০৫:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

নেপালকে হারিয়ে সমর্থকদের ঈদ উপহার বাংলাদেশের

আজ পবিত্র ঈদুল আজহা। এমন উৎসবের দিনে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের ঈদ উপহার হিসেবে দুর্দান্ত জয় উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ দল। চলমান টি-২০ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটের টিকিট নিশ্চিত করেছে টিম টাইগার্স।

সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৩ বলে ১০৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.২ ওভারে ৮৫ রানেই গুটিয়ে গেছে নেপাল। বাংলাদেশের জয় ২১ রানে।

রান তাড়ায় সাবধানী শুরু করে নেপাল। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন কুশল ভার্টাল ও আসিফ শেখ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে এ জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। তার পেসে পরাস্ত হন কুশল।

সতীর্থকে হারিয়ে ব্যাট হাতে লড়াই করেন আসিফ। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেন টপ অর্ডারের কেউই। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন অনিল শাহ (০), রোহিত পৌদেল (১) ও সন্দ্বীপ জোরা (১)।

পাঁচ উইকেট হারিয়ে খেই হারানো নেপালের হাল ধরেন দিপেন্দ্র সিং আইরি ও কুশল মল্লা। এ দুই ব্যাটারের জুটিতে জয়ের পথে ছিল নেপাল। কিন্তু মুস্তাফিজ ম্যাজিকে উইকেট বিলিয়ে দেন মল্লা। এরপরেই আসা-যাওয়ারি মিছিলে যোগ দেন দলটির ব্যাটাররা।

টেলএন্ডাররা তো টাইগারদের বোলিং তোপের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি। এদিন নেপালের ৮ ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছানোর আগেই সাজঘরের পথ ধরেছেন।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন তানজিম হাসান সাকিব। এছাড়া তিন উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান ও দুটি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।

এর আগে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান নেপাল অধিনায়ক রোহিত পৌদেল। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস।

ইনিংসের প্রথম বলেই এ জুটিতে আঘাত করেন সোমপাল। শুরুতেই চড়াও হতে গিয়ে তার বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়েছেন তামিম। পরে ক্রিজে আসেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরের পথ ধরেছেন তিনি।

ব্যাট হাতে আশার আলো দেখিয়েও ব্যাক্তিগত ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হয়েছেন লিটন দাস (১০) ও তাওহীদ হৃদয় (৯)।

পাওয়ার প্লে-তে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে সেই চাপ সামলে দলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু দুজনের ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন রিয়াদ। এর পরেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিবও (১৭)।

শেষ মুহূর্তে তাসকিনের লড়াইয়ে শতরান পেরোয় বাংলাদেশ। তবে একশ পেরিয়ে অলআউট হয়েছে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। নেপালের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট শিকার করেছেন সোমপাল কামি, দিপেন্দ্র সিং আইরি, রোহিত পৌদেল ও সন্দ্বীপ লামিচানে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

নেপালকে হারিয়ে সমর্থকদের ঈদ উপহার বাংলাদেশের

প্রকাশিত : ০২:১৫:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪

আজ পবিত্র ঈদুল আজহা। এমন উৎসবের দিনে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের ঈদ উপহার হিসেবে দুর্দান্ত জয় উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ দল। চলমান টি-২০ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটের টিকিট নিশ্চিত করেছে টিম টাইগার্স।

সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৩ বলে ১০৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.২ ওভারে ৮৫ রানেই গুটিয়ে গেছে নেপাল। বাংলাদেশের জয় ২১ রানে।

রান তাড়ায় সাবধানী শুরু করে নেপাল। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন কুশল ভার্টাল ও আসিফ শেখ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে এ জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। তার পেসে পরাস্ত হন কুশল।

সতীর্থকে হারিয়ে ব্যাট হাতে লড়াই করেন আসিফ। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেন টপ অর্ডারের কেউই। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন অনিল শাহ (০), রোহিত পৌদেল (১) ও সন্দ্বীপ জোরা (১)।

পাঁচ উইকেট হারিয়ে খেই হারানো নেপালের হাল ধরেন দিপেন্দ্র সিং আইরি ও কুশল মল্লা। এ দুই ব্যাটারের জুটিতে জয়ের পথে ছিল নেপাল। কিন্তু মুস্তাফিজ ম্যাজিকে উইকেট বিলিয়ে দেন মল্লা। এরপরেই আসা-যাওয়ারি মিছিলে যোগ দেন দলটির ব্যাটাররা।

টেলএন্ডাররা তো টাইগারদের বোলিং তোপের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি। এদিন নেপালের ৮ ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছানোর আগেই সাজঘরের পথ ধরেছেন।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন তানজিম হাসান সাকিব। এছাড়া তিন উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান ও দুটি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।

এর আগে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান নেপাল অধিনায়ক রোহিত পৌদেল। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস।

ইনিংসের প্রথম বলেই এ জুটিতে আঘাত করেন সোমপাল। শুরুতেই চড়াও হতে গিয়ে তার বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়েছেন তামিম। পরে ক্রিজে আসেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরের পথ ধরেছেন তিনি।

ব্যাট হাতে আশার আলো দেখিয়েও ব্যাক্তিগত ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হয়েছেন লিটন দাস (১০) ও তাওহীদ হৃদয় (৯)।

পাওয়ার প্লে-তে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে সেই চাপ সামলে দলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু দুজনের ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন রিয়াদ। এর পরেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিবও (১৭)।

শেষ মুহূর্তে তাসকিনের লড়াইয়ে শতরান পেরোয় বাংলাদেশ। তবে একশ পেরিয়ে অলআউট হয়েছে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। নেপালের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট শিকার করেছেন সোমপাল কামি, দিপেন্দ্র সিং আইরি, রোহিত পৌদেল ও সন্দ্বীপ লামিচানে।