ঈদ এলেই ডিজিটাল মাধ্যমে সক্রিয় হয়ে ওঠে বেশ কিছু প্রতারক চক্র। তারা কৌশলে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের তথ্য সংগ্রহ করেন। পরে হাতিয়ে নেন হাজার হাজার টাকা। এসব প্রতারক চক্র থেকে এখনই সাবধান থাকা জরুরি। ডিজিটাল মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গোপন নম্বরসহ ব্যক্তিগত তথ্য কেউ চাইলেও না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
‘হ্যালো……ব্যাংক থেকে বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু সমস্যা হয়েছে। এটি বন্ধ করে দেয়া হবে। সঠিক তথ্য দিতে পারলে আপনার অ্যাকাউন্টটি সচল রাখা হবে।’ এরপরই ব্যাংক কার্ডের নাম, নম্বর, পিতার নাম জানতে চাইলেন। এরপরই বললেন, আপনার নম্বরে একটি মেসেজ গেছে। পিন নম্বরটি বলুন। এরপর পিন নম্বর দিলেই সর্বনাশ। একইভাবে সামাজিক যোগাযোগ ও বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে বোনাস উপহারসহ নানা অফারের নামে চলছে প্রতারণা। বিভিন্ন ব্লগ, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কাউকে প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারক চক্র টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) বা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দেয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, শিওর ক্যাশ এর নামে ওয়েবসাইট খুলে অর্থ হাতিয়ে নিতে বিভিন্ন ফাঁদ তৈরি করছে প্রতারকরা।
রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন দক্ষিণ বনশ্রীর বাসিন্দা মো. আনওয়ার হোসেন (৪৪)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করছেন। তিনি এই ব্যাংকের ডেবিট কার্ডও ব্যবহার করেন শুরু থেকেই। গত ৪ এপ্রিল বিকেল ৪ টায় স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক এর কাস্টমার কেয়ার নাম্বার-১৬২৩৩ থেকে তার মোবাইল নম্বর ০১৭৮৭৩৬৯৬৭৬ এ কল দিয়ে একজন বলেন, ‘আপনার পিন নম্বর চার ডিজিট থেকে ছয় ডিজিটে আপডেট করার জন্য মেইল দেয়া হয়েছিল কিন্তু আপনি কোন রেসপন্স না করায় আপনার একাউন্ট ব্লক করা হবে।
পরবর্তীতে তার কাছে কিছু তথ্য চায় এবং তার নম্বরে একটি ওটিপি নম্বর আসে এবং তাকে তথা দিয়ে সহায়তা করতে বললে তিনি ওটিপি নম্বরটি দেন। তখন সাথে সাথে তার ফোনে এসএমএস আসে যে তার ব্যাংক একাউন্ট থেকে নগদে ৫০ হাজার টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি তৎক্ষনাৎ কলটি কেটে দেন এবং ব্যাংকে রিপোর্ট করেন। কিন্তু এ ব্যাপারে ব্যাকের কিছু করার নেই বলে ব্যাংক থেকে তাকে জানানো হয়।
এ ব্যাপারে তিনি খিলগাঁও থানায় ৬ এপ্রিল একটি সাধারণ ডায়রি করেন, যার নম্বর-৩৮৮। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে থানার এসআই আলাউলকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে এসআই আলাউলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি তদন্ত করে দেখছেন। শিগগিরই প্রতারক চক্র ধরা পড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
























