সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমলেও মূল্য সূচক কিছুটা বেড়েছে। মূলত আর্থিক ও বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে পতনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে সূচক। অন্য খাতগুলোর বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমলেও আর্থিক ও বস্ত্র খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া আর্থিক খাতের ১৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে তিনটির। আর বস্ত্র খাতের ৩১টির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
বিপরীতে দাম কমেছে ১৬টির। অরপদিকে সব খাত মিলিয়ে ১২৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৬৫টির দাম। আর ৪৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমার পরও আর্থিক ও বস্ত্র খাতের কল্যাণে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দু’টি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৯২৯ পয়েন্টে অবস্থা করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৬৭ পয়েন্টে। মূল্য সূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেন কিছুটা কমেছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৯২ কোটি ৪৯ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৯০২ কোটি ৮৩ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। গত কয়েক কার্যদিবসের মতো রোববারও টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বসুন্ধরা পেপারের শেয়ার। কোম্পানিটির ৬৬ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা আরএসআরএম স্টিলের ৪২ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৯ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- বিবিএস কেবলস, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, মুন্নু সিরামিক, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ফরচুন সুজ। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ৮ পয়েন্ট বেড়ে ৯ হাজার ৯৯২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৪টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির।

























