০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪

কুষ্টিয়ায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তান্ডবে কলা চাষিদের মাথায় হাত, ২০ কোটি টাকার ক্ষতি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তান্ডবে কলা চাষিদের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। গত সোমবার রাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে এসব কলাবাগানের অধিকাংশ গাছই নষ্ট হয়ে গেছে। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন উপজেলার কৃষকরা। ঝড়ে বিশেষ করে নদীপাড়ের চরাঞ্চলের কৃষকরা সব চেয়ে বেশি ক্ষতির সমক্ষিণ হয়েছে বলে জানা যায়।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কলা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, শতশত বিঘা বাগানের কলার গাছ ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে ভেঙে মাটিতে লণ্ডভণ্ড হয়ে লুটে পরেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পরেছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা। এছাড়াও অন্যান্য ক্ষেতের জমিতে বৃষ্টির পানিতে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় সর্বস্ব হারানোর আশঙ্কায় নির্ঘুম রাত পার করছে কৃষকেরা।

একেতে সার ও তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে এবছর কলা চাষে বাড়তি খরচ গুনতে হয়েছে তার উপর সিত্রাংয়ের তান্ডব যেন কৃষকের কাধে মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ। এমতাবস্থায় সরকারি ভাবে সহযোগিতার প্রত্যাশা এই এলাকার কৃষকদের।
উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চর মহেন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম আমার ১০০ বিঘা জমিতে কলা চাষ করেছিলাম,ঝড়ে আমার প্রায় ৭০ বিঘা জমির কলা গাছ ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। আল্লাই জানে এই ক্ষতি আমি কিভাবে সামাল দেবো।

একই ইউনিয়নের দয়রামপুর গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, মেলা টাকা পয়সা খরচ করে কলা চাষ শুরু করে ছিলাম। গাছে কেবল কলার কাধ পরা শুরু করেছিল, আর তখনই ঝড় এসে আমার সব শেষ করে ফেললো। সরকার যদি এখন আমারে পাশে না দাঁড়ায় তাহলে আমারে মরা ছাড়া কোন গতি নাই।

কুমারখালী উপজেলার পাঁচ শতাধিক কৃষক ৭৭০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ করে তারমধ্যে উপজেলার জগন্নাথপুর, শিলাইদহ, যদুবয়রা, বাগুলাট, চাঁদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪৭ হেক্টর জমির কলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কুমারখালী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ রাইসুল ইসলাম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে উপজেলার প্রায় ৪৭ হেক্টর জমির কলা ও বেশ কয়েক হেক্টর ধান, কলাইসহ শীতকালীন সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দপ্তরে রিপোর্ট করা হয়েছে। সরকারি প্রণোদনার প্রদানের মাধ্যমে কৃষকদের এই ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

লে.কর্নেল মুনীম ফেরদৌস হলেন র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র

কুষ্টিয়ায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তান্ডবে কলা চাষিদের মাথায় হাত, ২০ কোটি টাকার ক্ষতি

প্রকাশিত : ১২:০৫:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তান্ডবে কলা চাষিদের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। গত সোমবার রাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে এসব কলাবাগানের অধিকাংশ গাছই নষ্ট হয়ে গেছে। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন উপজেলার কৃষকরা। ঝড়ে বিশেষ করে নদীপাড়ের চরাঞ্চলের কৃষকরা সব চেয়ে বেশি ক্ষতির সমক্ষিণ হয়েছে বলে জানা যায়।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কলা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, শতশত বিঘা বাগানের কলার গাছ ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে ভেঙে মাটিতে লণ্ডভণ্ড হয়ে লুটে পরেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পরেছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা। এছাড়াও অন্যান্য ক্ষেতের জমিতে বৃষ্টির পানিতে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় সর্বস্ব হারানোর আশঙ্কায় নির্ঘুম রাত পার করছে কৃষকেরা।

একেতে সার ও তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে এবছর কলা চাষে বাড়তি খরচ গুনতে হয়েছে তার উপর সিত্রাংয়ের তান্ডব যেন কৃষকের কাধে মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ। এমতাবস্থায় সরকারি ভাবে সহযোগিতার প্রত্যাশা এই এলাকার কৃষকদের।
উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চর মহেন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম আমার ১০০ বিঘা জমিতে কলা চাষ করেছিলাম,ঝড়ে আমার প্রায় ৭০ বিঘা জমির কলা গাছ ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। আল্লাই জানে এই ক্ষতি আমি কিভাবে সামাল দেবো।

একই ইউনিয়নের দয়রামপুর গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, মেলা টাকা পয়সা খরচ করে কলা চাষ শুরু করে ছিলাম। গাছে কেবল কলার কাধ পরা শুরু করেছিল, আর তখনই ঝড় এসে আমার সব শেষ করে ফেললো। সরকার যদি এখন আমারে পাশে না দাঁড়ায় তাহলে আমারে মরা ছাড়া কোন গতি নাই।

কুমারখালী উপজেলার পাঁচ শতাধিক কৃষক ৭৭০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ করে তারমধ্যে উপজেলার জগন্নাথপুর, শিলাইদহ, যদুবয়রা, বাগুলাট, চাঁদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪৭ হেক্টর জমির কলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কুমারখালী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ রাইসুল ইসলাম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে উপজেলার প্রায় ৪৭ হেক্টর জমির কলা ও বেশ কয়েক হেক্টর ধান, কলাইসহ শীতকালীন সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দপ্তরে রিপোর্ট করা হয়েছে। সরকারি প্রণোদনার প্রদানের মাধ্যমে কৃষকদের এই ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব