০৫:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ভরাডুবির সম্ভাবনা

ঋসি সুনাক

প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টির (টোরি) ভরাডুবি হতে চলেছে বলেই বিভিন্ন জনমত সমীক্ষার ইঙ্গিত। এমনকি, ৪৪ বছরের ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেতা নর্থ ইয়র্কশায়ারে রিচমন্ডে নিজের ঘরে হারতে পারেন বলেও পূর্বাভাস রয়েছে। প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী লেবার পার্টির নেতা কিয়ের স্টার্মার।

পাঁচ বছর আগে কনজারভেটিভ পার্টির ব্রেক্সটের পক্ষে প্রচারে বিপুল সাড়া মিলেছিল। ‘গেট ব্রেক্সিট ডান’ স্লোগানে ভর করে ‘হাউস অফ কমন্স’-এর ৩৬৫টিতে জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন বরিস জনসন। কিন্তু ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সরকারি বাসভবনে আড়াই বছরের বেশি কাটাতে পারেননি তিনি। দলের অন্দরে বিদ্রোহ এবং কোভিভবিধি ভেঙে পানভোজনের আসর বসানোর অভিযোগ মাথায় নিয়ে ২০২২ সালে জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন।

এর পর লিজ ট্রাসের ৪৯ দিনের প্রধানমন্ত্রিত্ব পর্বের শেষে দলের অন্দরে ভোটাভুটির মাধ্যমে ওয়েস্টমিনিস্টারে আসীন হয়েছিলেন ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির জামাই সুনক। নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে ব্রিটেনে ভোট করাতে হবে। সুনক আগে বলেছিলেন, এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে হবে ভোট। কিন্তু গত ২২ জুন হঠাৎই রাজা তৃতীয় চার্লসের সাথে দেখা করে তাকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার আর্জি জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এরপর ৪ জুলাই ভোটের দিন ঘোষিত হয়েছিল।

এবার অবশ্য সুনকের বিদায় নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে। ভোট পণ্ডিতদের বড় অংশ বলছেন, শুধু হার নয়, এবারের নির্বাচনে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়বে টোরিরা। জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাস, লেবার পার্টি ৪০ শতাংশ ভোট পেতে চলেছে। টোরিরা পাবে ২০ শতাংশের সামান্য বেশি। নাইজেল ফারাজের নেতৃত্বাধীন কট্টরপন্থী দল রিফর্ম ইউকে পেতে পারে ১৬ শতাংশ ভোট। এছাড়া লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, গ্রিন পার্টি, রিফর্ম পার্টি, স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি-সহ ছোট–বড় প্রায় ৯৮টি রাজনৈতিক দল ভোটে অংশগ্রহণ করছে। মোট চার হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এ বারের নির্বাচনে।

যদিও ব্রেক্সিট–পরবর্তী সময় থেকে ভঙ্গুর অর্থনীতি, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, অভিবাসন সমস্যাসহ সাম্প্রতিক সময়ে অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ব্রিটেনের জনগণ বিরক্ত বলে জনমত সমীক্ষাগুলোর ইঙ্গিত। তাছাড়া টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের প্রতিও রয়েছে ‘প্রতিষ্ঠানবিরোধী ক্ষোভ’। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

বিজনেস বাংলাদেশ/ফারুক

দুই মাসে পিয়াজের দাম বেড়েছে ৮০  শতাংশ , আলু ৫৫ শতাংশ

প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ভরাডুবির সম্ভাবনা

প্রকাশিত : ০৫:৩১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টির (টোরি) ভরাডুবি হতে চলেছে বলেই বিভিন্ন জনমত সমীক্ষার ইঙ্গিত। এমনকি, ৪৪ বছরের ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেতা নর্থ ইয়র্কশায়ারে রিচমন্ডে নিজের ঘরে হারতে পারেন বলেও পূর্বাভাস রয়েছে। প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী লেবার পার্টির নেতা কিয়ের স্টার্মার।

পাঁচ বছর আগে কনজারভেটিভ পার্টির ব্রেক্সটের পক্ষে প্রচারে বিপুল সাড়া মিলেছিল। ‘গেট ব্রেক্সিট ডান’ স্লোগানে ভর করে ‘হাউস অফ কমন্স’-এর ৩৬৫টিতে জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন বরিস জনসন। কিন্তু ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সরকারি বাসভবনে আড়াই বছরের বেশি কাটাতে পারেননি তিনি। দলের অন্দরে বিদ্রোহ এবং কোভিভবিধি ভেঙে পানভোজনের আসর বসানোর অভিযোগ মাথায় নিয়ে ২০২২ সালে জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন।

এর পর লিজ ট্রাসের ৪৯ দিনের প্রধানমন্ত্রিত্ব পর্বের শেষে দলের অন্দরে ভোটাভুটির মাধ্যমে ওয়েস্টমিনিস্টারে আসীন হয়েছিলেন ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির জামাই সুনক। নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে ব্রিটেনে ভোট করাতে হবে। সুনক আগে বলেছিলেন, এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে হবে ভোট। কিন্তু গত ২২ জুন হঠাৎই রাজা তৃতীয় চার্লসের সাথে দেখা করে তাকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার আর্জি জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এরপর ৪ জুলাই ভোটের দিন ঘোষিত হয়েছিল।

এবার অবশ্য সুনকের বিদায় নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে। ভোট পণ্ডিতদের বড় অংশ বলছেন, শুধু হার নয়, এবারের নির্বাচনে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়বে টোরিরা। জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাস, লেবার পার্টি ৪০ শতাংশ ভোট পেতে চলেছে। টোরিরা পাবে ২০ শতাংশের সামান্য বেশি। নাইজেল ফারাজের নেতৃত্বাধীন কট্টরপন্থী দল রিফর্ম ইউকে পেতে পারে ১৬ শতাংশ ভোট। এছাড়া লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, গ্রিন পার্টি, রিফর্ম পার্টি, স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি-সহ ছোট–বড় প্রায় ৯৮টি রাজনৈতিক দল ভোটে অংশগ্রহণ করছে। মোট চার হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এ বারের নির্বাচনে।

যদিও ব্রেক্সিট–পরবর্তী সময় থেকে ভঙ্গুর অর্থনীতি, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, অভিবাসন সমস্যাসহ সাম্প্রতিক সময়ে অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ব্রিটেনের জনগণ বিরক্ত বলে জনমত সমীক্ষাগুলোর ইঙ্গিত। তাছাড়া টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের প্রতিও রয়েছে ‘প্রতিষ্ঠানবিরোধী ক্ষোভ’। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

বিজনেস বাংলাদেশ/ফারুক