ্যে ডিভিডেন্ড ঘোষনার সময় এসেছে ব্যাংকটির। আজ বুধবার বিকাল ৩টায় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭ সমাপ্ত হিসেব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ডিভিডেন্ড ও বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেখা গেছে, ইসলামী ব্যাংকের আমানত ও বিনিয়োগ হার (আইডিআর) ৯২ শতাংশ, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিত হারের চেয়ে দুই শতাংশ বেশি। বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকের মোট আমানতের পরিমাণ ৭৬ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে মুদারাবা আমানত ৬৭ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। আর বাকিটা খরচ ছাড়া (কস্ট ফ্রি) আমানত। ব্যাংকটির বিনিয়োগ রয়েছে ৭৭ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা।

এ বিনিয়োগের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগ ৭৪ হাজার ৮৭ কোটি এবং বাকিটা শেয়ার বিনিয়োগ। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংকগুলো তাদের সংগৃহীত আমানতের ৮৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে পারে। তবে সার্বিক আর্থিক সূচক ভালো থাকলে সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ ঋণ বিতরণ করা যায়। যদিও সর্বোচ্চ এই হার এক শতাংশ কমিয়ে ৮৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেসব ব্যাংকের ঋণ ৮৯ শতাংশের বেশি রয়েছে, তাদেরকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে এই সীমার মধ্যে নামিয়ে আনতে হবে। এমন পরিস্থিতে ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজমুল হাসান ডিভিডেন্ডের বিষয়ে কেমন সিদ্ধান্ত নিবে তা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রশ্ন জেগেছে। যদিও বিনিয়োগকারীদের কেউ কেউ বলছে, মুনাফা ছাড়াও ইসলামী ব্যাংকের বিশাল অংকের রিজার্ভ রয়েছে।

তাই আগের বছরের সমপরিমান ডিভিডেন্ডেই দিবে ব্যাংকটি। তবে, ব্যবস্থাপনা জটিলতাকে একবারে ভুলে যাচ্ছেন না কেউ। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

ট্যাগ :

ইসলামী ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষনা আজ

প্রকাশিত : ০৯:২৪:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৮

২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় ইসলামী ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান মুস্তাফা আনোয়ারকে সরিয়ে পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভাতেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন সরকারের সাবেক সচিব আরাস্তু খান। কিন্তু হঠাৎ করেই গত ১৭ এপ্রিল পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। বোর্ড সভায় আরাস্তু খান পদত্যাগ করলে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়। এ সময় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্বতন্ত্র পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজমুল হাসানকে। কিন্তু এরই মধ্যে ডিভিডেন্ড ঘোষনার সময় এসেছে ব্যাংকটির। আজ বুধবার বিকাল ৩টায় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭ সমাপ্ত হিসেব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ডিভিডেন্ড ও বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেখা গেছে, ইসলামী ব্যাংকের আমানত ও বিনিয়োগ হার (আইডিআর) ৯২ শতাংশ, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিত হারের চেয়ে দুই শতাংশ বেশি। বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকের মোট আমানতের পরিমাণ ৭৬ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে মুদারাবা আমানত ৬৭ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। আর বাকিটা খরচ ছাড়া (কস্ট ফ্রি) আমানত। ব্যাংকটির বিনিয়োগ রয়েছে ৭৭ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা।

এ বিনিয়োগের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগ ৭৪ হাজার ৮৭ কোটি এবং বাকিটা শেয়ার বিনিয়োগ। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংকগুলো তাদের সংগৃহীত আমানতের ৮৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে পারে। তবে সার্বিক আর্থিক সূচক ভালো থাকলে সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ ঋণ বিতরণ করা যায়। যদিও সর্বোচ্চ এই হার এক শতাংশ কমিয়ে ৮৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেসব ব্যাংকের ঋণ ৮৯ শতাংশের বেশি রয়েছে, তাদেরকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে এই সীমার মধ্যে নামিয়ে আনতে হবে। এমন পরিস্থিতে ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজমুল হাসান ডিভিডেন্ডের বিষয়ে কেমন সিদ্ধান্ত নিবে তা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রশ্ন জেগেছে। যদিও বিনিয়োগকারীদের কেউ কেউ বলছে, মুনাফা ছাড়াও ইসলামী ব্যাংকের বিশাল অংকের রিজার্ভ রয়েছে।

তাই আগের বছরের সমপরিমান ডিভিডেন্ডেই দিবে ব্যাংকটি। তবে, ব্যবস্থাপনা জটিলতাকে একবারে ভুলে যাচ্ছেন না কেউ। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।