১০:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তেলিয়াপাড়া চা বাগানে বেতন ও রেশন বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানে লাগাতার ৪ সপ্তাহ ধরে ১১ শ শ্রমিকের নিয়মিত দৈনিক হাজিরা ও রেশন বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাকা দিয়েছে। সোমবার সকালে কারখানার সামনে মানববন্ধন করে শ্রমিকরা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে।তাদের যাবতীয় পাওনা পরিশোধ না করা পর্যন্ত তারা বাগানের কাজে যোগ দেবেনা বলে ঘোষণা দিয়েছে।এখন থেকে বাগানের কারখানা বন্ধ রযেছে। চা বাগানে কোন চা পাতা সংগ্রহ বা প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছেনা। বাগানের শ্রমিকরা জানান,চা বাগানের শ্রমিকরা দৈনিক ১৭০ টাকা মজুরিতে কাজ করে থাকে।

প্রতি সপ্তাহে তাদের মজুরি টাকা ও রেশন হিসেবে আঠা চাল দেওযার পর তারা এগুলো দিয়ে সংসার চালালিয়ে থাকে। কিন্তু গত ৪ সপ্তাহ ধরে তেলিয়াপাড়া চা বাগানে শ্রমিকদের কোন বেতন ও রেশন দেওয়া হচ্ছেনা। এখন শ্রমিক পরিবার অনাহারে অর্ধাহারে দিন পাড় করছে।বাগানের শ্রমিকদের বিকল্প আয়ের কোন উৎস নেই।বাগানের কাজের মধ্যেই তাদের জীবিকা চলে।

তেলিয়াপাড়া চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক লালন পাহান জানান, শ্রমিকরা রোদ বৃষ্টিতে ভিজে চা বাগানে কায়িক পরিশ্রম করে থাকে শুধু দুমুঠো ভাতের আশায়। কিন্তু বাগান কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে গত ৪ সপ্তাহ ধরে শ্রমিকদের পাওনা দিতে পারছেনা।

এখন তারা কি খেয়ে কাজে যাবে।সামান্য মজুরিতে তাদের সংসার কোন রকম চলে যেত। কিন্তু এখন সব কিছু বন্ধ।বাগানের সভাপতি খোকন পান তাতি বলেন,কর্তৃপক্ষ বাগান চালাতে ব্যর্থ হচ্ছে। কারন বাগান ধ্বংস হলে শ্রমিকরা চিরতরে ক্ষতির মধ্যে পড়বে।সব জেনেও তাদের পাওনা বুঝে পেতে লাগাতার কর্মবিরতি করতে বাধ্য হয়েছে।পাওনা পরিশোধ করা হলে সাধারণ শ্রমিকরা কাজে যোগ দেবে।

এর আগে কাজে যোগ দেবেনা।বাগানের ম্যানেজার রাহেল রানা বলেন,কর্মবিরতি না করতে তাদের অনুরোধ করেছি।কিন্তু তাদের মজুরি ও রেশন না পেয়ে তারা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে।কর্তৃপক্ষ টাকা দিলেই শ্রমিকদের পরিশোধ করা হবে।কাজ বন্ধ রাখায় বাগানে আরো লোকসান হবে।

ট্যাগ :

লক্ষ্মীপুরে সাংবাদিকদের সাথে ছাত্রসমন্বয়দের মতবিনিময়

তেলিয়াপাড়া চা বাগানে বেতন ও রেশন বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি

প্রকাশিত : ০৮:৪০:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানে লাগাতার ৪ সপ্তাহ ধরে ১১ শ শ্রমিকের নিয়মিত দৈনিক হাজিরা ও রেশন বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাকা দিয়েছে। সোমবার সকালে কারখানার সামনে মানববন্ধন করে শ্রমিকরা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে।তাদের যাবতীয় পাওনা পরিশোধ না করা পর্যন্ত তারা বাগানের কাজে যোগ দেবেনা বলে ঘোষণা দিয়েছে।এখন থেকে বাগানের কারখানা বন্ধ রযেছে। চা বাগানে কোন চা পাতা সংগ্রহ বা প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছেনা। বাগানের শ্রমিকরা জানান,চা বাগানের শ্রমিকরা দৈনিক ১৭০ টাকা মজুরিতে কাজ করে থাকে।

প্রতি সপ্তাহে তাদের মজুরি টাকা ও রেশন হিসেবে আঠা চাল দেওযার পর তারা এগুলো দিয়ে সংসার চালালিয়ে থাকে। কিন্তু গত ৪ সপ্তাহ ধরে তেলিয়াপাড়া চা বাগানে শ্রমিকদের কোন বেতন ও রেশন দেওয়া হচ্ছেনা। এখন শ্রমিক পরিবার অনাহারে অর্ধাহারে দিন পাড় করছে।বাগানের শ্রমিকদের বিকল্প আয়ের কোন উৎস নেই।বাগানের কাজের মধ্যেই তাদের জীবিকা চলে।

তেলিয়াপাড়া চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক লালন পাহান জানান, শ্রমিকরা রোদ বৃষ্টিতে ভিজে চা বাগানে কায়িক পরিশ্রম করে থাকে শুধু দুমুঠো ভাতের আশায়। কিন্তু বাগান কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে গত ৪ সপ্তাহ ধরে শ্রমিকদের পাওনা দিতে পারছেনা।

এখন তারা কি খেয়ে কাজে যাবে।সামান্য মজুরিতে তাদের সংসার কোন রকম চলে যেত। কিন্তু এখন সব কিছু বন্ধ।বাগানের সভাপতি খোকন পান তাতি বলেন,কর্তৃপক্ষ বাগান চালাতে ব্যর্থ হচ্ছে। কারন বাগান ধ্বংস হলে শ্রমিকরা চিরতরে ক্ষতির মধ্যে পড়বে।সব জেনেও তাদের পাওনা বুঝে পেতে লাগাতার কর্মবিরতি করতে বাধ্য হয়েছে।পাওনা পরিশোধ করা হলে সাধারণ শ্রমিকরা কাজে যোগ দেবে।

এর আগে কাজে যোগ দেবেনা।বাগানের ম্যানেজার রাহেল রানা বলেন,কর্মবিরতি না করতে তাদের অনুরোধ করেছি।কিন্তু তাদের মজুরি ও রেশন না পেয়ে তারা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে।কর্তৃপক্ষ টাকা দিলেই শ্রমিকদের পরিশোধ করা হবে।কাজ বন্ধ রাখায় বাগানে আরো লোকসান হবে।