০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি

দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা জাফলংসহ সবকটি পাথর কোয়ারি থেকে (ইসিএ বহির্ভূত এলাকায়) পরিবেশসম্মত ও সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১২ টায় পিয়াইন পাথর উত্তোলন ও ব্যবসায়ী সংগঠনের উদ্যোগে এক দফা এক দাবি নিয়ে স্থানীয় নলজুরি পয়েন্টে এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে সকাল থেকেই পাথর কোয়ারি সচল করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দাবি দাওয়া সংবলিত ফেস্টুন, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে নলজুরি পয়েন্টে বিভিন্ন সংগঠনের লোকজন জড়ো হতে থাকে। বেলা গড়িয়ে দুপুর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে পুরো নলজুরি এলাকা। মানববন্ধনে জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেয়।

পিয়াইন পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালিক’র সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল আহমদ, তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানি কারক গ্রæপের সভাপতি এম লিয়াকত আলী, গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম, ইউপি চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন শিকদার, এম নিজাম উদ্দিন, গোলাম রাব্বানী সুমন, মামুন পারভেজ, ফখরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান চৌধুরীসহ রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও সামাজিক সংগঠন ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সচিব রুবেল আহমদ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জাফলংসহ সকল পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন, সংগ্রহ ও সরবরাহ করে অত্রাঞ্চলসহ দেশের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। এই পাথর কোয়ারি বন্ধ থাকায় শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছেন। বেকার হয়ে পড়েছে পাথর কোয়ারি সংশ্লিষ্ট প্রায় লক্ষাধিক শ্রমিক। বর্তমানে ওই শ্রমিকগুলো অনাহারে আর অর্ধাহারে দিনযাপন করছে। তাই শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে পরিবেশসম্মত ও সনাতন পদ্ধতিতে কোয়ারি সচল করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন তারা। এদিকে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচির সঙ্গে একমত পোষণ করে সকাল থেকে গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাাপুর উপজেলার সকল ক্রাশার মিল বন্ধ রাখা হয়। মানববন্ধন চলাকালীন সময়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এতে সড়কের উভয় পাশে কয়েক শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

 পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি

প্রকাশিত : ০৩:৪২:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২

দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা জাফলংসহ সবকটি পাথর কোয়ারি থেকে (ইসিএ বহির্ভূত এলাকায়) পরিবেশসম্মত ও সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১২ টায় পিয়াইন পাথর উত্তোলন ও ব্যবসায়ী সংগঠনের উদ্যোগে এক দফা এক দাবি নিয়ে স্থানীয় নলজুরি পয়েন্টে এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে সকাল থেকেই পাথর কোয়ারি সচল করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দাবি দাওয়া সংবলিত ফেস্টুন, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে নলজুরি পয়েন্টে বিভিন্ন সংগঠনের লোকজন জড়ো হতে থাকে। বেলা গড়িয়ে দুপুর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে পুরো নলজুরি এলাকা। মানববন্ধনে জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেয়।

পিয়াইন পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালিক’র সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল আহমদ, তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানি কারক গ্রæপের সভাপতি এম লিয়াকত আলী, গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম, ইউপি চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন শিকদার, এম নিজাম উদ্দিন, গোলাম রাব্বানী সুমন, মামুন পারভেজ, ফখরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান চৌধুরীসহ রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও সামাজিক সংগঠন ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সচিব রুবেল আহমদ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জাফলংসহ সকল পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন, সংগ্রহ ও সরবরাহ করে অত্রাঞ্চলসহ দেশের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। এই পাথর কোয়ারি বন্ধ থাকায় শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছেন। বেকার হয়ে পড়েছে পাথর কোয়ারি সংশ্লিষ্ট প্রায় লক্ষাধিক শ্রমিক। বর্তমানে ওই শ্রমিকগুলো অনাহারে আর অর্ধাহারে দিনযাপন করছে। তাই শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে পরিবেশসম্মত ও সনাতন পদ্ধতিতে কোয়ারি সচল করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন তারা। এদিকে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচির সঙ্গে একমত পোষণ করে সকাল থেকে গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাাপুর উপজেলার সকল ক্রাশার মিল বন্ধ রাখা হয়। মানববন্ধন চলাকালীন সময়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এতে সড়কের উভয় পাশে কয়েক শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব