২০০৮ সালের নির্বাচনে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু মহাজোটের হয়ে নৌকা প্রতীকে কুষ্টিয়া-২ আসন থেকে নির্বাচন করে জয়ী হন। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এ আসনে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর অন্যতম শরিক দল জাসদ। এবার আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা আসনটি জাসদকে ছেড়ে দিতে নারাজ। নির্বাচনে হাসানুল হক ইনু পুনরায় নৌকার প্রার্থী হলে তাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান বলে জানা গেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার চারটি আসনের মধ্যে তিনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনটি আসনেই প্রার্থী অপরিবর্তিত রয়েছেন। তবে জোটগত কারণে কুষ্টিয়া-২ আসনে প্রার্থীর নাম প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন কামারুল আরেফিন। মঙ্গলবার(২৮ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
কামারুল আরেফিন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। দলীয় মনোনয়ন ফরমও উত্তোলন করেছিলেন তিনি।
কামারুল আরেফিন মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২য় বারের মত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে কামারুল আরেফিন
বলেন, আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। যেকোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হলে নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী বর্তমান পদ ছাড়তে হয়। জনগণের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। এলাকার উন্নয়নের জন্য জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই।
তিনি ইনুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনি (ইনু) প্রায়ই বলেন ২০ পয়সা ছাড়া নাকি ৮০ পয়সা অচল। ২০ পয়সা না হলে ৮০ পয়সা নাকি ১০০ পয়সা হয় না। তাই বলতে চাই এবার ৮০ পয়সাকে ছাড় দিয়ে নির্বাচনের মাঠে আসুন।
কামারুল আরেফিনের সমর্থকরা জানান, মিরপুর-ভেড়ামারায় কামারুল আরেফিনের জনপ্রিয়তায় অন্যান্য প্রার্থীর চেয়ে বহুগুণে বেশি। আওয়ামী লীগের বাহিরেও দলমত নির্বিশেষে তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। সাধারণ মানুষের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাই তিনি নির্বাচনের মাঠে লড়াই করতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ হতে পদত্যাগ করেছেন। জয়ের মালা এবার তার গলায় জড়াবে বলে জানান সমর্থকরা।
এই সংসদীয় আসনটিতে বর্তমান সংসদ সদস্য জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। এই আসন থেকে পুনরায় নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য তিনি রবিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে মিরপুর উপজেলা পরিষদে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তার মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ