০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

বীরগঞ্জে বাড়ছে শীতের প্রকোপ বিপাকে পড়েছে অতি দরিদ্র মানুষ

জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উত্তরের জেলা দিনাজপুরের বীরগঞ্জ। সূর্যের দেখা মিলছে দুপুরের পর। যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। কয়েকদিন থেকে ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। উত্তরের জনপদে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। গতকাল শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রায় আট অঞ্চলের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস বলছেন, চলতি সপ্তাহে এ জেলায় বৃষ্টিপাত না হলেও দুটি মৃদু শৈতপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা নেমে আসতে পারে ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গত শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

ঘন কুয়াশার কারণে গত ৩/৪ দিন ধরে ঠিকমত সূর্যের দেখা মিলছে না। দুপুরের পর ২/১ দিন সূর্য উঠলেও তা বেশিক্ষণ তীব্রতা থাকছে না। এতে করে বিভিন্ন বয়সী মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। তীব্র শীতে জুবুথুবু হয়ে বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে তেমন হচ্ছে না মানুষ। এমতবস্থায় গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ঘন কুয়াশায় ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এতে করে যানবাহনের গতিও কমছে। প্রচণ্ড শীতে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বেশি।

প্রতিদিন রাত ৮টার মধ্যই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বীরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের গ্রামগঞ্জ ও পৌরশহরের হাট বাসাগুলো। শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় কিনতে পুরানো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছে অনেকেই। পৌরশহরের ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কের পাশে, তাজ মহল সিনেমা হলের সামনে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় সবচেয়ে বেশি। বিক্রিও হচ্ছে ভাল। তবে বেলা ডুবার সাথে সাথে পৌরশহর জনশূন্য হওয়া শুরু করেছে।

পৌরশহরের পান দোকানদার কাবুল জানান,কয়েকদিনের ব্যবধানে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে শৈত্যপ্রবাহ এবং ঘনকুয়াশার চাদরে ঢেকে গেলে জনশূন্য হয়ে পড়ে। এতে বেচাকেনা কমে যায়। অটোযান চালক রমজন আলী জানান,প্রচণ্ড শীতের কারণে যাত্রী পাওয়া কষ্টকর। এতে আগের তুলনায় রোজগার কমে গেছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিনাত রেহানা জানান, ইতোমধ্যে একটি পৌরসভা ও উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে প্রায় ৫শ’ কম্বল বিতরণের জন্য দেওয়া হয়েছে। শীত নিবারণে অতি দরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

সাব এডিটরস কাউন্সিলের নতুন সভাপতি অনিক, সম্পাদক জাওহার

বীরগঞ্জে বাড়ছে শীতের প্রকোপ বিপাকে পড়েছে অতি দরিদ্র মানুষ

প্রকাশিত : ০৩:০৭:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২

জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উত্তরের জেলা দিনাজপুরের বীরগঞ্জ। সূর্যের দেখা মিলছে দুপুরের পর। যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। কয়েকদিন থেকে ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। উত্তরের জনপদে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। গতকাল শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রায় আট অঞ্চলের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস বলছেন, চলতি সপ্তাহে এ জেলায় বৃষ্টিপাত না হলেও দুটি মৃদু শৈতপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা নেমে আসতে পারে ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গত শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

ঘন কুয়াশার কারণে গত ৩/৪ দিন ধরে ঠিকমত সূর্যের দেখা মিলছে না। দুপুরের পর ২/১ দিন সূর্য উঠলেও তা বেশিক্ষণ তীব্রতা থাকছে না। এতে করে বিভিন্ন বয়সী মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। তীব্র শীতে জুবুথুবু হয়ে বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে তেমন হচ্ছে না মানুষ। এমতবস্থায় গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ঘন কুয়াশায় ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এতে করে যানবাহনের গতিও কমছে। প্রচণ্ড শীতে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বেশি।

প্রতিদিন রাত ৮টার মধ্যই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বীরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের গ্রামগঞ্জ ও পৌরশহরের হাট বাসাগুলো। শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় কিনতে পুরানো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছে অনেকেই। পৌরশহরের ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কের পাশে, তাজ মহল সিনেমা হলের সামনে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় সবচেয়ে বেশি। বিক্রিও হচ্ছে ভাল। তবে বেলা ডুবার সাথে সাথে পৌরশহর জনশূন্য হওয়া শুরু করেছে।

পৌরশহরের পান দোকানদার কাবুল জানান,কয়েকদিনের ব্যবধানে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে শৈত্যপ্রবাহ এবং ঘনকুয়াশার চাদরে ঢেকে গেলে জনশূন্য হয়ে পড়ে। এতে বেচাকেনা কমে যায়। অটোযান চালক রমজন আলী জানান,প্রচণ্ড শীতের কারণে যাত্রী পাওয়া কষ্টকর। এতে আগের তুলনায় রোজগার কমে গেছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিনাত রেহানা জানান, ইতোমধ্যে একটি পৌরসভা ও উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে প্রায় ৫শ’ কম্বল বিতরণের জন্য দেওয়া হয়েছে। শীত নিবারণে অতি দরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব