আগের টানা ৫ কার্যদিবসের ন্যায় বুধবারও দেশের শেয়ারবাজারে পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের শেয়ারবাজার টানা ৬ কার্যদিবস ধরে দরপতন হয়েছে। বুধবার অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে পাশাপাশি সূচক কমেছে তবে বেড়েছে লেনদেন। এদিকে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, টানা দরপতনের কারনে বিনিয়োগ নিয়ে আস্থাহীনতায় ভুগছে সাধারন বিনিয়োগকারীরা।
দেশের শেয়ারবাজারকে উত্থানে ফেরাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় নানা আশ্বাস ও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু এসব উদ্যোগ ও আশ্বাসেও শেয়ারবাজার ইতিবাচক প্রবণতায় ফিরছে না। এর ফলে শেয়ারবাজারে নিজেদের বিনিয়োগ নিয়ে প্রতিদিনই ঝুঁকিতে থাকতে হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। বুধবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬২৭ পয়েন্টে।
অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২০৮৫ পয়েন্টে। পতে শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩০৯ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে ৫৬০ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ৮৮ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৭২ কোটি টাকার। বুধবার ডিএসইতে হাত বদল হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১২০টির, কমেছে ১৭১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টির দর। অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭৩৭৮ পয়েন্টে।
অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৫০ সূচক ৪, সিএসই-৩০ সূচক ৪৯ ও সিএসসিএক্স ২৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩০৪, ১৫ হাজার ৬৮৮ ও ১০ হাজার ৪৯৭ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৯৫টির,কমেছে ১১৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির দর। সিএসইতে ২২ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২২ কোটি ৩১ লাখ টাকার।

























