পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংস্থানের প্রধান মাধ্যম প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও)। এই পক্রিয়ায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা নিদিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য টাকা প্রদান করে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে প্রায় ২৭ লাখ ১২ হাজার বিনিয়োগকারী থাকলেও এর নাম মাত্র বিনিয়োগকারী সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগকারী। বাদবাকি বিনিয়োগকারীরা আইপিও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন অতালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে। চলতি মাসের শেষ ২ সপ্তাহে ২টি কোম্পানির আইপিও আবেদনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া এম এল ডায়িং কোম্পানির আইপিও আবেদন চলবে আগামী ১৯ তারিখ পর্যন্ত। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ২ সপ্তাহে যেসব কোম্পানি আইপিও আবেদন সংগ্রহ করেবে, তাদের নিয়ে দ্বিধা-দন্ধে রয়েছে বিনিয়োগকারীরা। কারণ, পর পর তিনটি কোম্পানি আইপিও আবেদন সংগ্রহ করায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের পরিমানও বাড়ছে পুঁজিবাজারে। জানা যায়, আগামী ২২ জুলাই বিনিয়োগকারীদের নিকট থেকে আইপিও আবেদন সংগ্রহ করবে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। কোম্পানিটির আইপিও আবেদন চলবে মাত্র ৫ কার্যদিবস। তা ২৬ জুলাই শেষ হবে। এর পর শুক্র ও শনিবার সপ্তাহিক বন্ধশেষে ২৯ জুলাই আইপিও আবেদন সংগ্রহ করবে সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। জেনে নিন আইপিও গুলোর বিস্তারিত: ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিটির আইপিও আবেদন আগামী ২২ জুলাই শুরু হবে। চলবে ২৬ জুলাই পর্যন্ত। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটি জানায়, গত ২৮ জুন উচ্চআদালত কোম্পানিটির আইপিও স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে। ঋণ নিয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের সঙ্গে কোম্পানির সমঝোতা হওয়ায় ব্যাংকটি রিট আবেদন তুলে নিয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে আর কোন বিরোধ না থাকায় উচ্চআদালত আইপিও স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে। এর আগে কোম্পানিটির ৪ জন পরিচালক ঋণ খেলাপি হওয়ায় ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পক্ষ থেকে বরিশালের অর্থ ঋণ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। এতে কোম্পানির আইপিও আবেদনে ৬ মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছিল। এর আগে গত বছরের ৩ অক্টোবর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৬১৩ তম কমিশন সভায় কোম্পানিটিকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়। ইন্দো-বাংলা ফার্মা আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে।
কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে এ অর্থ উত্তোলন করবে। উত্তোলিত টাকায় অবকাঠামো নির্মাণ, মেশিনারিজ ক্রয় এবং আইপিও সংক্রান্ত খাতে ব্যয় করবে। ৩০ জুন ২০১৬ হিসাব বছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২.৬২ টাকা। শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১.৬৩ টাকা। উল্লেখ্য, কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে এএফসি ক্যাপিট্যাল, ইবিএল ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড এবং সিএপিএম অ্যাডভাইসরি লি:। সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস : পুঁজিবাজার থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদন শুরু হবে আগামী ২৯ জুলাই। যা চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। এর আগে ১১ জুন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়। সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালসকে পুঁজিবাজার থেকে ৩০ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এক্ষেত্রে কোম্পানিটি শুধুমাত্র অভিহিত মূল্য ১০ টাকা করে ৩ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে এই টাকা সংগ্রহ করবে। উত্তোলনযোগ্য টাকা দিয়ে কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি ও কলকব্জা ক্রয়, কারখানার ভবন নির্মাণ, ঋণ পরিশোধ এবং আইপিওতে ব্যবহার করবে। কোম্পানিটির ২০১৬-১৭ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.০৩ টাকা। আর ২০১৭ সালের ৩০ জুন পুনঃমূল্যায়ন ছাড়া শেয়ার প্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৬.৪৮ টাকায়। উল্লেখ্য, কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড ও এসবিএল ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

























