১০:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫

সাঘাটায় রবিশস্য আবাদে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের

বিগত দিনে বেশি ফলন ও ভালো দাম পেয়ে লাভবান হওয়ায় রবিশস্য আবাদে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। ফসলি জমিতে শুধু ধানের চাষাবাদে নির্ভর না হয়ে কৃষকরা রবিশস্যেরও আবাদ করছেন। এবার রবি মৌসুমে রবিশস্য চাষাবাদ বেড়েছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার চর সহ প্রত্যান্ত এলাকায়। পতিত জমি সহ বেশিরভাগ জমিতেই কৃষকরা গম, পেঁয়াজ, শরিষা, ভুট্টা, চিনাবাদাম, মুগডাল, মশুর ও বিভিন্ন ফসল আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবারও লাভবান হওয়ার স্বপ্ন কৃষকদের।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রবীণ কৃষকরা জানান, এক সময় এ এলাকায় মৌসুম অনুযায়ী সঠিক ফসল চাষাবাদ না করা, বীজ সংকট, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি নির্ভরতায় অনাগ্রহ, কষ্টার্জিত ফসলের দাম না পাওয়া ও প্রকৃতিগত ভাবে চাষাবাদ না হওয়ার মত নানা কারনে রবি শস্যের চাষাবাদ কম হতো। গম, চিনাবাদাম, মুগ ও মশুর ডাল চাষাবাদ হারিয়েই যেতে বসে উপজেলার পল্লীতে। উপজেলার পশ্চিমবাটি গ্রামের কৃষক ইয়াকুব আলী বলেন, এ এলাকায় একসময় গমের ব্যাপক চাষ হতো। সে সময় ভাল ফলন ও দাম না পাওয়ায় কৃষকরা মুখ ফিরিয়ে নেন। এখন বাজারে ভালো দাম ও কৃষি প্রযুক্তি আরও আধুনিক হওয়ায় এসব আবাদে আগ্রহস বাড়ছে বলে জানান, দুর্গাপুর গ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদ। হারিয়ে যাওয়া এসব ফসল চাষাবাদে আগ্রহ বাড়াতে কৃষকদের মাঝে কৃষি বিভাগের আওতায় প্রণোদনা হিসেবে রবি শস্যের বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে কৃষকদের মাঝে।

এরই মাঝে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিরে আওতায় উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ৪ হাজার দুই’শ ৪৫ জন কৃষকের মাঝে ৯ ধরনের রবিশস্য বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। কৃষকদের মাঝে এক হাজার ৫ শ’ জনকে ভুট্টা, ২৩ শ’ জনকে শরিষা, এ’শ ১০ জনকে চিনাবাদাম, ৬০ জনকে সূর্যমুখী, এক হাজার ৫০ জনকে গম, ৬০ জনকে মসুরডাল, ৩০ জনকে মুগডাল ও ৪৫ জনকে পেঁয়াজ বীজ প্রদান করা হয়েছে। প্রতিজন কৃষকের মাঝে বীজের সাথে ১০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সারও প্রদান করা হয়েছে।

উপজেলার কাঠুর গ্রামের কৃষক সৈয়দ জামান জানান, লাভবান হওয়ার আশায় বিগত দিনের ন্যায় এবার …………আবাদ করেছি। শস্যের আবাদ চাষে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের আগ্রহ বিগত দিনের চেয়ে বেড়েছে বলে জানালেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোবারক হোসেন। উপজেলা কৃষি অফিসার সাদেকুজ্জামান জানান, রবিশস্য আবাদ বাড়াতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ সহ নানা কর্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রণোদনা বিতরণের মাধ্যমে ফসল চাষাবাদে আরও আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের মাঝে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

সাঘাটায় রবিশস্য আবাদে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের

প্রকাশিত : ০২:৫৯:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২

বিগত দিনে বেশি ফলন ও ভালো দাম পেয়ে লাভবান হওয়ায় রবিশস্য আবাদে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। ফসলি জমিতে শুধু ধানের চাষাবাদে নির্ভর না হয়ে কৃষকরা রবিশস্যেরও আবাদ করছেন। এবার রবি মৌসুমে রবিশস্য চাষাবাদ বেড়েছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার চর সহ প্রত্যান্ত এলাকায়। পতিত জমি সহ বেশিরভাগ জমিতেই কৃষকরা গম, পেঁয়াজ, শরিষা, ভুট্টা, চিনাবাদাম, মুগডাল, মশুর ও বিভিন্ন ফসল আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবারও লাভবান হওয়ার স্বপ্ন কৃষকদের।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রবীণ কৃষকরা জানান, এক সময় এ এলাকায় মৌসুম অনুযায়ী সঠিক ফসল চাষাবাদ না করা, বীজ সংকট, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি নির্ভরতায় অনাগ্রহ, কষ্টার্জিত ফসলের দাম না পাওয়া ও প্রকৃতিগত ভাবে চাষাবাদ না হওয়ার মত নানা কারনে রবি শস্যের চাষাবাদ কম হতো। গম, চিনাবাদাম, মুগ ও মশুর ডাল চাষাবাদ হারিয়েই যেতে বসে উপজেলার পল্লীতে। উপজেলার পশ্চিমবাটি গ্রামের কৃষক ইয়াকুব আলী বলেন, এ এলাকায় একসময় গমের ব্যাপক চাষ হতো। সে সময় ভাল ফলন ও দাম না পাওয়ায় কৃষকরা মুখ ফিরিয়ে নেন। এখন বাজারে ভালো দাম ও কৃষি প্রযুক্তি আরও আধুনিক হওয়ায় এসব আবাদে আগ্রহস বাড়ছে বলে জানান, দুর্গাপুর গ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদ। হারিয়ে যাওয়া এসব ফসল চাষাবাদে আগ্রহ বাড়াতে কৃষকদের মাঝে কৃষি বিভাগের আওতায় প্রণোদনা হিসেবে রবি শস্যের বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে কৃষকদের মাঝে।

এরই মাঝে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিরে আওতায় উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ৪ হাজার দুই’শ ৪৫ জন কৃষকের মাঝে ৯ ধরনের রবিশস্য বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। কৃষকদের মাঝে এক হাজার ৫ শ’ জনকে ভুট্টা, ২৩ শ’ জনকে শরিষা, এ’শ ১০ জনকে চিনাবাদাম, ৬০ জনকে সূর্যমুখী, এক হাজার ৫০ জনকে গম, ৬০ জনকে মসুরডাল, ৩০ জনকে মুগডাল ও ৪৫ জনকে পেঁয়াজ বীজ প্রদান করা হয়েছে। প্রতিজন কৃষকের মাঝে বীজের সাথে ১০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সারও প্রদান করা হয়েছে।

উপজেলার কাঠুর গ্রামের কৃষক সৈয়দ জামান জানান, লাভবান হওয়ার আশায় বিগত দিনের ন্যায় এবার …………আবাদ করেছি। শস্যের আবাদ চাষে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের আগ্রহ বিগত দিনের চেয়ে বেড়েছে বলে জানালেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোবারক হোসেন। উপজেলা কৃষি অফিসার সাদেকুজ্জামান জানান, রবিশস্য আবাদ বাড়াতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ সহ নানা কর্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রণোদনা বিতরণের মাধ্যমে ফসল চাষাবাদে আরও আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের মাঝে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব