০৪:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডারে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা মূলহোতা গ্রেফতার

সাম্প্রতিক সময়ে মধ্য প্রাচ্য পাঠানোর কথা বলে কোটি কোটি টাকা আত্নস্বাৎ করে যাচ্ছেন বেশ কয়কেটি প্রতারক চক্র ।

হুন্ডি,অনলাইন গ্যাম্বলিং, আন্ডার-অভার ইনভয়েসিং, জাল-জালিয়াতি, ভূয়া প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ পূর্বক মানি লন্ডারিং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সিআইডি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এরই ধারাবহিকতায় সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি জনাব মোহাম্মদ আলী মিয়া বিপিএম, পিপিএম মহোদয়ের নির্দেশনায় বিশেষ পুলিশ সুপার জনাব ছত্রধর ত্রিপুরা ঢাকা মেট্রো-উত্তর এর প্রত্যক্ষ তদারকি ও নেতৃত্বে ডিএমপির বনানী থানার মামলা নং-০৫,গত ৫ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ, ধারা- মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এর ২০১২ এর ৪(২)/ ৪(৪)এর এজাহারনামীয় মূল আসামী সারোয়ার হাসান (৪০), পিতা- মোঃ রশিদুল আলম, স্বত্বাধিকারী- টোবেক্স এলপিজি ইউনিট টোবেক্স গ্রুপ সাং- ৪নং মহাখালী, থানা- বনানী, জেলা- ডিএমপি, ঢাকাকে গত ২ জুলাই ২০২৪ ইং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পূর্বক গ্রেফতার করা হয়।

উক্ত আসামী দীর্ঘদিন পলাতক অবস্থায় ছিল। আসামী সারোয়ার হাসান প্রতারণামূলকভাবে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সেনা কল্যাণ সংস্থার ভুয়া ক্রয়াদেশ ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সৃজন করে জহুরা অটোরাইস মিলস এর স্বত্বাধিকারী মোঃ আব্দুল হান্নানকে ২৪০০ টন চাল উৎপাদনের নির্দেশ প্রদান করে।

উক্ত সৃজনকৃত ক্রয়াদেশ মোতাবেক গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ খ্রিঃ হতে ৪ অক্টোবর ২০২১ ইং পর্যন্ত মোঃ আব্দুল হান্নান এর নিকট থেকে চাল গ্রহণ করে আসামী সারোয়ার হাসান সেনা কল্যাণ সংস্থার লোগো সম্বলিত ব্যাগে সেনা কল্যাণ ট্রাস্ট এর ব্যানারে ভাড়াকৃত গাড়ীতে ২৪০০ টন চাল যার মূল্য অনুমান ১২,৩৩,৬৮,০০০/- টাকা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে উক্ত চাল সেনা কল্যাণ সংস্থায় সরবরাহ না করে আসামী মোঃ আব্দুর রশিদ এর স্বত্তাধীকারী প্রতিষ্ঠান “নুহা অটোরাইস মিলস” এবং ”মেসার্স রশিদ রাইস এজেন্সি” এর গুদামে সংরক্ষণ করে। আসামী আব্দুর রশিদ উক্ত চাল নিজের প্রতিষ্ঠান ”মেসার্স রশিদ রাইস এজেন্সি” এবং আসামী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন তার স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ”মেসার্স সালাম অটো রাইস মিল” এর মাধ্যমে ব্যাগ ও লোগো পরিবর্তন করে নিজেদের কোম্পানীর ব্যাগে বাজারজাত করে।

মোঃ আব্দুল হান্নান বিষয়টি জানতে পেরে চালের খোঁজ নিয়ে আসামী মোঃ আঃ রশিদ এর স্বত্তাধিকারী নুহা অটো রাইস মিলের গোডাউন হতে ১৫,৪৭৫ বস্তা চাল এবং কুষ্টিয়ার সালাম অটো রাইস মিল হতে ৬৫০০ বস্তা চালসহ মোট ২১,৯৭৫ বস্তা চাল স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করতে পারলেও অবশিষ্ট ২২,০৮৫ বস্তা চাল বর্ণিত আসামীরা পরষ্পর যোগসাজসে প্রতারণামূলকভাবে বাজারে বিক্রয় করে বিক্রয়লব্ধ ৪,৩৬,২৮,০০০/- টাকা আত্মসাৎ করে। উক্ত টাকা ফেরৎ প্রদানের জন্য আসামীরা মোঃ আব্দুল হান্নান এর সাথে চুক্তিপত্র সম্পাদন করে এবং উক্ত টাকার বিপরীতে আসামী সারোয়ার হাসান তার প্রতিষ্ঠান ”টোবেক্স গ্রæপ” নামীয় হিসাব নম্বরে ৪ কোটি টাকা উল্লেখ করে আব্দুল হান্নান এর প্রতিষ্ঠান ”মেসার্স জহুরা অটোরাইস মিলস” এর নামে ০৩টি চেক প্রদান করেন।

পরবর্তীতে আব্দুল হান্নান উক্ত চেকগুলি নগদায়নের জন্য ব্যাংকে উপস্থাপন করলে উক্ত হিসাব নম্বরে পর্যাপ্ত তহবিল না থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকগুলি ডিজঅনার করেন। আসামীরা উক্ত টাকা ফেরৎ না দিয়ে পরিবর্তন, রুপান্তর ও হস্তান্তর করে মানিলন্ডারিং এর অপরাধ করেছে। উক্ত আসামী একজন পেশাদার প্রতারক।

তার প্রতারণামূলক কর্মকান্ডের কারণে ব্যবসায়ী মহল ও সাধারণ মানুষ ব্যবসা বাণিজ্যের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে এবং বর্তমান অর্থ ব্যবস্থার উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এছাড়াও উক্ত আসামী কোন লিমিটেড কোম্পানীর এমডি না হওয়া সত্বেও গ্রুপ অব লিঃ কোম্পানীর এমডি হিসেবে নিজেকে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামী বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।

আসামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানা সহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধীক মামলা রয়েছে যা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

হজাদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি জাফর,সাধারণ সম্পাদক আল আমিন

ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডারে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা মূলহোতা গ্রেফতার

প্রকাশিত : ০৬:৩২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

সাম্প্রতিক সময়ে মধ্য প্রাচ্য পাঠানোর কথা বলে কোটি কোটি টাকা আত্নস্বাৎ করে যাচ্ছেন বেশ কয়কেটি প্রতারক চক্র ।

হুন্ডি,অনলাইন গ্যাম্বলিং, আন্ডার-অভার ইনভয়েসিং, জাল-জালিয়াতি, ভূয়া প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ পূর্বক মানি লন্ডারিং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সিআইডি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এরই ধারাবহিকতায় সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি জনাব মোহাম্মদ আলী মিয়া বিপিএম, পিপিএম মহোদয়ের নির্দেশনায় বিশেষ পুলিশ সুপার জনাব ছত্রধর ত্রিপুরা ঢাকা মেট্রো-উত্তর এর প্রত্যক্ষ তদারকি ও নেতৃত্বে ডিএমপির বনানী থানার মামলা নং-০৫,গত ৫ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ, ধারা- মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এর ২০১২ এর ৪(২)/ ৪(৪)এর এজাহারনামীয় মূল আসামী সারোয়ার হাসান (৪০), পিতা- মোঃ রশিদুল আলম, স্বত্বাধিকারী- টোবেক্স এলপিজি ইউনিট টোবেক্স গ্রুপ সাং- ৪নং মহাখালী, থানা- বনানী, জেলা- ডিএমপি, ঢাকাকে গত ২ জুলাই ২০২৪ ইং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পূর্বক গ্রেফতার করা হয়।

উক্ত আসামী দীর্ঘদিন পলাতক অবস্থায় ছিল। আসামী সারোয়ার হাসান প্রতারণামূলকভাবে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সেনা কল্যাণ সংস্থার ভুয়া ক্রয়াদেশ ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সৃজন করে জহুরা অটোরাইস মিলস এর স্বত্বাধিকারী মোঃ আব্দুল হান্নানকে ২৪০০ টন চাল উৎপাদনের নির্দেশ প্রদান করে।

উক্ত সৃজনকৃত ক্রয়াদেশ মোতাবেক গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ খ্রিঃ হতে ৪ অক্টোবর ২০২১ ইং পর্যন্ত মোঃ আব্দুল হান্নান এর নিকট থেকে চাল গ্রহণ করে আসামী সারোয়ার হাসান সেনা কল্যাণ সংস্থার লোগো সম্বলিত ব্যাগে সেনা কল্যাণ ট্রাস্ট এর ব্যানারে ভাড়াকৃত গাড়ীতে ২৪০০ টন চাল যার মূল্য অনুমান ১২,৩৩,৬৮,০০০/- টাকা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে উক্ত চাল সেনা কল্যাণ সংস্থায় সরবরাহ না করে আসামী মোঃ আব্দুর রশিদ এর স্বত্তাধীকারী প্রতিষ্ঠান “নুহা অটোরাইস মিলস” এবং ”মেসার্স রশিদ রাইস এজেন্সি” এর গুদামে সংরক্ষণ করে। আসামী আব্দুর রশিদ উক্ত চাল নিজের প্রতিষ্ঠান ”মেসার্স রশিদ রাইস এজেন্সি” এবং আসামী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন তার স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ”মেসার্স সালাম অটো রাইস মিল” এর মাধ্যমে ব্যাগ ও লোগো পরিবর্তন করে নিজেদের কোম্পানীর ব্যাগে বাজারজাত করে।

মোঃ আব্দুল হান্নান বিষয়টি জানতে পেরে চালের খোঁজ নিয়ে আসামী মোঃ আঃ রশিদ এর স্বত্তাধিকারী নুহা অটো রাইস মিলের গোডাউন হতে ১৫,৪৭৫ বস্তা চাল এবং কুষ্টিয়ার সালাম অটো রাইস মিল হতে ৬৫০০ বস্তা চালসহ মোট ২১,৯৭৫ বস্তা চাল স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করতে পারলেও অবশিষ্ট ২২,০৮৫ বস্তা চাল বর্ণিত আসামীরা পরষ্পর যোগসাজসে প্রতারণামূলকভাবে বাজারে বিক্রয় করে বিক্রয়লব্ধ ৪,৩৬,২৮,০০০/- টাকা আত্মসাৎ করে। উক্ত টাকা ফেরৎ প্রদানের জন্য আসামীরা মোঃ আব্দুল হান্নান এর সাথে চুক্তিপত্র সম্পাদন করে এবং উক্ত টাকার বিপরীতে আসামী সারোয়ার হাসান তার প্রতিষ্ঠান ”টোবেক্স গ্রæপ” নামীয় হিসাব নম্বরে ৪ কোটি টাকা উল্লেখ করে আব্দুল হান্নান এর প্রতিষ্ঠান ”মেসার্স জহুরা অটোরাইস মিলস” এর নামে ০৩টি চেক প্রদান করেন।

পরবর্তীতে আব্দুল হান্নান উক্ত চেকগুলি নগদায়নের জন্য ব্যাংকে উপস্থাপন করলে উক্ত হিসাব নম্বরে পর্যাপ্ত তহবিল না থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকগুলি ডিজঅনার করেন। আসামীরা উক্ত টাকা ফেরৎ না দিয়ে পরিবর্তন, রুপান্তর ও হস্তান্তর করে মানিলন্ডারিং এর অপরাধ করেছে। উক্ত আসামী একজন পেশাদার প্রতারক।

তার প্রতারণামূলক কর্মকান্ডের কারণে ব্যবসায়ী মহল ও সাধারণ মানুষ ব্যবসা বাণিজ্যের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে এবং বর্তমান অর্থ ব্যবস্থার উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এছাড়াও উক্ত আসামী কোন লিমিটেড কোম্পানীর এমডি না হওয়া সত্বেও গ্রুপ অব লিঃ কোম্পানীর এমডি হিসেবে নিজেকে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামী বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।

আসামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানা সহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধীক মামলা রয়েছে যা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস