১০:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

রমজান মাসে ৪ বিশেষ আমল

  • ধর্ম ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০১:১৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
  • 112

রহমত, মাগফিরাত এবং নাজাতের মাস হলো রমজান। অন্য সব মাস থেকে এ মাসটি অধিক ফজিলতপূর্ণ। রমজান মাসের একটি নফল ইবাদত অন্য মাসের একটি ফরজ ইবাদতের সমান। মাসটিতে রয়েছে চারটি আমল বিশেষ।

রমজান মাস প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, ‘হে ঈমানদারগণ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা পরহেজগারি অর্জন করতে পার।’

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মাহে রমজানের প্রতি রাতেই একজন ফেরেশতা ঘোষণা করতে থাকেন: ‘হে পুণ্য অন্বেষণকারী, অগ্রসর হও। হে পাপাচারী, থামো এবং চোখ খোলো।’ তিনি আবার ঘোষণা করেন ‘ক্ষমাপ্রার্থীকে ক্ষমা করা হবে। অনুতপ্তের অনুতাপ গ্রহণ করা হবে। প্রার্থনাকারীর প্রার্থনা কবুল করা হবে।’

রমজান মাসে চারটি আমল বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে করার নির্দেশ দিয়েছেন রাসুল (সা.)।

হজরত সালমান (রা.) থেকে বর্ণিত-রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, এ মাসে তোমরা চারটি কাজ বেশি পরিমাণে করো। দুটি কাজ এমন, যা দিয়ে তোমরা তোমাদের প্রভুকে সন্তুষ্ট করবে। আর দুটি কাজ এমন, যা তোমাদের নিজেদেরই খুব প্রয়োজন।

যে দুটি কাজ দিয়ে তোমরা তোমাদের প্রভুর সন্তুষ্টি অর্জন করবে। তা হলো-

১. কালেমায়ে তাইয়্যিবার সাক্ষ্যপ্রদান অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদের সাক্ষ্যদান।

২. আল্লাহর নিকট ইস্তেগফার করা অর্থাৎ নিজের গুনাহের জন্য তার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা।

আর যে দুটি বিষয় তোমাদের নিজেদেরই অধিক প্রয়োজন তা হলো-

১. তোমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে জান্নাত প্রার্থনা করবে।

২. আর জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাইবে (ইবনে খুজাইমা : হাদিস ১৮৮৭; বায়হাকি : হাদিস ৩৬০৮)।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

জনপ্রিয়

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২৫১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দিলো ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগ

রমজান মাসে ৪ বিশেষ আমল

প্রকাশিত : ০১:১৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

রহমত, মাগফিরাত এবং নাজাতের মাস হলো রমজান। অন্য সব মাস থেকে এ মাসটি অধিক ফজিলতপূর্ণ। রমজান মাসের একটি নফল ইবাদত অন্য মাসের একটি ফরজ ইবাদতের সমান। মাসটিতে রয়েছে চারটি আমল বিশেষ।

রমজান মাস প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, ‘হে ঈমানদারগণ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা পরহেজগারি অর্জন করতে পার।’

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মাহে রমজানের প্রতি রাতেই একজন ফেরেশতা ঘোষণা করতে থাকেন: ‘হে পুণ্য অন্বেষণকারী, অগ্রসর হও। হে পাপাচারী, থামো এবং চোখ খোলো।’ তিনি আবার ঘোষণা করেন ‘ক্ষমাপ্রার্থীকে ক্ষমা করা হবে। অনুতপ্তের অনুতাপ গ্রহণ করা হবে। প্রার্থনাকারীর প্রার্থনা কবুল করা হবে।’

রমজান মাসে চারটি আমল বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে করার নির্দেশ দিয়েছেন রাসুল (সা.)।

হজরত সালমান (রা.) থেকে বর্ণিত-রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, এ মাসে তোমরা চারটি কাজ বেশি পরিমাণে করো। দুটি কাজ এমন, যা দিয়ে তোমরা তোমাদের প্রভুকে সন্তুষ্ট করবে। আর দুটি কাজ এমন, যা তোমাদের নিজেদেরই খুব প্রয়োজন।

যে দুটি কাজ দিয়ে তোমরা তোমাদের প্রভুর সন্তুষ্টি অর্জন করবে। তা হলো-

১. কালেমায়ে তাইয়্যিবার সাক্ষ্যপ্রদান অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদের সাক্ষ্যদান।

২. আল্লাহর নিকট ইস্তেগফার করা অর্থাৎ নিজের গুনাহের জন্য তার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা।

আর যে দুটি বিষয় তোমাদের নিজেদেরই অধিক প্রয়োজন তা হলো-

১. তোমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে জান্নাত প্রার্থনা করবে।

২. আর জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাইবে (ইবনে খুজাইমা : হাদিস ১৮৮৭; বায়হাকি : হাদিস ৩৬০৮)।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে