০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

প্রতারণার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি মতিউর গ্রেফতার, জেল হাজতে প্রেরণ

র‍্যাব ২ ঢাকা এর সহযোগিতায় মেহেন্দিগঞ্জ থানার এসআই মিঠুর নের্তৃত্বে প্রতারণার মামলার আসামি মৃত্যু আঃ মালেক জমাদ্দারের ছেলে মতিউর রহমান জমাদ্দার কে গ্রেফতার করা হয় ঢাকা থেকে।

গ্রেফতার সূত্রে জানা যায় যে, মেহেন্দিগঞ্জ থানায় ২০১৮ সালে প্রতারণা মামলা দায়ের করেন অম্বিকাপুরের মুফতি আব্দুল কাদের, সেই থেকে পলাতক অবস্থায় ছিলেন প্রতারক মতিউর রহমান জমাদ্দার।মেহেন্দিগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়াছিনুল হক মেহেন্দিগঞ্জ থানায় যোগদানের পরেই ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী গ্রেফতারের বিষয়ে কঠোর ভূমিকা পালন করেন এবং তারই সার্বিক দিকনির্দেশনায় প্রতারক পলাতক আসামি মতিউর রহমান জমাদ্দারকে চলতি মাসের ২৭ তারিখে ঢাকা থেকে এসআই মিঠুর নের্তৃত্বে গ্রেফতার করা হয়।এলাকা সূত্রে জানা যায়, মতিউর রহমান জমাদ্দার মানুষের সাথে নানান ধরনের প্রতারণা করে থাকেন সব সময়, এবং চাঞ্চল্যকর বিষয় হলো, এলাকায় তিনি ভূমিদস্যু হিসেবে বেশ পরিচিত, জীবদ্দশায় প্রতারক মতিউর রহমান জমাদ্দার দুই বিয়ে করেন, ঢাকায় এক বউ থাকে, অম্বিকাপুরে ছোট বউ থাকে,, এলাকায় কারো সাথে কোন ঝামেলা হলে বউ কে দিয়ে তাদের শাসায়, এবং মানুষ কে মামলার ভয় দেখা, নিজ স্ত্রীকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলার ভয় দেখানোর একাধিক নজির পাওয়া যায় প্রতারক মতিউর রহমান জমাদ্দারের বিরুদ্ধে।

ষাটোর্ধ গনী হাওলাদার বলেন, মতিউর বেশি সুবিধার মানুষ না, ও খুব খারাপ লোক, এলাকায় কেউ ওর জন্য শান্তিতে থাকতে পারে না, সবাইরে ও অশান্তিতে রাখে, মামলার ভয় দেখায়, বউরে দিয়া নারী নির্যাতন মামলার হুমকি দেয়, একই রকম অভিযোগ করলেন সালাউদ্দিন বেপারী নামের বৃদ্ধ।
গ্রেফতারকৃত আসামি মতিউর রহমান জমাদ্দারকে এএসআই হাসানের তত্ত্বাবধানে বরিশাল কোর্টে প্রেরণ করা হয়।
মামলার বাদী মুফতি আব্দুল কাদের বলেন, প্রতারক মতিউর রহমান জমাদ্দার আমার সাথে অনেক বড়ো প্রতারণা করেছেন, আমার মাদ্রাসার দানের টাকা দিয়ে জমি কেনার কথা বলে টাকা নিয়ে পালিয়েছেন, তার কোন হদিস পাওয়া যায় নি, এবং উলটো তার স্ত্রী কে দিয়ে আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন, আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম, আমি বাংলাদেশের আইনের কাছে দ্বারস্থ হইলাম, আল্লাহর রহমতে আমি সঠিক বিচার পাবো, প্রতারক তার শাস্তি পাবে ইনশাআল্লাহ।

এ ব্যাপারে এসআই মিঠু বলেন, বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় এবং মেহেন্দিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে আমরা মেহেন্দিগঞ্জ থানা পুলিশ এলাকায় সকল সাজাপরোয়ানাভুক্ত আসামিদেরকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে কাজ করে যাচ্ছি। এরই অংশ হিসেবে আমি সঙ্গীয় ফোর্স এর সহায়তায় ঢাকা থেকে পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি মতিউর রহমানকে গ্রেফতার করি। সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতারের এই অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি গ্রেফতারের বিষয়ে ওসি মোঃ ইয়াছিনুল হক বলেন, মেহেন্দিগঞ্জ থানায় আমি যোগদানের পর থেকেই ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী গ্রেফতারের বিষয়ে সর্বোচ্চ কঠোর, অপরাধ করে কেউই আইনের হাত থেকে রেহাই পাবে না এছাড়াও কিছুদিন পূর্বে আলীগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত ১৮ বছর পলাতক আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে, ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের সোর্স ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।

 

ট্যাগ :

প্রতারণার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি মতিউর গ্রেফতার, জেল হাজতে প্রেরণ

প্রকাশিত : ০৯:১১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

র‍্যাব ২ ঢাকা এর সহযোগিতায় মেহেন্দিগঞ্জ থানার এসআই মিঠুর নের্তৃত্বে প্রতারণার মামলার আসামি মৃত্যু আঃ মালেক জমাদ্দারের ছেলে মতিউর রহমান জমাদ্দার কে গ্রেফতার করা হয় ঢাকা থেকে।

গ্রেফতার সূত্রে জানা যায় যে, মেহেন্দিগঞ্জ থানায় ২০১৮ সালে প্রতারণা মামলা দায়ের করেন অম্বিকাপুরের মুফতি আব্দুল কাদের, সেই থেকে পলাতক অবস্থায় ছিলেন প্রতারক মতিউর রহমান জমাদ্দার।মেহেন্দিগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়াছিনুল হক মেহেন্দিগঞ্জ থানায় যোগদানের পরেই ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী গ্রেফতারের বিষয়ে কঠোর ভূমিকা পালন করেন এবং তারই সার্বিক দিকনির্দেশনায় প্রতারক পলাতক আসামি মতিউর রহমান জমাদ্দারকে চলতি মাসের ২৭ তারিখে ঢাকা থেকে এসআই মিঠুর নের্তৃত্বে গ্রেফতার করা হয়।এলাকা সূত্রে জানা যায়, মতিউর রহমান জমাদ্দার মানুষের সাথে নানান ধরনের প্রতারণা করে থাকেন সব সময়, এবং চাঞ্চল্যকর বিষয় হলো, এলাকায় তিনি ভূমিদস্যু হিসেবে বেশ পরিচিত, জীবদ্দশায় প্রতারক মতিউর রহমান জমাদ্দার দুই বিয়ে করেন, ঢাকায় এক বউ থাকে, অম্বিকাপুরে ছোট বউ থাকে,, এলাকায় কারো সাথে কোন ঝামেলা হলে বউ কে দিয়ে তাদের শাসায়, এবং মানুষ কে মামলার ভয় দেখা, নিজ স্ত্রীকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলার ভয় দেখানোর একাধিক নজির পাওয়া যায় প্রতারক মতিউর রহমান জমাদ্দারের বিরুদ্ধে।

ষাটোর্ধ গনী হাওলাদার বলেন, মতিউর বেশি সুবিধার মানুষ না, ও খুব খারাপ লোক, এলাকায় কেউ ওর জন্য শান্তিতে থাকতে পারে না, সবাইরে ও অশান্তিতে রাখে, মামলার ভয় দেখায়, বউরে দিয়া নারী নির্যাতন মামলার হুমকি দেয়, একই রকম অভিযোগ করলেন সালাউদ্দিন বেপারী নামের বৃদ্ধ।
গ্রেফতারকৃত আসামি মতিউর রহমান জমাদ্দারকে এএসআই হাসানের তত্ত্বাবধানে বরিশাল কোর্টে প্রেরণ করা হয়।
মামলার বাদী মুফতি আব্দুল কাদের বলেন, প্রতারক মতিউর রহমান জমাদ্দার আমার সাথে অনেক বড়ো প্রতারণা করেছেন, আমার মাদ্রাসার দানের টাকা দিয়ে জমি কেনার কথা বলে টাকা নিয়ে পালিয়েছেন, তার কোন হদিস পাওয়া যায় নি, এবং উলটো তার স্ত্রী কে দিয়ে আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন, আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম, আমি বাংলাদেশের আইনের কাছে দ্বারস্থ হইলাম, আল্লাহর রহমতে আমি সঠিক বিচার পাবো, প্রতারক তার শাস্তি পাবে ইনশাআল্লাহ।

এ ব্যাপারে এসআই মিঠু বলেন, বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় এবং মেহেন্দিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে আমরা মেহেন্দিগঞ্জ থানা পুলিশ এলাকায় সকল সাজাপরোয়ানাভুক্ত আসামিদেরকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে কাজ করে যাচ্ছি। এরই অংশ হিসেবে আমি সঙ্গীয় ফোর্স এর সহায়তায় ঢাকা থেকে পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি মতিউর রহমানকে গ্রেফতার করি। সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতারের এই অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি গ্রেফতারের বিষয়ে ওসি মোঃ ইয়াছিনুল হক বলেন, মেহেন্দিগঞ্জ থানায় আমি যোগদানের পর থেকেই ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী গ্রেফতারের বিষয়ে সর্বোচ্চ কঠোর, অপরাধ করে কেউই আইনের হাত থেকে রেহাই পাবে না এছাড়াও কিছুদিন পূর্বে আলীগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত ১৮ বছর পলাতক আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে, ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের সোর্স ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।