০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
কুড়িল- গাউছিয়া রুট

আর্টিকুলেটড বাস সেবায় খুশি সাধারণ মানুষ

রাজধানীসহ পূর্ব ও পশ্চিম অংশের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী কুড়িল-পূর্বাচল এক্সপ্রেস রোড হয়ে সরাসরি গাউছিয়া বাসসেবা দিয়ে আসছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিসি)।

২০১৭ সাল থেকে এই রুটে রোডে বিআরটিসির আর্টিকুলেটড (জোড়া) বাস দ্বারা পরিচালনা হয়ে আসছে। শুরুতে এই রুটে ১০ বাস চললেও বর্তমান চেয়ারম্যানের তত্বাবধানে আরও ১৮টি বাস মেরামত করে এখন ২৮টি বাস চলাচল করছে। প্রতিদিন এইরুটে প্রায় ৮ হাজার যাত্রী চলাচল করে থাকে।

এই রুটে অন্য কোন পরিবহন না থাকায় শুধু মাত্র বিআরটিসি এককভাবে যাত্রী সেবা দিয়ে আসছে। যাতে করে খুশি যাত্রীরা। মাত্র ৪টি বাস স্টপেজে ৬০ টাকা দিয়ে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে গাউছিয়ায় যাতায়াত করা যাচ্ছে।

এই রুটে গ্রীণ ইউনিভার্সিটিসহ বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় আইডি কার্ড ধারী প্রতিটি শিক্ষার্থী হাফ ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে পারছে।

শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, কুড়িল বিশ্বরোডে লাইনে দাড়িয়ে বিআরটিসির আর্টিকুলেট বাসে উঠছে কেও যাচ্ছে কাঞ্চন ব্রীজ, কেওবা গাউছিয়া। যাত্রীদের ৩০০ ফিটের সড়কে বিআরটিসিতে মুক্ত বাতাস গায়ে লাগিয়ে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে দেখা যায়।

ঢাকার দক্ষিণের প্রবেশপথ যাত্রাবাড়ী এবং উত্তরের টঙ্গী-আবদুল্লাহপুরের যানজট এড়িয়ে দেশের পূর্বাঞ্চল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা এবং সাভার, আশুলিয়া ও টঙ্গী এলাকায় যাওয়ার সহজ পথ ৩০০ ফুট সড়ক। এ পথে আগে যাত্রীদের একমাত্র অবলম্বন ছিল ভাড়ায় চালিত ব্যক্তিগত গাড়ি। এগুলোর বেশির ভাগের ফিটনেস নেই। ভাড়াও অনেক।

এই রুটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র  কাঞ্চন ব্রীজ এলাকার বাসিন্দা পারভেজ মোশাররফ বিজনেস বাংলাদেশকে বলেন, ‘কাঞ্চন সেতু থেকে কুড়িল পর্যন্ত মাত্র ১৪ কিলোমিটার পথ যেতে প্রতিদিন যে টাকা খরচ করতে হতো, তাতে মাসে আমার ৪ হাজার টাকার কাছাকাছি খরচ পড়ে যেত। তার ওপর ছিল ভাড়ায় চলা ব্যক্তিগত ওই সব গাড়ির চালকদের দুর্ব্যবহার।’ সেদিন দুপুরে কুড়িল বিশ্বরোডে বিআরটিসির কাউন্টারের সামনে কথা হয় মোবারক হোসেন ও রশিদ হাসান নামে দুই যাত্রীর সঙ্গে। তাঁদের অভিজ্ঞতাও প্রায় একই।

বিআরটিসির বাস চালু হওয়ায় এখন ঝুঁকি ও খরচ দুটোই কমেছে। খুব কম সময়ে আমরা সহজেই এই রুটে চলাচল করতে পারছি। এজন্য বিআরটিসি কর্তৃপক্ষকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

বিআরটিসির গাজীপুর ডিপোর ব্যবস্থাপক রাকিবুল হাসান শুভ বলেন, আমরা যাত্রীদের সেবার মান নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু বর্তমানে উক্ত  রুটের যাত্রী সেবার মান দেখে একটি কুচক্রী মহল নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে যাতে করে বিআরটিসির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে হয়। সেবা প্রদানে কোন ভুল ত্রুটি থাকলে আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব। বর্তমান চেয়ারম্যান মহোদয় তাজুল ইসলাম স্যারের নির্দেশনায় আমরা দেশের মানুষের সেবা প্রদানে বদ্ধপরিকর।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

হবিগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলেন সৈয়দ মোঃ ফয়সল

কুড়িল- গাউছিয়া রুট

আর্টিকুলেটড বাস সেবায় খুশি সাধারণ মানুষ

প্রকাশিত : ১১:৪৫:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

রাজধানীসহ পূর্ব ও পশ্চিম অংশের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী কুড়িল-পূর্বাচল এক্সপ্রেস রোড হয়ে সরাসরি গাউছিয়া বাসসেবা দিয়ে আসছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিসি)।

২০১৭ সাল থেকে এই রুটে রোডে বিআরটিসির আর্টিকুলেটড (জোড়া) বাস দ্বারা পরিচালনা হয়ে আসছে। শুরুতে এই রুটে ১০ বাস চললেও বর্তমান চেয়ারম্যানের তত্বাবধানে আরও ১৮টি বাস মেরামত করে এখন ২৮টি বাস চলাচল করছে। প্রতিদিন এইরুটে প্রায় ৮ হাজার যাত্রী চলাচল করে থাকে।

এই রুটে অন্য কোন পরিবহন না থাকায় শুধু মাত্র বিআরটিসি এককভাবে যাত্রী সেবা দিয়ে আসছে। যাতে করে খুশি যাত্রীরা। মাত্র ৪টি বাস স্টপেজে ৬০ টাকা দিয়ে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে গাউছিয়ায় যাতায়াত করা যাচ্ছে।

এই রুটে গ্রীণ ইউনিভার্সিটিসহ বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় আইডি কার্ড ধারী প্রতিটি শিক্ষার্থী হাফ ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে পারছে।

শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, কুড়িল বিশ্বরোডে লাইনে দাড়িয়ে বিআরটিসির আর্টিকুলেট বাসে উঠছে কেও যাচ্ছে কাঞ্চন ব্রীজ, কেওবা গাউছিয়া। যাত্রীদের ৩০০ ফিটের সড়কে বিআরটিসিতে মুক্ত বাতাস গায়ে লাগিয়ে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে দেখা যায়।

ঢাকার দক্ষিণের প্রবেশপথ যাত্রাবাড়ী এবং উত্তরের টঙ্গী-আবদুল্লাহপুরের যানজট এড়িয়ে দেশের পূর্বাঞ্চল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা এবং সাভার, আশুলিয়া ও টঙ্গী এলাকায় যাওয়ার সহজ পথ ৩০০ ফুট সড়ক। এ পথে আগে যাত্রীদের একমাত্র অবলম্বন ছিল ভাড়ায় চালিত ব্যক্তিগত গাড়ি। এগুলোর বেশির ভাগের ফিটনেস নেই। ভাড়াও অনেক।

এই রুটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র  কাঞ্চন ব্রীজ এলাকার বাসিন্দা পারভেজ মোশাররফ বিজনেস বাংলাদেশকে বলেন, ‘কাঞ্চন সেতু থেকে কুড়িল পর্যন্ত মাত্র ১৪ কিলোমিটার পথ যেতে প্রতিদিন যে টাকা খরচ করতে হতো, তাতে মাসে আমার ৪ হাজার টাকার কাছাকাছি খরচ পড়ে যেত। তার ওপর ছিল ভাড়ায় চলা ব্যক্তিগত ওই সব গাড়ির চালকদের দুর্ব্যবহার।’ সেদিন দুপুরে কুড়িল বিশ্বরোডে বিআরটিসির কাউন্টারের সামনে কথা হয় মোবারক হোসেন ও রশিদ হাসান নামে দুই যাত্রীর সঙ্গে। তাঁদের অভিজ্ঞতাও প্রায় একই।

বিআরটিসির বাস চালু হওয়ায় এখন ঝুঁকি ও খরচ দুটোই কমেছে। খুব কম সময়ে আমরা সহজেই এই রুটে চলাচল করতে পারছি। এজন্য বিআরটিসি কর্তৃপক্ষকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

বিআরটিসির গাজীপুর ডিপোর ব্যবস্থাপক রাকিবুল হাসান শুভ বলেন, আমরা যাত্রীদের সেবার মান নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু বর্তমানে উক্ত  রুটের যাত্রী সেবার মান দেখে একটি কুচক্রী মহল নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে যাতে করে বিআরটিসির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে হয়। সেবা প্রদানে কোন ভুল ত্রুটি থাকলে আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব। বর্তমান চেয়ারম্যান মহোদয় তাজুল ইসলাম স্যারের নির্দেশনায় আমরা দেশের মানুষের সেবা প্রদানে বদ্ধপরিকর।