০১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

শেয়ারবাজারে ব্যাংক ও ওষুধ-বস্ত্রের দাম বেড়েছে

গত সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবস অধিকাংশ ব্যাংকের শেয়ার দাম কমলেও কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল প্রকৌশল, ওষুধ ও বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলো। ফলে দরপতনের হাত থেকে রক্ষা পায় শেয়ারবাজার। কিন্তু চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ব্যাংকের পাশাপাশি প্রকৌশল, ওষুধ ও বস্ত্র খাতেরও সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে। ফলে উভয় বাজারে সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে। এদিন বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমলেও বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে।

বিপরীতে দাম কমেছে ২২৭টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির। দিনের কার্যক্রম শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৯২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫৪৭ কোটি ৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৪৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৩৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩২৪ পয়েন্টে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী লেনদেনে অংশ নেয়া ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে ২৬টির দরপতন হয়ছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ৩টির এবং ১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রকৌশল খাতের ৩৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৬টির দাম কমেছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ৮টির এবং ২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া ওষুধ কোম্পানির ২৯টি কোম্পানির ১৯টির দাম কমেছে। বিপরীতে বেড়েছে ৮টির এবং ২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বস্ত্র খাতের ৫০টির মধ্যে ৩১টির দাম কমেছ। বিপরীতে দাম বেড়েছে ১৫টির এবং ৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিন টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৪৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের ৩০ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

১৮ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল। লেনদেনে এরপর রয়েছে- নাভানা সিএনজি, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, ইবনে সিনা, লাফার্জ-হোলসিম, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ডরিন পাওয়ার এবং গ্রামিন ফোন। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ১৩৮ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৬৯৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২২৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৫টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির।

ট্যাগ :

শেয়ারবাজারে ব্যাংক ও ওষুধ-বস্ত্রের দাম বেড়েছে

প্রকাশিত : ০৮:২৭:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৮

গত সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবস অধিকাংশ ব্যাংকের শেয়ার দাম কমলেও কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল প্রকৌশল, ওষুধ ও বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলো। ফলে দরপতনের হাত থেকে রক্ষা পায় শেয়ারবাজার। কিন্তু চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ব্যাংকের পাশাপাশি প্রকৌশল, ওষুধ ও বস্ত্র খাতেরও সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে। ফলে উভয় বাজারে সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে। এদিন বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমলেও বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে।

বিপরীতে দাম কমেছে ২২৭টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির। দিনের কার্যক্রম শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৯২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫৪৭ কোটি ৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৪৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৩৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩২৪ পয়েন্টে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী লেনদেনে অংশ নেয়া ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে ২৬টির দরপতন হয়ছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ৩টির এবং ১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রকৌশল খাতের ৩৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৬টির দাম কমেছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ৮টির এবং ২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া ওষুধ কোম্পানির ২৯টি কোম্পানির ১৯টির দাম কমেছে। বিপরীতে বেড়েছে ৮টির এবং ২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বস্ত্র খাতের ৫০টির মধ্যে ৩১টির দাম কমেছ। বিপরীতে দাম বেড়েছে ১৫টির এবং ৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিন টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৪৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের ৩০ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

১৮ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল। লেনদেনে এরপর রয়েছে- নাভানা সিএনজি, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, ইবনে সিনা, লাফার্জ-হোলসিম, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ডরিন পাওয়ার এবং গ্রামিন ফোন। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ১৩৮ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৬৯৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২২৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৫টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির।