০১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

শেয়ারবাজারে সূচক ও লেনদেন কমেছে

বস্ত্র, বীমা ও প্রকৌশল খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়লেও সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে। মূলত ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমায় মূল্য সূচকের এই পতন হয়েছে। মূল্য সূচকের বড় পতন হলেও এদিন বস্ত্র, বীমা ও প্রকৌশল খাতের কল্যাণে যে পরিমাণ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে, বেড়েছে তার থেকে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম। প্রধান বাজার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে।

বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৯টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, লেনদেনে অংশ নেয়া ২৮টি ব্যাংকের মধ্যে মাত্র ৬টির শেয়ার দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২০টির। আর ২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর্থিক খাতের ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩টির। আর ৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অপরদিকে প্রকৌশল খাতের ৩৬টি কোম্পানির মধ্যে ২৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২টির। বস্ত্র খাতের ৫০টির মধ্যে ২৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮টির এবং ৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর বীমা খাতের ৪৬টির মধ্যে ২৫টির দাম বেড়েছে।

বিপরীতে কমেছে ১১টির এবং ১০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে মূল্য সূচকের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনের কার্যক্রম শেষে বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৭৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫৯২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১১৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর টানা দুই কার্যদিবসের বড় পতনে ডিএসইর প্রধান এই সূচকটি কমলো ১১৪ পয়েন্ট। অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে বৃহস্পতিবার ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১২৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮১৮ পয়েন্টে। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৩০ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিংয়ের ১৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৬ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিবিএস কেবলস। লেনদেনে এরপর রয়েছে- ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ব্র্যাক ব্যাংক, রূপালী লাইফ, বিএসআরএম, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল এবং নাভানা সিএনজি।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ৫৮ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৬৩৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৩১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০০টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির।

ট্যাগ :

শেয়ারবাজারে সূচক ও লেনদেন কমেছে

প্রকাশিত : ০৯:২৪:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মে ২০১৮

বস্ত্র, বীমা ও প্রকৌশল খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়লেও সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে। মূলত ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমায় মূল্য সূচকের এই পতন হয়েছে। মূল্য সূচকের বড় পতন হলেও এদিন বস্ত্র, বীমা ও প্রকৌশল খাতের কল্যাণে যে পরিমাণ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে, বেড়েছে তার থেকে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম। প্রধান বাজার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে।

বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৯টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, লেনদেনে অংশ নেয়া ২৮টি ব্যাংকের মধ্যে মাত্র ৬টির শেয়ার দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২০টির। আর ২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর্থিক খাতের ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩টির। আর ৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অপরদিকে প্রকৌশল খাতের ৩৬টি কোম্পানির মধ্যে ২৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২টির। বস্ত্র খাতের ৫০টির মধ্যে ২৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮টির এবং ৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর বীমা খাতের ৪৬টির মধ্যে ২৫টির দাম বেড়েছে।

বিপরীতে কমেছে ১১টির এবং ১০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে মূল্য সূচকের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনের কার্যক্রম শেষে বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৭৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫৯২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১১৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর টানা দুই কার্যদিবসের বড় পতনে ডিএসইর প্রধান এই সূচকটি কমলো ১১৪ পয়েন্ট। অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে বৃহস্পতিবার ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১২৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮১৮ পয়েন্টে। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৩০ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিংয়ের ১৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৬ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিবিএস কেবলস। লেনদেনে এরপর রয়েছে- ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ব্র্যাক ব্যাংক, রূপালী লাইফ, বিএসআরএম, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল এবং নাভানা সিএনজি।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ৫৮ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৬৩৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৩১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০০টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির।