০৬:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মালিকের ফিফটিতে চট্টগ্রামকে ১৮০ রানের টার্গেট দিল রংপুর

মিরপুর শের ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান তুলেছে রংপুর। যার জন্য বড় কৃতিত্বের দাবিদার শোয়েব মালিক। এই ক্রিকেটার এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলেছেন ৭৫ রানের অপরাজিত এক ইনিংস। টানা দুই হার নিয়ে আজ ২৩ জানুয়ারি মাঠে নেমেছে মালিকের দল রংপুর এবং প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। যেখানে টসে জিতে রংপুরকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম।

আগে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর। এদিন দলটির হয়ে ওপেনিং নামেন শেখ মাহেদী এবং নাঈম শেখ। প্রথম দুই বল থেকে দুটি সিঙেল নেওয়ার পর তৃতীয় বলে সহজ এক ক্যাচ তুলে দেন মাহেদী।

চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোমের বল সোজাসুজি খেলতে গিয়ে কট এন্ড বোল্ড হয়ে ১ রান করে ফেরেন মাহেদী। তিনে নামেন পারভেজ হোসেন ইমন। দুই পাশে দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান থাকায় শুভাগত নিজে এবং আফিফকে দিয়ে বোলিং আক্রমণ চালিয়ে যান।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে এসে প্রথম বাউন্ডারি পায় রংপুর। শুভাগত হোমকে ডিপ মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছয় হাঁকান নাঈম শেখকে। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে জীবন পান পারভেজ ইমন। ব্যক্তিগত ১ রানে আফিফের বলে ক্যাচ তুলে দেন ইমন। তবে সহজ সেই ক্যাচ মিস করেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি। জীবন পেয়ে সেই ওভারে আফিফের উপর চড়াও হন ইমন এবং নাঈম শেখ। দুইজনই সেই ওভার থেকে বাউন্ডারি আদায় করে নেন।

কিন্তু পরের ওভারে শুভাগত হোমের বলে ব্যাট হাতে সংগ্রাম করা ইমন ফিরেন মাত্র ৬ রান করে। শুভাগতের বলে মিড অনের উপর দিকে উড়িয়ে মারতে গেলে জিয়াউর রহমানের হাতে ধরা পড়েন।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে শোয়েব মালিক এবং নাঈম দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ২৯ বলে ৫টি চার ও ১টি ছয়ে নাঈম ৩৪ রান করে ভিজয়কান্তের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।

নাঈম ফেরার পর অবশ্য শোয়েব মালিকের ব্যাটে দারুণভাবে কামব্যাক করে রংপুর। প্রথম দশ ওভারে খুব বেশি রান তুলতে না পারা রংপুর শেষের ১০ ওভার থেকে শতরানের চেয়েও বেশি তোলে।

প্রথম ১০ ওভারে রংপুর করে ৬২, শেষ ১০ ওভার থেকে তোলে ১১৭ রান। এরমধ্যে শোয়েব এবং আজমতউল্লাহ ওমরজাই জুটি চতুর্থ উইকেটে ১০৫ রান যোগ করে রানের গতি বাড়িয়ে দেন। ওমরজাই ২৪ বলে ১ চার ও ৪ ছয়ে ৪২ রান করে আউট হন।তবে শোয়েব মালিক মাত্র ২৯ বলে ২টি চার ও ৫ ছয়ে ফিফটি স্পর্শ করে ফেলেন। শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ৫টি করে চার ও ছয়ে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন মালিক। চট্টগ্রামের পক্ষে মেহেদী হাসান রানা ৩টি ও শুভাগত হোম নেন ২ উইকেট।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

মালিকের ফিফটিতে চট্টগ্রামকে ১৮০ রানের টার্গেট দিল রংপুর

প্রকাশিত : ০৩:২৯:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

মিরপুর শের ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান তুলেছে রংপুর। যার জন্য বড় কৃতিত্বের দাবিদার শোয়েব মালিক। এই ক্রিকেটার এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলেছেন ৭৫ রানের অপরাজিত এক ইনিংস। টানা দুই হার নিয়ে আজ ২৩ জানুয়ারি মাঠে নেমেছে মালিকের দল রংপুর এবং প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। যেখানে টসে জিতে রংপুরকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম।

আগে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর। এদিন দলটির হয়ে ওপেনিং নামেন শেখ মাহেদী এবং নাঈম শেখ। প্রথম দুই বল থেকে দুটি সিঙেল নেওয়ার পর তৃতীয় বলে সহজ এক ক্যাচ তুলে দেন মাহেদী।

চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোমের বল সোজাসুজি খেলতে গিয়ে কট এন্ড বোল্ড হয়ে ১ রান করে ফেরেন মাহেদী। তিনে নামেন পারভেজ হোসেন ইমন। দুই পাশে দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান থাকায় শুভাগত নিজে এবং আফিফকে দিয়ে বোলিং আক্রমণ চালিয়ে যান।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে এসে প্রথম বাউন্ডারি পায় রংপুর। শুভাগত হোমকে ডিপ মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছয় হাঁকান নাঈম শেখকে। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে জীবন পান পারভেজ ইমন। ব্যক্তিগত ১ রানে আফিফের বলে ক্যাচ তুলে দেন ইমন। তবে সহজ সেই ক্যাচ মিস করেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি। জীবন পেয়ে সেই ওভারে আফিফের উপর চড়াও হন ইমন এবং নাঈম শেখ। দুইজনই সেই ওভার থেকে বাউন্ডারি আদায় করে নেন।

কিন্তু পরের ওভারে শুভাগত হোমের বলে ব্যাট হাতে সংগ্রাম করা ইমন ফিরেন মাত্র ৬ রান করে। শুভাগতের বলে মিড অনের উপর দিকে উড়িয়ে মারতে গেলে জিয়াউর রহমানের হাতে ধরা পড়েন।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে শোয়েব মালিক এবং নাঈম দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ২৯ বলে ৫টি চার ও ১টি ছয়ে নাঈম ৩৪ রান করে ভিজয়কান্তের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।

নাঈম ফেরার পর অবশ্য শোয়েব মালিকের ব্যাটে দারুণভাবে কামব্যাক করে রংপুর। প্রথম দশ ওভারে খুব বেশি রান তুলতে না পারা রংপুর শেষের ১০ ওভার থেকে শতরানের চেয়েও বেশি তোলে।

প্রথম ১০ ওভারে রংপুর করে ৬২, শেষ ১০ ওভার থেকে তোলে ১১৭ রান। এরমধ্যে শোয়েব এবং আজমতউল্লাহ ওমরজাই জুটি চতুর্থ উইকেটে ১০৫ রান যোগ করে রানের গতি বাড়িয়ে দেন। ওমরজাই ২৪ বলে ১ চার ও ৪ ছয়ে ৪২ রান করে আউট হন।তবে শোয়েব মালিক মাত্র ২৯ বলে ২টি চার ও ৫ ছয়ে ফিফটি স্পর্শ করে ফেলেন। শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ৫টি করে চার ও ছয়ে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন মালিক। চট্টগ্রামের পক্ষে মেহেদী হাসান রানা ৩টি ও শুভাগত হোম নেন ২ উইকেট।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব