০৪:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

‘ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী : যাচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম কেন্দ্রে

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা এসব সরঞ্জাম কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন।
বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স থেকে রোববার দুপুর ১২টায় এই কার্যক্রম শুরু হয়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে সকাল ১০টায় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ব্রিফ করেন পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঁইয়া।
পরে সকাল ১১টায় তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক দুপুর ১২টায় খুলনা জিলা স্কুলে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন নগরে টহল থাকবে তাদের।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক দুপুর ১২টায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
নির্বাচিত হতে পারলে চলমান উন্নয়ন কাজের ধারা অব্যাহত রাখবেন বলে এ সময় জানান তিনি।
এদিকে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্র ও নগরের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ হাজার ৩০০ জন সদস্য। শনিবার দুপুর থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়কে টহল শুরু করেছে বিজিবি সদস্যরা।
থাকবেন ৪৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন ৫ হাজার ৭৬০ জন কর্মকর্তা।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, ভোট কেন্দ্রগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে ২ হাজার ৩০০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। ইভিএম মেশিন প্রয়োজন হচ্ছে প্রায় ৩ হাজার। পর্যবেক্ষক থাকবেন বেসরকারি দুটি সংস্থার ২০ জন ও নির্বাচন কমিশনের ১০ জন।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে খুলনা সিটি নির্বাচনের ভোট শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে। এবার মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ২২৯ জন।
এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত মো. শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা) ও জাকের পার্টি মনোনীত এসএম সাব্বির হোসেন (গোলাপফুল) এবং একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক (দেয়াল ঘড়ি)।
মেয়রপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক মহানগরীর পাইওনিয়ার বালিকা বিদ্যালয়ে ভোট দেবেন। শফিকুল ইসলাম মধু ভোট দেবেন সোনাডাঙ্গা কলেজিয়েট স্কুলে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল বানিয়াখামার দারুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসায় ভোট দেবেন। খুলনা আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেবেন শফিকুর রহমান মুশফিক। এছাড়া এস এম সাব্বির হোসেন ভোট দেবেন মতিয়াখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন, ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডে এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে জেড এ মাহমুদ ডন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
খুলনা বড়বাজার এলাকার ভ্যানচালক কবীর হাওলাদার বলেন, কপালে কি আছে জানিনা ভোট একখান দিমু ভোট দেয়ার কামধেন যে মনে আছে সে যদি হয় তো ভালো না হইতো সমস্যা নাই।
বয়রা বাজারে শাক বিক্রেতা নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, ভোট যাকেই দিই আর যাই করি শাক বিক্রি করে খাওয়া লাগবে। এবারের ভোটটা দিমু। আমার পছন্দের কাউন্সিলররে । তবে মনে হইতেছে তেমন কিছু ঘটবে না।
খুলনা বড় বাজারের মুদি দোকানদার লিটন বলেন, আমার মনে হয় খুলনায় শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। কারণ প্রশাসনের বাহিনী তৎপর ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যেকোনো স্থানে ফোন দিলে সাথে সাথে অ্যাকশন নিতে পারবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বিজনেস বাংলাদেশ/ bh

ট্যাগ :

কালিহাতীতে ১৩ লক্ষ টাকার চায়না জাল জব্দ

‘ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী : যাচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম কেন্দ্রে

প্রকাশিত : ০৬:৪৬:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা এসব সরঞ্জাম কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন।
বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স থেকে রোববার দুপুর ১২টায় এই কার্যক্রম শুরু হয়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে সকাল ১০টায় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ব্রিফ করেন পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঁইয়া।
পরে সকাল ১১টায় তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক দুপুর ১২টায় খুলনা জিলা স্কুলে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন নগরে টহল থাকবে তাদের।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক দুপুর ১২টায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
নির্বাচিত হতে পারলে চলমান উন্নয়ন কাজের ধারা অব্যাহত রাখবেন বলে এ সময় জানান তিনি।
এদিকে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্র ও নগরের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ হাজার ৩০০ জন সদস্য। শনিবার দুপুর থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়কে টহল শুরু করেছে বিজিবি সদস্যরা।
থাকবেন ৪৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন ৫ হাজার ৭৬০ জন কর্মকর্তা।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, ভোট কেন্দ্রগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে ২ হাজার ৩০০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। ইভিএম মেশিন প্রয়োজন হচ্ছে প্রায় ৩ হাজার। পর্যবেক্ষক থাকবেন বেসরকারি দুটি সংস্থার ২০ জন ও নির্বাচন কমিশনের ১০ জন।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে খুলনা সিটি নির্বাচনের ভোট শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে। এবার মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ২২৯ জন।
এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত মো. শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা) ও জাকের পার্টি মনোনীত এসএম সাব্বির হোসেন (গোলাপফুল) এবং একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক (দেয়াল ঘড়ি)।
মেয়রপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক মহানগরীর পাইওনিয়ার বালিকা বিদ্যালয়ে ভোট দেবেন। শফিকুল ইসলাম মধু ভোট দেবেন সোনাডাঙ্গা কলেজিয়েট স্কুলে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল বানিয়াখামার দারুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসায় ভোট দেবেন। খুলনা আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেবেন শফিকুর রহমান মুশফিক। এছাড়া এস এম সাব্বির হোসেন ভোট দেবেন মতিয়াখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন, ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডে এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে জেড এ মাহমুদ ডন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
খুলনা বড়বাজার এলাকার ভ্যানচালক কবীর হাওলাদার বলেন, কপালে কি আছে জানিনা ভোট একখান দিমু ভোট দেয়ার কামধেন যে মনে আছে সে যদি হয় তো ভালো না হইতো সমস্যা নাই।
বয়রা বাজারে শাক বিক্রেতা নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, ভোট যাকেই দিই আর যাই করি শাক বিক্রি করে খাওয়া লাগবে। এবারের ভোটটা দিমু। আমার পছন্দের কাউন্সিলররে । তবে মনে হইতেছে তেমন কিছু ঘটবে না।
খুলনা বড় বাজারের মুদি দোকানদার লিটন বলেন, আমার মনে হয় খুলনায় শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। কারণ প্রশাসনের বাহিনী তৎপর ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যেকোনো স্থানে ফোন দিলে সাথে সাথে অ্যাকশন নিতে পারবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বিজনেস বাংলাদেশ/ bh