০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

শেয়ারবাজারে প্রধান সূচক বেড়েছে

লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও ব্যাংক খাতের কল্যাণে সোমবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক পতনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। তবে কমেছে অন্য দুটি মূল্য সূচক। এর আগে রোববার দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া সিংহভাগ ব্যাংক কোম্পানির শেয়ারের দামে পতন হয়। ফলে বড় পতন হয় মূল্য সূচকেরও। ওই ব্যাংক খাতের মাত্র ২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ে, বিপরীতে কমে ২২টির দাম।

তবে সোমবার লেনদেনের শুরুতেই ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার দামে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন হওয়া প্রায় সবকটি ব্যাংকের শেয়ার দাম বাড়ে। ফলে বড় উত্থানের ইঙ্গিত দেয় মূল্য সূচক। কিন্তু বেলা ১১টার পর একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমতে থাকে। অন্য খাতের সঙ্গে ব্যাংক খাতের কিছু প্রতিষ্ঠানও যোগ দেয় সেই তালিকায়। ফলে বড় উত্থানের পরিবর্তে এক সময় বড় দরপতনের শঙ্কা দেখা দেয়। কিন্তু লেনদেন শেষে বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার দাম বাড়ায় পতনের হাত থেকে রক্ষা পায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক। বাজারটিতে লেনদেন হওয়া ১৫টি ব্যাংকের শেয়ার দাম বাড়ে, বিপরীতে কমে ৯টির। আর ডিএসইতে সবখাত মিলে লেনদেন হওয়া ১৩৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৭টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার পরও ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩২৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে অপর দু’টি মূল্য সূচকেরই পতন হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৫২ পয়েন্টে অবস্থা করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২২৮ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪০৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৪২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার।

কোম্পানিটির ৩২ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মাসেউটিক্যালের ২০ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গ্রামীণ ফোন।লেনদেনে এরপর রয়েছে- ফর্মা এইড, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, মুন্নু সিরামিক, পপুলার লাইফ, বেক্সিমকো, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং এবং লিগাসি ফুটওয়্যার। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ২১ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ৯০৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে মাত্র ১০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২১১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১০টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার মনোনয়নপত্র জমা

শেয়ারবাজারে প্রধান সূচক বেড়েছে

প্রকাশিত : ১০:১৭:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ জুন ২০১৮

লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও ব্যাংক খাতের কল্যাণে সোমবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক পতনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। তবে কমেছে অন্য দুটি মূল্য সূচক। এর আগে রোববার দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া সিংহভাগ ব্যাংক কোম্পানির শেয়ারের দামে পতন হয়। ফলে বড় পতন হয় মূল্য সূচকেরও। ওই ব্যাংক খাতের মাত্র ২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ে, বিপরীতে কমে ২২টির দাম।

তবে সোমবার লেনদেনের শুরুতেই ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার দামে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন হওয়া প্রায় সবকটি ব্যাংকের শেয়ার দাম বাড়ে। ফলে বড় উত্থানের ইঙ্গিত দেয় মূল্য সূচক। কিন্তু বেলা ১১টার পর একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমতে থাকে। অন্য খাতের সঙ্গে ব্যাংক খাতের কিছু প্রতিষ্ঠানও যোগ দেয় সেই তালিকায়। ফলে বড় উত্থানের পরিবর্তে এক সময় বড় দরপতনের শঙ্কা দেখা দেয়। কিন্তু লেনদেন শেষে বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার দাম বাড়ায় পতনের হাত থেকে রক্ষা পায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক। বাজারটিতে লেনদেন হওয়া ১৫টি ব্যাংকের শেয়ার দাম বাড়ে, বিপরীতে কমে ৯টির। আর ডিএসইতে সবখাত মিলে লেনদেন হওয়া ১৩৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৭টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার পরও ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩২৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে অপর দু’টি মূল্য সূচকেরই পতন হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৫২ পয়েন্টে অবস্থা করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২২৮ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪০৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৪২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার।

কোম্পানিটির ৩২ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মাসেউটিক্যালের ২০ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গ্রামীণ ফোন।লেনদেনে এরপর রয়েছে- ফর্মা এইড, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, মুন্নু সিরামিক, পপুলার লাইফ, বেক্সিমকো, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং এবং লিগাসি ফুটওয়্যার। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ২১ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ৯০৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে মাত্র ১০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২১১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১০টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির।