০২:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইসরায়েলি ক্লাবকে ৭ গোল দিল মেসি-নেইমাররা

জিতলেই শেষ ষোলোয়, এই সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমেছিল পিএসজি। ইসরায়েলি ক্লাব ম্যাকাবি খাইফার বিপক্ষে ঠিক সেটিই করে দেখাল ক্লাবটি। গোল পেয়েছেন দলটির তিন তারকা মেসি, নেইমার ও এমবাপ্পে। দারুণ এই জয়ে পরবর্তী পর্ব নিশ্চিত করে ফেলল ক্রিস্তফ গালতিয়েরের শিষ্যরা।

মঙ্গলবার রাতে পার্ক দেস প্রিন্সেসে ম্যাকাবি খাইফাকে ৭-২ গোলের বড় ব্যবধানে হারায় পিএসজি। ক্লাবটির হয়ে জোড়া গোল করেন লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। একটি করে গোল পান নেইমার ও কার্লোস সোলার। খাইফার হয়ে দুইটি গোলই করেন আবদৌলায়ে সেক।

ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই ইসরায়েলি ক্লাবটিকে চেপে ধরে পিএসজি। অষ্টম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত দলটি। তবে নেইমারের দারুণ পাস বক্সে পেয়েও পোস্টের বাইরে শট নেন ফাবিয়া রুইজ। ১৯তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় ফরাসি জায়ান্টরা। বক্সের ভেতর এমবাপ্পেকে লক্ষ্য করে বল বাড়ান মেসি। সেই বল নিয়ন্ত্রণে নিতে না পেরে ফের মেসিকে পাস দেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। বল পেয়ে বাঁকানো শটে লক্ষ্যভেদ করেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।

৩২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপ্পে। বক্সে মেসির সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে দারুণ এক শটে জাল খুঁজে নেন তরুণ এই ফরাসি তারকা। তিন মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়ান নেইমার। মেসির দেওয়া পাস বক্স থেকে সহজ শটে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। তিন মিনিট পর ফ্রি-কিক থেকে উড়ে আসা বল হেডে লক্ষ্যভেদ করে ব্যবধান কমান ম্যাকাবি খাইফার ডিফেন্ডার আবদৌলায়ে।

৪৪তম মিনিটে আবারও গোল পান মেসি। এমবাপ্পের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড। বিরতির পর অবশ্য ব্যবধান আরও কমায় খাইফা। ৫০তম মিনিটে কর্ণার থেকে উড়ে আসা বল নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি পিএসজি। বল পেয়ে আবদৌলায়েকে লক্ষ্য করে ক্রস বাড়ান পিয়েরট। দারুণ হেডে লক্ষভেদ করতে ভুলেননি এই ডিফেন্ডার।

পিএসজিও ব্যবধান বাড়াতে দেরী করেনি। ৬৪তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল পূর্ণ করেন এমবাপ্পে। আশ্রাফ হাকিমির ক্রস থেকে সহজ শটে জাল খুঁজে নেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। তিন মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়ে পিএসজির। নেইমারের পা থেকে ছুটে আসা শট ভুল শটে নিজেদের জালে পাঠান খাইফার ডিফেন্ডার।

ম্যাচের শেষদিকে গিয়ে খাইফার জালে আরও একটি গোল ঠুকে দেয় পিএসজি। ৮৪তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে পাওয়া মেসির পাস দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন কার্লোস সোলার। বড় ব্যবধানের এই জয় নিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে মেসি-নেইমাররা।

‘এইচ’ গ্রুপের আরেক ম্যাচে রোমাঞ্চ তৈরি করেও পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার বিপক্ষে জিততে পারেনি জুভেন্টাস। ৪-৩ ব্যবধানে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে তুরিনের বুড়িদের। অপরদিকে এই জয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করে ফেলেছে বেনফিকা।

পাঁচ ম্যাচে ৩ জয় ও ২ ড্রয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে পিএসজি। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় দুইয়ে বেনফিকা। তিনে ও চারে থাকা জুভেন্টাস ও ম্যাকাবি খাইফার পয়েন্ট সমান ৩।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

ঢাকা কলেজের পুকুরে গোসল করতে নেমে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু

ইসরায়েলি ক্লাবকে ৭ গোল দিল মেসি-নেইমাররা

প্রকাশিত : ১০:৫৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২

জিতলেই শেষ ষোলোয়, এই সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমেছিল পিএসজি। ইসরায়েলি ক্লাব ম্যাকাবি খাইফার বিপক্ষে ঠিক সেটিই করে দেখাল ক্লাবটি। গোল পেয়েছেন দলটির তিন তারকা মেসি, নেইমার ও এমবাপ্পে। দারুণ এই জয়ে পরবর্তী পর্ব নিশ্চিত করে ফেলল ক্রিস্তফ গালতিয়েরের শিষ্যরা।

মঙ্গলবার রাতে পার্ক দেস প্রিন্সেসে ম্যাকাবি খাইফাকে ৭-২ গোলের বড় ব্যবধানে হারায় পিএসজি। ক্লাবটির হয়ে জোড়া গোল করেন লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। একটি করে গোল পান নেইমার ও কার্লোস সোলার। খাইফার হয়ে দুইটি গোলই করেন আবদৌলায়ে সেক।

ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই ইসরায়েলি ক্লাবটিকে চেপে ধরে পিএসজি। অষ্টম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত দলটি। তবে নেইমারের দারুণ পাস বক্সে পেয়েও পোস্টের বাইরে শট নেন ফাবিয়া রুইজ। ১৯তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় ফরাসি জায়ান্টরা। বক্সের ভেতর এমবাপ্পেকে লক্ষ্য করে বল বাড়ান মেসি। সেই বল নিয়ন্ত্রণে নিতে না পেরে ফের মেসিকে পাস দেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। বল পেয়ে বাঁকানো শটে লক্ষ্যভেদ করেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।

৩২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপ্পে। বক্সে মেসির সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে দারুণ এক শটে জাল খুঁজে নেন তরুণ এই ফরাসি তারকা। তিন মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়ান নেইমার। মেসির দেওয়া পাস বক্স থেকে সহজ শটে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। তিন মিনিট পর ফ্রি-কিক থেকে উড়ে আসা বল হেডে লক্ষ্যভেদ করে ব্যবধান কমান ম্যাকাবি খাইফার ডিফেন্ডার আবদৌলায়ে।

৪৪তম মিনিটে আবারও গোল পান মেসি। এমবাপ্পের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড। বিরতির পর অবশ্য ব্যবধান আরও কমায় খাইফা। ৫০তম মিনিটে কর্ণার থেকে উড়ে আসা বল নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি পিএসজি। বল পেয়ে আবদৌলায়েকে লক্ষ্য করে ক্রস বাড়ান পিয়েরট। দারুণ হেডে লক্ষভেদ করতে ভুলেননি এই ডিফেন্ডার।

পিএসজিও ব্যবধান বাড়াতে দেরী করেনি। ৬৪তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল পূর্ণ করেন এমবাপ্পে। আশ্রাফ হাকিমির ক্রস থেকে সহজ শটে জাল খুঁজে নেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। তিন মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়ে পিএসজির। নেইমারের পা থেকে ছুটে আসা শট ভুল শটে নিজেদের জালে পাঠান খাইফার ডিফেন্ডার।

ম্যাচের শেষদিকে গিয়ে খাইফার জালে আরও একটি গোল ঠুকে দেয় পিএসজি। ৮৪তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে পাওয়া মেসির পাস দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন কার্লোস সোলার। বড় ব্যবধানের এই জয় নিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে মেসি-নেইমাররা।

‘এইচ’ গ্রুপের আরেক ম্যাচে রোমাঞ্চ তৈরি করেও পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার বিপক্ষে জিততে পারেনি জুভেন্টাস। ৪-৩ ব্যবধানে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে তুরিনের বুড়িদের। অপরদিকে এই জয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করে ফেলেছে বেনফিকা।

পাঁচ ম্যাচে ৩ জয় ও ২ ড্রয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে পিএসজি। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় দুইয়ে বেনফিকা। তিনে ও চারে থাকা জুভেন্টাস ও ম্যাকাবি খাইফার পয়েন্ট সমান ৩।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব