চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার চন্দ্রনাথ রির্জাভ ফরেস্ট ব্লকের চিরসবুজ বনাঞ্চল সমৃদ্ধ বোটানিক্যাল গার্ডেন ইকোপার্কে সুপ্তধারা ঝর্ণাটি অবস্থিত। ইকোপার্কটি চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩৫ কি.মি. উত্তরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং রেলপথের পূর্ব পাশে অবস্থিত। বছরের অন্য সময় ঝর্ণায় তেমন পানি না থাকলেও বর্ষা মৌসুমে এ ঝর্ণায় উপচে পড়ে পানি। আর এ ঝর্ণা দেখতে প্রতিদিন দেশের দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ।
উপজেলার ফকিরহাটস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব দিকে ১৪৯৬ ফুট পাহাড়ের উপরে উঠে ৪৮৩টি সিঁড়ি বেয়ে নিচের দিকে নামতেই শোঁ শোঁ আওয়াজ কানে ভেসে আসছে। সিঁড়ি বেয়ে নিচের দিকে নামলে পাহাড়ের আড়াল থেকে বেরিয়ে আসবে আওয়াজের উৎস। বিশাল পাথুরে পাহাড়ের গাঁ বেয়ে তীব্র বেগে নেমে আসছে ঝর্ণাধারা। ঝর্ণার আশেপাশে পানির ফোঁটা একটা কুয়াশার নদীর মতো তৈরী করেছে। ঝর্ণার পানি বাড়িয়ে পাহাড়ের কোলে তৈরী করেছে হ্রদ। গত কয়েকদিন প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়েছে। আর তাতেই জেগে উঠেছে ঝর্ণাগুলো, যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সীতাকুণ্ডে মোট ছয়টি ঝর্ণা রয়েছে, তার মধ্যে একটি সুপ্তধারা ঝর্ণা। ঝর্ণাটিতে যেতে পাহাড়ী পথ পাড়ি দিতে হয়।
পাহাড়ের উপর থেকে সিঁড়ি বেয়ে ঝর্ণায় যেতে ৩০/৩৫ মিনিট সময় লাগে। ইকোপার্কের গেইট থেকে গাড়ী যোগে পাহাড়ের উপরে যাওয়া যায়। ঐখান থেকে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামলেই ঝর্ণা। ফলে পর্যটকদের তেমন পরিশ্রম করতে হয়না। ঝর্ণায় যেতে হলে ৩০ টাকা দিয়ে টিকেট নিতে হবে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গত তিনদিন প্রচুর বৃষ্টি হওয়াতে পুরোদমে জেগে উঠেছে ঝর্ণাটি। ফলে পাহাড়ের উপরে গিয়ে নিচের দিকে কয়েকটি সিঁড়ি বেয়ে নামতে শোঁ শোঁ আওয়াজ শুনা যাচ্ছিল। ঝর্ণার কাছে পৌঁছেই দেখা মিললো ৯ পর্যটকের। তাদেরও একজন মোহাম্মদ তানজিল। তিনি কুমিল্লা জেলার চাঁদপুর থানাধীন ফরিদগঞ্জ এলাকায় থাকেন। তিনি বলেন, আমাদের কলেজের বন্ধুরা মিলে সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন পর্যটন স্পট গুলোতে ঘুরতে আসি এর মধ্যে সুপ্তধারা ঝর্ণা অন্যতম। ঝর্ণার নতুন পানির ছোঁয়া পাওয়ার মজাটাই আলাদা।
বিজনেস বাংলাদেশ/এমএফ