সাধারণ তাঁতিদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করা ও জাতীয় তাঁতি সমিতির বিরম্নদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে একটা গ্রম্নপ। তারা নিজেদের স্বার্থে সাধারণ তাঁতিদের বিরম্নদ্ধে অবস্থান নিয়ে সরকার এবং জাতীয় তাঁতি সমিতির নানান অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন জাতীয় তাঁতি সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন। প্রান্তিক তাঁতীরা যেন বাচঁতে সে জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রম্ননি মিলনায়তনে সাধারন তাঁতিদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারের নতুন শর্ত মেনে সাধারণ তাঁতিরা সঠিকভাবে প্রয়োজনীয় সুতা পাচ্ছেন এবং সবাই লাভবান হচ্ছেন। একটি চক্রান্তকারি গ্রম্নপের বিরম্নদ্ধে অবস্থান নিয়ে নানা প্রকার অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা মুলত কোন তাঁতি নয়। এজন্য সরকারের কাছে আমাদের দাবি তাদের বিরম্নদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশেষ ব্যবস্থা দাবি করছি।

তিনি আরও বলেন, সরকারের নতুন শর্তগুলো হলো আমদানিকারকরা নিজেদের এলাকার ব্যাংকে এলসি খুলবে এবং তাঁতি বোর্ড, স্থানীয় প্রশাসনের অবগত রেখে পূর্ব ঘোষিত সময়ে তাঁতিদেরকে সুতা বিতরণ করা হয়। কিন্তু অসাধু চক্রটি এই নিয়ম মেনে সুতা নিতে রাজি নয়। তাদের সুবিধামত সুযোগ চাচ্ছে। লিখিত বক্তব্য জাতীয় তাঁতি সমিতির সভাপতি বলেন, গত ৪ আগস্ট মো. ফজলুল হক প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি একজন প্রক্তন ব্যাংক কর্মচারী। বর্তমানে নারায়নগঞ্জে সুতার ব্যবসা করেন। তিনি তাঁতি হলেন কিভাবে বা তাঁর তাঁতে কি পণ্য উৎপাদন হয় সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।

জানা যায় তিনি অনেক দিন ধরে সুতার ব্যবসায় নিয়োজিত। পাবনা জেলার দোগাছিতে ‘দোগাছি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড প্রাথমিক তাঁতি সমিতি’ এর নামে সুতা বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হওয়ায় তার নামে দূর্নিতি দমন কমিশনে মামলা চলমান। এ গ্রম্নপের অন্যতম সদস্য মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। তিনি জাতীয় তাঁতি সমিতির সাবেক সভাপতি। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় তাঁত সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ। এছাড়াও ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় তাঁত সমিতির পরিচালক মো. জাহিদুল ইসলাম, মো, লুৎফর রহমান, মো. আঃ গনি মোল্লা, মো. আলী হোসেন, মো আশরাফ আলী, হযরত আলী প্রমুখ।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এনআই