দরপতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি দেশের শেয়ারবাজার। সোমবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান মূল্য সূচক কমেছে। এর মাধ্যমে উভয় বাজারের প্রধান মূল্য সূচক টানা ৬ কার্যদিবস কমলো। হপ্রধান মূল্য সূচক কমলেও সোমবার ডিএসইতে ডিএসই-৩০ এবং ডিএসই শরিয়াহ সূচক কিছুটা বেড়েছে। আর সিএসইতে সিএসই-৩০ এবং সিএসআই সূচক কিছুটা বেড়েছে।

সূচকে এমন মিশ্রভাব দেখা দিলেও দুই বাজারেই কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সেই সঙ্গে এদিন লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৮৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় কমেছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ১০০টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৫২টির। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার কারণে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩১৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৭০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৩৫ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪০২ কোটি ৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪২৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ২৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্জারের ১৫ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নাহি অ্যালুমিনিয়াম।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল, বেক্সিমকো, বিএসআরএম, মুন্নু সিরামিক, লিগাসি ফুটওয়্যার এবং গ্রামীণ ফোন। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ৩১ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ৯০১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ২১ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২২১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৪টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির।