কিশোর গ্যাং এর সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সাথে জড়িত ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।এসময় তাদের নিকট থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত অটো রিকশা ও ছিনতাই করা টাকা উদ্ধার করা হয়। তবে তারা কিশোর অপরাধে সাথে জড়িত বলে জানান পুলিশ। এই সব কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় চুরি,ছিনতাই সহ নানা অপরাধের কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ছে।
মঙ্গলবার(২ এপ্রিল)দুপুরে নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ কমিশনার(অপরাধ) এর কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিং করেন আরপিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার(অপরাধ)আবু মারুফ হোসেন।
গ্রেফতাররা হলেন—কোতয়ালি থানার বালাপাড়া এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে শাকিব আহমেদ(১৯) ও শাকিল আহমেদ(২৩) এবং লালবাগ এলাকার সবুর মিয়ার ছেলে মনির হোসেন।এরা একটি কিশোর অপরাধের সাথে জড়িত বলে দাবি পুলিশের।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আনোয়ার রহমান লালবাগ থেকে পার্কের মোড় যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় ওঠে।অটোরিকশাটি কিছুদূর যেতে না যেতেই অটোর ড্রাইভারসহ ৪ জনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে।
পরে জিম্মি অবস্থায় বিকাশ থেকে ৬ হাজার টাকা নিয়ে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে আনোয়ারকে ছেড়ে দেয়। এমন তথ্য পাওয়ার পর রংপুর মহানগরীর সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষন ও তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় নগরীর তাজহাট থানার সিডিডি হাউজিং এর অটোগ্যারেজ থেকে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত অটোরিকশা উদ্ধারসহ ছিনতাই টাকা উদ্ধার করা হয়।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ)আবু মারুফ হোসেন জানান,কিশোর অপরাধের সাথে জড়িত এই সংঘবদ্ধচক্রটি।তারা দীর্ঘদিন ধরে যাত্রী এবং কারো দুর্বলতা থাকলে সেখানে জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেয়।আমরা বিষয়গুলো শনাক্ত করেছি।এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।এর সাথে আরও যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে গ্রেফতারে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।