১০:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪

স্মার্ট উদ্যােক্তা তৈরি করবে পদ্মা ব্যাংক

  • নাজমুল ইসলাম
  • প্রকাশিত : ১২:১১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 109

তারেক রিয়াজ খান, এমডি পদ্মা ব্যাংক পিএলসি

কুটির, ক্ষুদ্র, ছােট ও মাঝারি সিএমএসএমই ঋণ দিয়ে এগিয়ে যেতে চাচ্ছি। এই মুহুর্তে করর্পােরেট ঋণে যেতে চাচ্ছি না। কারণ দেশে সিএমএসএমই খাতে কাজ করার অনেক সুযাগ রয়েছে। এতে করে যেমন দেশের মানুষের উপকার অন্যদিকে ব্যাংকেরও উপকার হবে। কারণ সিএমএসএমই খাতে ঋণ দেয়া যেমন নিরাপদ অন্য দিকে অনেক মানুষের সাথে ব্যাংকিং করার সুযােগ হবে বলে মনে করেন পদ্মা ব্যাংক পিএলসির এমডি এবং সিইও তারেক রিয়াজ খান। ২০১২ সালে অনুমােদন দেয়া হয় নতুন প্রজন্মের ফারমার্স ব্যাংককে। পরে নানা অনিয়মের কারণে ২০১৯ সালে নাম পরির্তন করে ঐ ব্যাংকই এখন পদ্মা ব্যাংক। ২০১৯ সাল থেকে নতুন ব্যাবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে ব্যাংকটি। বর্তমানে ব্যাংকটির এমডি এবং সিইও তারেক রিয়াজ খান।ব্যাংকটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানাতে বিশেষ সাক্ষাৎ কার নিয়েছে আজকের বিজনেস বাংলাদেশের নিজস্ব প্রতিবেদক নাজমুল ইসলাম

বিজনেস বাংলাদেশ: গত দুই বছরে ব্যাংকটির কি কি সাফল্য রয়েছে?

তারেক রিয়াজ খান: বর্তমানে পদ্মা ব্যাংকে ১ লাখ ৫০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে গত দুই বছরেই গ্রাহক বেড়েছে প্রায় ২৫ হাজারের মত। এছাড়া অনেক সংকটের মধ্যে গত তিন বছরে সাড়ে ৩’শ কােটি টাকা আমানত পেয়েছি। তাতে বর্তমানে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৪১কােটি টাকা। ঋণ বিতরণের পরিমাণ ৫ হাজার ৭৪১ কােটি টাকা। খেলাপির ঋণ ৬৭ শতাংশ থেকে ৬১ দশমিক ৮৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়া পাঁচটি ইসলামী উইন্ডাে চালু করেছি। গত দুই বছরে দুটি পূর্ণাঙ্গ শাখা এবং ১৪টি উপশাখা বেড়েছে পদ্মা ব্যাংকের। গত পাঁচ বছরে পদ্মা ব্যাংকের পর্ষদের সহযােগিতায় ও কর্মীদের দক্ষতার কারণে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের ৮৭৪ কােটি টাকা পরিশােধ করা হয়েছে। একই সময়ে সাধারণ আমানতকারীদের প্রায় তিন হাজার কােটি টাকা পরিশােধ করা হয়েছে। এগুলাে ছিল বড় অর্জন।

বিজনেস বাংলাদেশ: ব্যাংকের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানাবেন কী ?

তারেক রিয়াজ খান: ব্যাংকের ভালাে ও নির্ভরযােগ্য বাের্ড অফ ডিরেক্টরস রয়েছেন। বাের্ড ও ব্যাবস্থাপনা পরিষদের মধ্যে স্বচ্ছতা রয়েছে। অনেক পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। প্রথমত একটি ভালাে ব্যাংক তৈরি করতে যা যা পরিকল্পনা দরকার সব ধরণের পরিকল্পনা নেয়া আছে। আগামী ২০৩৩ সালের মধ্যে খলাপি ঋণ সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনা। আমানত বাড়ানাে, ঋণ বিতরণের পাশাপাশি আদায়ের দিকও জাের বেশি দিচ্ছি। এছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে পদ্মা ব্যাংক গ্রাহককে স্মাট সেবা দেয়া নিশ্চিতে কাজ করছে। পদ্মা ব্যাংক এখন প্রান্তিক মানুষকে সেবা দিবে। প্রান্তিক মানুষের মাঝে সকল ধরনের সেবা দিয়ে স্মার্ট স্মার্ট উদ্যোক্তা তৈরি করবে। বর্তমানে পদ্মা ব্যাংকের ৬০টি শাখা, ও ৬টি উপশাখা রয়েছে। এবছরে আরও ৩০টি উপশাখা করার পরিকল্পনা চলছে। যা শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। এই উপশাখাগুলাে
আমরা চাচ্ছি গ্রামীণ পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করতে।

বিজনেস বাংলাদেশ: আমানত সংগ্রহের ক্ষেত্রে কোন নিয়ম চালু রয়েছে কী ?

তারেক রিয়াজ খান: আমানতর জন্য বিশেষ কিছু নিয়ম চালু করেছি। যেখানে প্রতিদিন ব্যাংক আমানত রেখে প্রতিদিন মুনাফা নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া আকর্ষণীয় কিছু স্ক্রীম চালু রয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন চারটি ব্যাংকিং নিয়ম রয়েছে পদ্মা ব্যাংকে। নিয়মগুলো হলো
পদ্মা নেক্সটজন অ্যাকাউট, পদ্মা মাস্টার মাইন্ড অ্যাকাউট, পদ্মা স্পিরিট মালি ডিপােজিট প্ল্যান এবং পদ্মা ব্যাংক স্টুডেন্ট ফাইল। এছাড়া রয়েছে মাসিক ইনকাম স্কিম, টার্গট ডিপােজিট স্কিম এবং পদ্মা অগ্রজ নামে আমানতের স্কিম চালু রয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ: আরাে অনেক ব্যাংক থাকতে কেন গ্রাহকরা পদ্মা ব্যাংকে আসবে?

তারেক রিয়াজ খান: আসলেই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন কেন আসবে? কারণ গ্রাহকদের সকল ধরনের সেবা রয়েছে হাতের মুঠোয়। পদ্মা ব্যাংকের সার্বিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। গ্রাহকদের সাড়া ভালো পাচ্ছি বিধায় আমানত ও গ্রাহক সংখ্যা বাড়ছে। গত দুই বছরে গ্রাহক বেড়েছে প্রায় ২৫ হাজারের মত। তাতে প্রায় ৮০০ কােটি টাকা আমানত বেড়েছে। ফলে আমানত ও গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়া গ্রাহকরা ঘরে বসে সব ধরনের সেবা পেতে সকলের জন্য রয়েছে একটি অ্যাপ, নাম পদ্মা ওয়ালট। এই অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকরা ঘরে বসেই ব্যাংকের একাউন্ট খােলা থেকে শুরু করে সব ধরণের লেনদেন করতে পারে। এছাড়া পদ্মা ব্যাংকের ডেবিট কার্ড দিয়ে ‘বিনা মাশুলে’ দেশের যেকােন ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তুলতে পারছেন গ্রাহকরা। গ্রাহকের নিরাপদ ও দ্রুত ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিতে কার ব্যাংকিং সিস্টেম চালু করেছে পদ্মা ব্যাংক। এছাড়া অনলাইনেও আমাদের ব্যাংকের সেবা মিলছে দেশে ও দেশের বাইরে থেকে।

বিজনেস বাংলাদেশ: সবচেয়ে বেশি ঋণ দিয়েছেন কােন খাতে ?

তারেক রিয়াজ খান: কুটির, ক্ষুদ্র, ছােট ও মাঝারি সিএমএসএমই ঋণ দিয়ে এগিয়ে যেগে চাচ্ছি।
এই মুহুর্তে কর্পোরেট ঋণের আগ্রহ কম। প্রান্তিক পর্যায়ে মানুষের সেবা দেয়ার জন্য এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম এর পাশাপাশি উপশাখার ওপর বেশি নজর দিচ্ছি। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক অবস্থা চাঙ্গা করতে আমরা অবদান রাখতে চাই।

কটেজ, মাইক্রাে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি সিএমএসএমই খাতে ঋণ দেয়ার পাশাপাশি, গাড়ি কেনা ও বাড়ি তৈরির জন্য ঋণ বেশি দিচ্ছি। কারণ সিএমএসএমই খাত ঋণ দেয়া যেমন নিরাপদ অন্য দিকে অনেক মানুষের সাথে ব্যাংকিং করার সুযাগ থাকে।

বিজনেস বাংলাদেশ: পদ্মা ব্যাংকের চ্যালেঞ্জগুলাে জানতে চাই ?

তারেক রিয়াজ খান: পদ্মা ব্যাংকের বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তারমধ্যে আমানত সংকট। বড় খেলাপির কাছ থেকে ঋণ আদায়। এছাড়া যেসব খেলাপিদের নামে মামলা রয়েছে সেগুলাে থেকে দ্রুত অর্থ আদায় করাটা আমাদের জন্য মূখ্য চ্যালেঞ্জ।

বিজনেস বাংলাদেশ/DS

নরসিংদীতে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন রোগীদের মাঝে কোটি টাকার চেক বিতরণ

স্মার্ট উদ্যােক্তা তৈরি করবে পদ্মা ব্যাংক

প্রকাশিত : ১২:১১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কুটির, ক্ষুদ্র, ছােট ও মাঝারি সিএমএসএমই ঋণ দিয়ে এগিয়ে যেতে চাচ্ছি। এই মুহুর্তে করর্পােরেট ঋণে যেতে চাচ্ছি না। কারণ দেশে সিএমএসএমই খাতে কাজ করার অনেক সুযাগ রয়েছে। এতে করে যেমন দেশের মানুষের উপকার অন্যদিকে ব্যাংকেরও উপকার হবে। কারণ সিএমএসএমই খাতে ঋণ দেয়া যেমন নিরাপদ অন্য দিকে অনেক মানুষের সাথে ব্যাংকিং করার সুযােগ হবে বলে মনে করেন পদ্মা ব্যাংক পিএলসির এমডি এবং সিইও তারেক রিয়াজ খান। ২০১২ সালে অনুমােদন দেয়া হয় নতুন প্রজন্মের ফারমার্স ব্যাংককে। পরে নানা অনিয়মের কারণে ২০১৯ সালে নাম পরির্তন করে ঐ ব্যাংকই এখন পদ্মা ব্যাংক। ২০১৯ সাল থেকে নতুন ব্যাবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে ব্যাংকটি। বর্তমানে ব্যাংকটির এমডি এবং সিইও তারেক রিয়াজ খান।ব্যাংকটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানাতে বিশেষ সাক্ষাৎ কার নিয়েছে আজকের বিজনেস বাংলাদেশের নিজস্ব প্রতিবেদক নাজমুল ইসলাম

বিজনেস বাংলাদেশ: গত দুই বছরে ব্যাংকটির কি কি সাফল্য রয়েছে?

তারেক রিয়াজ খান: বর্তমানে পদ্মা ব্যাংকে ১ লাখ ৫০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে গত দুই বছরেই গ্রাহক বেড়েছে প্রায় ২৫ হাজারের মত। এছাড়া অনেক সংকটের মধ্যে গত তিন বছরে সাড়ে ৩’শ কােটি টাকা আমানত পেয়েছি। তাতে বর্তমানে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৪১কােটি টাকা। ঋণ বিতরণের পরিমাণ ৫ হাজার ৭৪১ কােটি টাকা। খেলাপির ঋণ ৬৭ শতাংশ থেকে ৬১ দশমিক ৮৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়া পাঁচটি ইসলামী উইন্ডাে চালু করেছি। গত দুই বছরে দুটি পূর্ণাঙ্গ শাখা এবং ১৪টি উপশাখা বেড়েছে পদ্মা ব্যাংকের। গত পাঁচ বছরে পদ্মা ব্যাংকের পর্ষদের সহযােগিতায় ও কর্মীদের দক্ষতার কারণে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের ৮৭৪ কােটি টাকা পরিশােধ করা হয়েছে। একই সময়ে সাধারণ আমানতকারীদের প্রায় তিন হাজার কােটি টাকা পরিশােধ করা হয়েছে। এগুলাে ছিল বড় অর্জন।

বিজনেস বাংলাদেশ: ব্যাংকের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানাবেন কী ?

তারেক রিয়াজ খান: ব্যাংকের ভালাে ও নির্ভরযােগ্য বাের্ড অফ ডিরেক্টরস রয়েছেন। বাের্ড ও ব্যাবস্থাপনা পরিষদের মধ্যে স্বচ্ছতা রয়েছে। অনেক পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। প্রথমত একটি ভালাে ব্যাংক তৈরি করতে যা যা পরিকল্পনা দরকার সব ধরণের পরিকল্পনা নেয়া আছে। আগামী ২০৩৩ সালের মধ্যে খলাপি ঋণ সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনা। আমানত বাড়ানাে, ঋণ বিতরণের পাশাপাশি আদায়ের দিকও জাের বেশি দিচ্ছি। এছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে পদ্মা ব্যাংক গ্রাহককে স্মাট সেবা দেয়া নিশ্চিতে কাজ করছে। পদ্মা ব্যাংক এখন প্রান্তিক মানুষকে সেবা দিবে। প্রান্তিক মানুষের মাঝে সকল ধরনের সেবা দিয়ে স্মার্ট স্মার্ট উদ্যোক্তা তৈরি করবে। বর্তমানে পদ্মা ব্যাংকের ৬০টি শাখা, ও ৬টি উপশাখা রয়েছে। এবছরে আরও ৩০টি উপশাখা করার পরিকল্পনা চলছে। যা শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। এই উপশাখাগুলাে
আমরা চাচ্ছি গ্রামীণ পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করতে।

বিজনেস বাংলাদেশ: আমানত সংগ্রহের ক্ষেত্রে কোন নিয়ম চালু রয়েছে কী ?

তারেক রিয়াজ খান: আমানতর জন্য বিশেষ কিছু নিয়ম চালু করেছি। যেখানে প্রতিদিন ব্যাংক আমানত রেখে প্রতিদিন মুনাফা নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া আকর্ষণীয় কিছু স্ক্রীম চালু রয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন চারটি ব্যাংকিং নিয়ম রয়েছে পদ্মা ব্যাংকে। নিয়মগুলো হলো
পদ্মা নেক্সটজন অ্যাকাউট, পদ্মা মাস্টার মাইন্ড অ্যাকাউট, পদ্মা স্পিরিট মালি ডিপােজিট প্ল্যান এবং পদ্মা ব্যাংক স্টুডেন্ট ফাইল। এছাড়া রয়েছে মাসিক ইনকাম স্কিম, টার্গট ডিপােজিট স্কিম এবং পদ্মা অগ্রজ নামে আমানতের স্কিম চালু রয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ: আরাে অনেক ব্যাংক থাকতে কেন গ্রাহকরা পদ্মা ব্যাংকে আসবে?

তারেক রিয়াজ খান: আসলেই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন কেন আসবে? কারণ গ্রাহকদের সকল ধরনের সেবা রয়েছে হাতের মুঠোয়। পদ্মা ব্যাংকের সার্বিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। গ্রাহকদের সাড়া ভালো পাচ্ছি বিধায় আমানত ও গ্রাহক সংখ্যা বাড়ছে। গত দুই বছরে গ্রাহক বেড়েছে প্রায় ২৫ হাজারের মত। তাতে প্রায় ৮০০ কােটি টাকা আমানত বেড়েছে। ফলে আমানত ও গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়া গ্রাহকরা ঘরে বসে সব ধরনের সেবা পেতে সকলের জন্য রয়েছে একটি অ্যাপ, নাম পদ্মা ওয়ালট। এই অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকরা ঘরে বসেই ব্যাংকের একাউন্ট খােলা থেকে শুরু করে সব ধরণের লেনদেন করতে পারে। এছাড়া পদ্মা ব্যাংকের ডেবিট কার্ড দিয়ে ‘বিনা মাশুলে’ দেশের যেকােন ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তুলতে পারছেন গ্রাহকরা। গ্রাহকের নিরাপদ ও দ্রুত ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিতে কার ব্যাংকিং সিস্টেম চালু করেছে পদ্মা ব্যাংক। এছাড়া অনলাইনেও আমাদের ব্যাংকের সেবা মিলছে দেশে ও দেশের বাইরে থেকে।

বিজনেস বাংলাদেশ: সবচেয়ে বেশি ঋণ দিয়েছেন কােন খাতে ?

তারেক রিয়াজ খান: কুটির, ক্ষুদ্র, ছােট ও মাঝারি সিএমএসএমই ঋণ দিয়ে এগিয়ে যেগে চাচ্ছি।
এই মুহুর্তে কর্পোরেট ঋণের আগ্রহ কম। প্রান্তিক পর্যায়ে মানুষের সেবা দেয়ার জন্য এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম এর পাশাপাশি উপশাখার ওপর বেশি নজর দিচ্ছি। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক অবস্থা চাঙ্গা করতে আমরা অবদান রাখতে চাই।

কটেজ, মাইক্রাে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি সিএমএসএমই খাতে ঋণ দেয়ার পাশাপাশি, গাড়ি কেনা ও বাড়ি তৈরির জন্য ঋণ বেশি দিচ্ছি। কারণ সিএমএসএমই খাত ঋণ দেয়া যেমন নিরাপদ অন্য দিকে অনেক মানুষের সাথে ব্যাংকিং করার সুযাগ থাকে।

বিজনেস বাংলাদেশ: পদ্মা ব্যাংকের চ্যালেঞ্জগুলাে জানতে চাই ?

তারেক রিয়াজ খান: পদ্মা ব্যাংকের বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তারমধ্যে আমানত সংকট। বড় খেলাপির কাছ থেকে ঋণ আদায়। এছাড়া যেসব খেলাপিদের নামে মামলা রয়েছে সেগুলাে থেকে দ্রুত অর্থ আদায় করাটা আমাদের জন্য মূখ্য চ্যালেঞ্জ।

বিজনেস বাংলাদেশ/DS