০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বেস্ট ফ্রেন্ডকে বিয়ে করার অসুবিধা

বেস্ট ফ্রেন্ড মানে কোনো লুকোচুরি না রেখেই মনের সব কথা বলতে পারা। যেকোনো হাসি, আনন্দ, দুখঃ, সুখ নিঃসংকোচে ভাগাভাগি করতে জানা। অনেক ছেলে-মেয়ের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। কখনো কখনো তা বন্ধুত্বের থেকেও বেশি কিছু হয়ে ওঠে। দুজনের হৃদয়েই সাড়া মিললে তখন হয়তো সেই সম্পর্ক পরিণয়ের দিকে এগিয়ে যায়। তবে বেস্ট ফ্রেন্ডকে বিয়ে করার কিছু অসুবিধা রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

অতিরিক্ত আকাঙ্ক্ষা

বেস্ট ফ্রেন্ডকে বিয়ে করার প্রধান অসুবিধার মধ্যে একটি হলো এতে উভয়েরই অতিরিক্ত আকাঙ্ক্ষা বা প্রত্যাশা থাকে। একে অপরকে খুব ভালোভাবে জানার কারণে না বললেও অনেক কথা বুঝে নেওয়া যায়। এ কারণেই একে অপরের কাছে প্রত্যাশা থাকে অনেক বেশি। তবে মনে রাখবেন, কেউ কারও মন পড়তে পারে না। সে যদি বেস্ট ফ্রেন্ড হয়, তবু পারবে না। তাই অতিরিক্ত আকাঙ্ক্ষা বাদ দিয়ে খোলাখুলি মনের কথা বলুন।

রহস্য থাকে না

রোমান্টিক সম্পর্কের সঙ্গে রহস্য এবং আবিষ্কারের একটি সংযোগ থাকে। বেস্ট ফ্রেন্ডকে বিয়ে করলে সেই রহস্য ম্লান হতে পারে। এতে রোমান্টিকতা কিছুটা কমে আসতে পারে। এটি মোকাবিলা করার জন্য একে অপরকে বিভিন্নভাবে চমক দেওয়ার চেষ্টা করুন। সম্পর্কে বিস্ময় এবং উত্তেজনার উপাদান রেখে রোম্যান্সকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করুন।

রোমন্টিকতা কম

স্বামী/স্ত্রী এবং বন্ধু হওয়ার মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বন্ধুত্বের কারণে গা-ছাড়া ভাব চলে আসতে পারে এবং এটি সম্পর্কের রোমান্টিক দিকগুলোকে অবহেলা করতে পারেন। বৈবাহিক সম্পর্কের রোমান্টিক দিক বজায় রাখার জন্য সচেতন প্রচেষ্টা জরুরি। নিজেদের মধ্যে বিশেষ বিশেষ মুহূর্ত তৈরি করুন, মমতা প্রকাশ করুন এবং ভালোবাসাকে বাঁচিয়ে রাখুন।

দ্বন্দ্ব

যেকোনো দাম্পত্যেই মতবিরোধ এবং দ্বন্দ্ব অনিবার্য, তবে এটি আরও কঠিন হতে পারে যখন আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড আপনার জীবনসঙ্গী হয়। তর্কের সময় বন্ধু এবং জীবনসঙ্গীর মধ্যে গুলিয়ে ফেলতে পারেন। আপনাদের বন্ধুত্বের ক্ষতি না করে কীভাবে দ্বন্দ্বগুলো মিটমাট করতে হয় তা শিখুন।

স্বাধীনতা বজায় রাখা

বেস্ট ফ্রেন্ড হওয়াটা চমৎকার হলেও, ব্যক্তিগত পরিচয় এবং আগ্রহের জায়গা বজায় রাখাও অপরিহার্য। আপনাদের উভয়ের জন্যই শখ, সামাজিক জীবন এবং ব্যক্তিগত সময় বরাদ্দ রাখুন। যাতে স্বাধীনতা বজায় রাখা সহজ হয়।

বন্ধুত্ব হারানোর ভয়

বিয়ের পরে যদি রোমান্টিক সম্পর্ক ব্যর্থ হয়, তাহলে দুজনের বন্ধুত্ব অপূরণীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই উদ্বেগ মোকাবিলা করার জন্য বিশ্বাস এবং ভালোবাসার একটি শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তোলার দিকে মন দিন। একে অপরের সঙ্গে সমস্ত ভয় এবং উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করুন। দু’জনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব বাঁচিয়ে রাখা সহজ হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

বেস্ট ফ্রেন্ডকে বিয়ে করার অসুবিধা

প্রকাশিত : ০১:৪৬:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বেস্ট ফ্রেন্ড মানে কোনো লুকোচুরি না রেখেই মনের সব কথা বলতে পারা। যেকোনো হাসি, আনন্দ, দুখঃ, সুখ নিঃসংকোচে ভাগাভাগি করতে জানা। অনেক ছেলে-মেয়ের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। কখনো কখনো তা বন্ধুত্বের থেকেও বেশি কিছু হয়ে ওঠে। দুজনের হৃদয়েই সাড়া মিললে তখন হয়তো সেই সম্পর্ক পরিণয়ের দিকে এগিয়ে যায়। তবে বেস্ট ফ্রেন্ডকে বিয়ে করার কিছু অসুবিধা রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

অতিরিক্ত আকাঙ্ক্ষা

বেস্ট ফ্রেন্ডকে বিয়ে করার প্রধান অসুবিধার মধ্যে একটি হলো এতে উভয়েরই অতিরিক্ত আকাঙ্ক্ষা বা প্রত্যাশা থাকে। একে অপরকে খুব ভালোভাবে জানার কারণে না বললেও অনেক কথা বুঝে নেওয়া যায়। এ কারণেই একে অপরের কাছে প্রত্যাশা থাকে অনেক বেশি। তবে মনে রাখবেন, কেউ কারও মন পড়তে পারে না। সে যদি বেস্ট ফ্রেন্ড হয়, তবু পারবে না। তাই অতিরিক্ত আকাঙ্ক্ষা বাদ দিয়ে খোলাখুলি মনের কথা বলুন।

রহস্য থাকে না

রোমান্টিক সম্পর্কের সঙ্গে রহস্য এবং আবিষ্কারের একটি সংযোগ থাকে। বেস্ট ফ্রেন্ডকে বিয়ে করলে সেই রহস্য ম্লান হতে পারে। এতে রোমান্টিকতা কিছুটা কমে আসতে পারে। এটি মোকাবিলা করার জন্য একে অপরকে বিভিন্নভাবে চমক দেওয়ার চেষ্টা করুন। সম্পর্কে বিস্ময় এবং উত্তেজনার উপাদান রেখে রোম্যান্সকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করুন।

রোমন্টিকতা কম

স্বামী/স্ত্রী এবং বন্ধু হওয়ার মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বন্ধুত্বের কারণে গা-ছাড়া ভাব চলে আসতে পারে এবং এটি সম্পর্কের রোমান্টিক দিকগুলোকে অবহেলা করতে পারেন। বৈবাহিক সম্পর্কের রোমান্টিক দিক বজায় রাখার জন্য সচেতন প্রচেষ্টা জরুরি। নিজেদের মধ্যে বিশেষ বিশেষ মুহূর্ত তৈরি করুন, মমতা প্রকাশ করুন এবং ভালোবাসাকে বাঁচিয়ে রাখুন।

দ্বন্দ্ব

যেকোনো দাম্পত্যেই মতবিরোধ এবং দ্বন্দ্ব অনিবার্য, তবে এটি আরও কঠিন হতে পারে যখন আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড আপনার জীবনসঙ্গী হয়। তর্কের সময় বন্ধু এবং জীবনসঙ্গীর মধ্যে গুলিয়ে ফেলতে পারেন। আপনাদের বন্ধুত্বের ক্ষতি না করে কীভাবে দ্বন্দ্বগুলো মিটমাট করতে হয় তা শিখুন।

স্বাধীনতা বজায় রাখা

বেস্ট ফ্রেন্ড হওয়াটা চমৎকার হলেও, ব্যক্তিগত পরিচয় এবং আগ্রহের জায়গা বজায় রাখাও অপরিহার্য। আপনাদের উভয়ের জন্যই শখ, সামাজিক জীবন এবং ব্যক্তিগত সময় বরাদ্দ রাখুন। যাতে স্বাধীনতা বজায় রাখা সহজ হয়।

বন্ধুত্ব হারানোর ভয়

বিয়ের পরে যদি রোমান্টিক সম্পর্ক ব্যর্থ হয়, তাহলে দুজনের বন্ধুত্ব অপূরণীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই উদ্বেগ মোকাবিলা করার জন্য বিশ্বাস এবং ভালোবাসার একটি শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তোলার দিকে মন দিন। একে অপরের সঙ্গে সমস্ত ভয় এবং উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করুন। দু’জনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব বাঁচিয়ে রাখা সহজ হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে