০৩:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

সাইপ্রাস থেকে ২০০ টন খাবার যাচ্ছে গাজায়

ছবি সংগৃহীত

২০০ টন খাবার নিয়ে একটি জাহাজ সাইপ্রাস থেকে গাজার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ওপেন আর্মস নামের ওই দাতব্য জাহাজে করে ফিলিস্তিনিদের জন্য খাবার পাঠানো হচ্ছে। এতে প্রায় ২০০ টন খাবার রয়েছে বলে জানা গেছে।

গাজার ক্ষুধার্ত জনগোষ্ঠীর জন্য সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে সমুদ্র পথ খোলার যে প্রচেষ্টা তার একটি পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবেই এই সহায়তা পাঠানো হচ্ছে। মার্কিন দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) প্রতিষ্ঠিত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থায়নে এই কার্যক্রম চলছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে গাজায় মানবিক সংকট আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। গাজার বিভিন্ন স্থানে মানবিক সহায়তা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। কিন্তু গাজাবাসী যে পরিমাণ সহায়তা পাচ্ছে তা একেবারেই যথেষ্ট নয়।খাবারের জন্য সেখানকার লোকজন মরিয়া হয়ে উঠেছে। গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে কোনো ধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশেরও অনুমতি দিচ্ছে না।

ইসরায়েলি হামলার পরের পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনি জনগণকে সহায়তার ক্ষেত্রে কোনো উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। পবিত্র এই রমজানের শুরুতেও ভয় ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা। গাজাজুড়ে এখনও হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী। আলোর মুখ দেখেনি যুদ্ধবিরতি চুক্তিও।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছেন, একটি সহায়তা মিশন উত্তর গাজার আল-শিফা হাসপাতালে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। তারা খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহ পৌঁছে দিচ্ছে। অপরদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে এখন দুই হাজার চিকিৎসাকর্মী দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হচ্ছে।

এদিকে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে পশ্চিম তীরের বাসিন্দাদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইসরায়েল। রমজানের প্রথম দিনে সেখানে নামাজ আদায়ের জন্য ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি জড়ো হয়েছিল। কিন্তু এই রমজানেও আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েল।

বিশ্বজুড়ে মুসল্লিরা তারাবি নামাজ আদায়ের মাধ্যমেই রোজার প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। কিন্তু পূর্ব জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের নামাজ আদায়ের অধিকারও কেড়ে নিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।

এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি পুরুষ এবং ফিলিস্তিনি তরুণীদের আল-আকসায় প্রবেশে বাঁধা দিয়েছে। সেখানে ৪০ বছরের বেশি বয়সী লোকজনকেই শুধু নামাজ আদায়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

গত কয়েক মাস ধরেই মুসলিমদের কাছে তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর আগে অধিকৃত পশ্চিম তীরে বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তুলকারেম, বালাতা ক্যাম্প, নাবলুসের পূর্বাঞ্চলে অভিযান চালানো হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/DS

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

সাইপ্রাস থেকে ২০০ টন খাবার যাচ্ছে গাজায়

প্রকাশিত : ০২:৪৮:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪

২০০ টন খাবার নিয়ে একটি জাহাজ সাইপ্রাস থেকে গাজার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ওপেন আর্মস নামের ওই দাতব্য জাহাজে করে ফিলিস্তিনিদের জন্য খাবার পাঠানো হচ্ছে। এতে প্রায় ২০০ টন খাবার রয়েছে বলে জানা গেছে।

গাজার ক্ষুধার্ত জনগোষ্ঠীর জন্য সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে সমুদ্র পথ খোলার যে প্রচেষ্টা তার একটি পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবেই এই সহায়তা পাঠানো হচ্ছে। মার্কিন দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) প্রতিষ্ঠিত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থায়নে এই কার্যক্রম চলছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে গাজায় মানবিক সংকট আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। গাজার বিভিন্ন স্থানে মানবিক সহায়তা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। কিন্তু গাজাবাসী যে পরিমাণ সহায়তা পাচ্ছে তা একেবারেই যথেষ্ট নয়।খাবারের জন্য সেখানকার লোকজন মরিয়া হয়ে উঠেছে। গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে কোনো ধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশেরও অনুমতি দিচ্ছে না।

ইসরায়েলি হামলার পরের পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনি জনগণকে সহায়তার ক্ষেত্রে কোনো উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। পবিত্র এই রমজানের শুরুতেও ভয় ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা। গাজাজুড়ে এখনও হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী। আলোর মুখ দেখেনি যুদ্ধবিরতি চুক্তিও।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছেন, একটি সহায়তা মিশন উত্তর গাজার আল-শিফা হাসপাতালে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। তারা খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহ পৌঁছে দিচ্ছে। অপরদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে এখন দুই হাজার চিকিৎসাকর্মী দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হচ্ছে।

এদিকে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে পশ্চিম তীরের বাসিন্দাদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইসরায়েল। রমজানের প্রথম দিনে সেখানে নামাজ আদায়ের জন্য ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি জড়ো হয়েছিল। কিন্তু এই রমজানেও আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েল।

বিশ্বজুড়ে মুসল্লিরা তারাবি নামাজ আদায়ের মাধ্যমেই রোজার প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। কিন্তু পূর্ব জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের নামাজ আদায়ের অধিকারও কেড়ে নিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।

এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি পুরুষ এবং ফিলিস্তিনি তরুণীদের আল-আকসায় প্রবেশে বাঁধা দিয়েছে। সেখানে ৪০ বছরের বেশি বয়সী লোকজনকেই শুধু নামাজ আদায়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

গত কয়েক মাস ধরেই মুসলিমদের কাছে তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর আগে অধিকৃত পশ্চিম তীরে বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তুলকারেম, বালাতা ক্যাম্প, নাবলুসের পূর্বাঞ্চলে অভিযান চালানো হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/DS