অজয় চক্রবর্তীর মেয়ে কৌশিকী চক্রবর্তী টিভিনাইনকে বলেন, ‘হ্যাঁ, বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। আমি এখন হাসপাতালেই আছি। সবাইকে জানাতে চাই, চিন্তার কোনো কারণ নেই। সাধারণ চেকআপের জন্য ভর্তি করানো হয়েছে। বাবা এমনিতে ঠিক আছেন।’
কবে নাগাদা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন? সে বিষয়ে গায়িকা কৌশিকী বলেন, ‘তা এখনই বলতে পারছি না। চিকিৎসকরা ভালো বলতে পারবেন। আবারো বলছি, ভুল খবর যেন না ছড়ানো হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের কাছে এটাই অনুরোধ।’
একটি সূত্রের বরাত দিয়ে নিউজ১৮ জানিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যায় বুকে ব্যথা নিয়ে বিএম বিড়লা হাসপাতালে ভর্তি হন অজয় চক্রবর্তী। তার তিনটি আর্টারিতে সম্পূর্ণ ব্লকেজ পাওয়া গিয়েছে। এ সংগীতশিল্পীর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করাতে হবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অনিল কাপুরের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
সংগীত ক্যারিয়ারে অজয় চক্রবর্তীর শতাধিক গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এর অধিকাংশই ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি থেকে বের হয়েছে। এ রেকর্ডগুলোতে বিশুদ্ধ শাস্ত্রীয় সুরের সম্মিলন ঘটেছে। এছাড়া ঠুমরি, দাদরা, ভজন এবং শ্যামাসংগীতের ন্যায় আধ্যাত্মিক গানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের অন্যতম সংগীত কিংবদন্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয় অজয় চক্রবর্তীকে। তার প্রাপ্তির ঝুলিতে জমা পড়েছে অনেক সম্মাননা। এর মধ্যে রয়েছে— পদ্মশ্রী পুরস্কার (২০১১), দিল্লির সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার (২০০০), জাতীয় পুরস্কার কুমার গৌরব (১৯৯৩) প্রভৃতি।
বিজনেস বাংলাদেশ/একে




















