১০:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পাবনায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

জমিজমা সংক্রান্ত পুর্ব বিরোধের জেরে পাবনা সদর উপজেলায় শরিফুল ইসলাম (৩১) নামের একজন ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিবেশী চাচাতো দুই ভাই স্বপন ও শাহীন। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর ) সকালে সদরের ভাঁড়ারা ইউনিয়নের ভাঁড়ারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শরিফুল এই গ্রামের সামাদ সরদারের ছেলে ও ইসলামী আন্দোলন ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি কসমেটিক্সের ব্যবসা করতেন।

স্থানীয়রা জানান, বাড়ির পাশের একটি বাঁশঝাড় নিয়ে পুর্ব থেকেই বিরোধ চলে আসছিলো। এর জেড়ে সকালে শরিফুল সেই বাঁশঝাড়ে একটি বাঁশ কাটতে যায়। এসময় প্রতবেশী চাচা মজনু সরদারের দুই ছেলে স্বপন ও শাহীন তাকে এলোপাথাড়িভাবে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সটকে পড়ে। পুলিশে খবর দিলে থানা পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বলেন, তাদের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত একটি বিরোধ পুর্ব থেকেই চলে আসছিলো। এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদেও তারা আসছিলেন। কিন্তু আদালতে মামলা চলমান থাকায় আমাদের পক্ষ থেকে মিমাংসা করা সম্ভব হয়নি। আজ সকালে বাঁশঝাড়ে গেলে তাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, জমিজমা বিরোধে এ হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়েছে। ধারালো কুড়াল দিয়ে হত্যা নিশ্চিত করা হয়। প্রতিবেশী মৃত মজনু সরদারের ছেলে স্বপন ও শাহীন ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। হত্যার পরে অভিযুক্তরা পালিয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্ত করে পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

পাবনায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত : ০৩:১১:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২

জমিজমা সংক্রান্ত পুর্ব বিরোধের জেরে পাবনা সদর উপজেলায় শরিফুল ইসলাম (৩১) নামের একজন ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিবেশী চাচাতো দুই ভাই স্বপন ও শাহীন। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর ) সকালে সদরের ভাঁড়ারা ইউনিয়নের ভাঁড়ারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শরিফুল এই গ্রামের সামাদ সরদারের ছেলে ও ইসলামী আন্দোলন ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি কসমেটিক্সের ব্যবসা করতেন।

স্থানীয়রা জানান, বাড়ির পাশের একটি বাঁশঝাড় নিয়ে পুর্ব থেকেই বিরোধ চলে আসছিলো। এর জেড়ে সকালে শরিফুল সেই বাঁশঝাড়ে একটি বাঁশ কাটতে যায়। এসময় প্রতবেশী চাচা মজনু সরদারের দুই ছেলে স্বপন ও শাহীন তাকে এলোপাথাড়িভাবে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সটকে পড়ে। পুলিশে খবর দিলে থানা পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বলেন, তাদের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত একটি বিরোধ পুর্ব থেকেই চলে আসছিলো। এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদেও তারা আসছিলেন। কিন্তু আদালতে মামলা চলমান থাকায় আমাদের পক্ষ থেকে মিমাংসা করা সম্ভব হয়নি। আজ সকালে বাঁশঝাড়ে গেলে তাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, জমিজমা বিরোধে এ হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়েছে। ধারালো কুড়াল দিয়ে হত্যা নিশ্চিত করা হয়। প্রতিবেশী মৃত মজনু সরদারের ছেলে স্বপন ও শাহীন ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। হত্যার পরে অভিযুক্তরা পালিয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্ত করে পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব