১২:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ময়মনসিংহে মানবতাবিরোধী মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মোখলেসুর রহমান মুকুলসহ ছয়জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন । সোমবার, ২৩ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামসহ তিন বিচারকের আদালত এ রায় দেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের আসামিরা হলেন, নুরুল হক ফকির, নাকিব হোসেন আদিল সরকার, শামসুল হক ফকির, সাইদুর রহমান রতন, মোখলেছুর রহমান মুকুল ও সুলতান মাহমুদ ফকির।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালের জুন-জুলাইয়ে ত্রিশাল উপজেলার আহমেদাবাদে এক স্কুলে ক্যাম্প স্থাপন করে রাজাকার বাহিনী। ওই সময়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নদী পারাপার করতেন কাকচর গ্রামের ইউনুছ আলী। ওই ক্যাম্পে ইউনুছকে আটক করে নিয়ে যান ২০ থেকে ২৫ জন ব্যক্তি। নির্যাতনের পর ১৫ আগস্ট ইউনুছকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ক্যাম্পে লুটপাট ও ধর্ষণের মতো অপরাধ চালায় রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা। এসব অভিযোগে ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত শুরুর পর ৩১ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ মামলায় চার্জগঠন করে বিচার কাজ শুরু করেন। তবে চার্জশিটে আসামির সংখ্যা ছিল ৯ জন।

২০১৫ সালে ময়মনসিংহের বিচারিক আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ইউনুছ আলীর ছেলে রুহুল আমিন। পরে আদালতের বিচারক আবেদা সুলতানা মামলাটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

ময়মনসিংহে মানবতাবিরোধী মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত : ০১:১৮:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মোখলেসুর রহমান মুকুলসহ ছয়জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন । সোমবার, ২৩ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামসহ তিন বিচারকের আদালত এ রায় দেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের আসামিরা হলেন, নুরুল হক ফকির, নাকিব হোসেন আদিল সরকার, শামসুল হক ফকির, সাইদুর রহমান রতন, মোখলেছুর রহমান মুকুল ও সুলতান মাহমুদ ফকির।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালের জুন-জুলাইয়ে ত্রিশাল উপজেলার আহমেদাবাদে এক স্কুলে ক্যাম্প স্থাপন করে রাজাকার বাহিনী। ওই সময়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নদী পারাপার করতেন কাকচর গ্রামের ইউনুছ আলী। ওই ক্যাম্পে ইউনুছকে আটক করে নিয়ে যান ২০ থেকে ২৫ জন ব্যক্তি। নির্যাতনের পর ১৫ আগস্ট ইউনুছকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ক্যাম্পে লুটপাট ও ধর্ষণের মতো অপরাধ চালায় রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা। এসব অভিযোগে ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত শুরুর পর ৩১ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ মামলায় চার্জগঠন করে বিচার কাজ শুরু করেন। তবে চার্জশিটে আসামির সংখ্যা ছিল ৯ জন।

২০১৫ সালে ময়মনসিংহের বিচারিক আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ইউনুছ আলীর ছেলে রুহুল আমিন। পরে আদালতের বিচারক আবেদা সুলতানা মামলাটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব