বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার প্রবণতায় বিক্রয় চাপের মধ্যে আরো একটি সপ্তাহ অতিক্রম করেছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার। সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (২২ থেকে ২৬ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক ও লেনদেন কমেছে। ডিএসই’র সপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সপ্তাহের শুরু দিকে বাজারের বিক্রয় চাপের মধ্যে দিয়ে মুনাফা তুলেছে বিনিয়োগকারীরা। তবে, কারেকশন পরবর্তী সময়ে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে শেয়ারবাজার। ফলে, সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসগুলোতে বাজারের সূচক ও লেনদেন ইতিবাচক উন্নতি হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইতে ২ হাজার ৫০৫ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৯৮৫ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইতে ২ হাজার ৫৭৪ কোটি ৫৯ লাখ ৪১ হাজার ৫০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২.৬৮ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে প্রায় ১৩ কোটি টাকা। সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৫০১ কোটি ১১ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইতে ৫১৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪২টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৭টির, দর কমেছে ১৯১টির ও দর অপরিবর্তিত ছিল ২৩ প্রতিষ্ঠানের দর। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে দর বেড়েছে ১২৯টি প্রতিষ্ঠানের।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই’র প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৯.৬৭ পয়েন্ট। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইএক্স সূচক ৫৮৪৩.৪৭ পয়েন্টে ছিল। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে তা ৫৮১৩.৮০ পয়েন্টে নেমে আসে। এসময় ডিএসই’র ব্লু-চিপখ্যাত ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ৩২.৩৬ পয়েন্ট ও ডিএসই’র শরীয়াহ্ সূচক কমেছে ২১.৯৪ পয়েন্ট।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো। এসময় কোম্পানিটির ১৪৫ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসই’র গত সপ্তাহের সর্বমোট লেনদেনের ৫.৭৯ শতাংশ। যদিও সপ্তাহে এ কোম্পানিটির লেনদেন কমেছে ৩.৭৫ শতাংশ। টার্নওভার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল গ্রামীণফোন। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির ১১১ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
১০৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মধ্যে দিয়ে টার্নওভার তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে ছিল ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিভিউশন কোম্পানি। টার্নওভার তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- ব্র্যাক ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, কেয়া কসমেটিকস, স্কয়ার ফার্মা, উসমানিয়া গ্লাস, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ ও আমরা নেটওয়ার্ক।

























