চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ আরেফিন নগরস্থ স্থায়ী ক্যাস্পাসে ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রামের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০ জনের অধিক প্রতিযোগী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করেন। সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় ও অলিম্পিয়াডের পতাকা ওড়ানোর পর বেলুন উড়িয়ে অলিম্পিয়াড উদ্বোধন করেন ইইই ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী আশুতোষ নাথ। পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী আবুল হাসানের সভাপতিত্বে পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মইনুল ইসলাম, প্রফেসর হযরত আলী, CPDL ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার তাইবুল আলম, RANKS FC সিইও তানভীর শাহারিয়ার রিমন প্রমুখ। উপস্থিত অতিথিবৃন্দ সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া প্রথম ১০জন শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক ক্যারিয়ার ক্লাবের এমন আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা এবং মেধা বিকাশে সহায়ক এমন অলিম্পিয়াড প্রতিবছর আয়োজনের আশা ব্যক্ত করেন।

অলিম্পিয়াডে প্রথম স্থান অর্জন করা চুয়েট শিক্ষার্থী নুরুল আলমের অনুভুতি জানতে চাইলে বলেন, এমন আয়োজন নিয়মিত হওয়া উচিত। তাহলে শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু জানতে এবং শিখতে পারবে। আমরা খুবই আনন্দিত ও গর্বিত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে।

কেন এই অলিম্পিয়াডের আয়োজন এই প্রশ্নের জবাবে ক্যারিয়ার ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ মিনার মন্ডল জানান, প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বে টিকে থাকার জন্য নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। এই অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষার্থীরা নিজেদের সুপ্ত প্রতিভাগুলোকে খুঁজে বের করছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা নিজেদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে ধারণা পাবে যেটা পরবর্তীতে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব