০৪:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

সীতাকুণ্ডের সাবেক দুই এমপিসহ ১৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চাঁদাবাজি, চুরি, ক্ষতিসাধন, ভয়ভীতি, ককটেল বিস্ফোরণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে সীতাকুণ্ডের সাবেক দুই এমপিসহ ৫৩ জনের নাম উল্লেখ করে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় ফৌজদারী অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাছাড়া ৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।

গত শনিবার ( ৫ অক্টোবর) বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জিয়া মঞ্চ চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি মোঃ অহিদুল আলম চৌধুরী বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় এই মামলাটি করেন।

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে- এস এম আল মামুন সাবেক এমপি, দিদারুল আলম সাবেক এমপি, মোঃ সাইদুল ইসলাম প্রকাশ সেভেন মার্ডার ইসলাম (৩৮), রেহান উদ্দিন চেয়ারম্যান প্রকাশ সবজি চোর রায়হান (৫৮), দিদারুল আলম প্রকাশ মদ ডিলার দিদার (৪২), মোঃ সাইফুল (৩২), দিদার সিদ্দিকী মেম্বার (৫০), আলাউদ্দিন আল মামুন প্রকাশ কিলার মামুন (৩৫), শামীম উদ্দিন মেম্বার (৩৫), চন্দন ড্রাইভার (২৭), মোঃ সুমন (২৫), মোঃ হৃদয় (২৫), এমরান (৩৫), আরিফ (২৭), করিম (২৬), পারভেজ প্রকাশ লেজার পারভেজ (৩০), আকাশ (২৭), সরওয়ার হোসেন (২৫), শাখাওয়াত হোসেন (৩৫), ইকবাল হোসেন (৩২), ওসমান গনি প্রকাশ তারেক (৩০), আব্দুল হক (৩০), সুমন হোসাইন (৩৩), বেলাল হোসাইন (৪২), সজিব (২৩), সালাউদ্দিন (৩৫), আলমগীর প্রকাশ ডাকাত আলমগীর (৫০), মানিক নাথ প্রকাশ ডাকাত মানিক (৪৫), জাফর মেম্বার (৪৫), ইসমাইল সিরাজী (৫২) সহ ৫৩ জনকে এজাহার নামীয় আসামী করে আরও ৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- ২০১৩ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় ৬ বার তার ও তার পরিবারের ওপর হামলা করেছে আসামীরা। এর মধ্যে পাঁচবার তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাড়ীতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করে। ষষ্ঠবার ২০২২ সালে তার নিজ এলাকার মসজিদে রমজান মাসে ইফতার চলাকালীন হামলা করা হয়। এসময় তিনি গুরুতর আহত হন।

অহিদুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের রোসানলে পড়েন তিনি। আসামীগণ তার বাড়ীতে হামলার সময় সিসিটিভির ক্যাবল বিচ্ছিন্ন করে এলোপাথারি ভাঙচুর চালাতো। প্রতিবারই বাড়ীতে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি। সে সময় দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক শীর্ষ পত্রিকায় এ সকল হামলার সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, মামলার তদন্ত করা হচ্ছে। একই সাথে আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযানও চলছে।

উল্লেখ্য যে, আওয়ামী সরকারের সাবেক এমপি এস এম আল মামুনের বিরুদ্ধে এ নিয়ে দুটি মামলা দায়ের করা হল। এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ঢাকাকে বসবাসযোগ্য করতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিতে হবে: রিজওয়ানা

সীতাকুণ্ডের সাবেক দুই এমপিসহ ১৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত : ০১:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

চাঁদাবাজি, চুরি, ক্ষতিসাধন, ভয়ভীতি, ককটেল বিস্ফোরণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে সীতাকুণ্ডের সাবেক দুই এমপিসহ ৫৩ জনের নাম উল্লেখ করে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় ফৌজদারী অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাছাড়া ৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।

গত শনিবার ( ৫ অক্টোবর) বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জিয়া মঞ্চ চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি মোঃ অহিদুল আলম চৌধুরী বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় এই মামলাটি করেন।

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে- এস এম আল মামুন সাবেক এমপি, দিদারুল আলম সাবেক এমপি, মোঃ সাইদুল ইসলাম প্রকাশ সেভেন মার্ডার ইসলাম (৩৮), রেহান উদ্দিন চেয়ারম্যান প্রকাশ সবজি চোর রায়হান (৫৮), দিদারুল আলম প্রকাশ মদ ডিলার দিদার (৪২), মোঃ সাইফুল (৩২), দিদার সিদ্দিকী মেম্বার (৫০), আলাউদ্দিন আল মামুন প্রকাশ কিলার মামুন (৩৫), শামীম উদ্দিন মেম্বার (৩৫), চন্দন ড্রাইভার (২৭), মোঃ সুমন (২৫), মোঃ হৃদয় (২৫), এমরান (৩৫), আরিফ (২৭), করিম (২৬), পারভেজ প্রকাশ লেজার পারভেজ (৩০), আকাশ (২৭), সরওয়ার হোসেন (২৫), শাখাওয়াত হোসেন (৩৫), ইকবাল হোসেন (৩২), ওসমান গনি প্রকাশ তারেক (৩০), আব্দুল হক (৩০), সুমন হোসাইন (৩৩), বেলাল হোসাইন (৪২), সজিব (২৩), সালাউদ্দিন (৩৫), আলমগীর প্রকাশ ডাকাত আলমগীর (৫০), মানিক নাথ প্রকাশ ডাকাত মানিক (৪৫), জাফর মেম্বার (৪৫), ইসমাইল সিরাজী (৫২) সহ ৫৩ জনকে এজাহার নামীয় আসামী করে আরও ৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- ২০১৩ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় ৬ বার তার ও তার পরিবারের ওপর হামলা করেছে আসামীরা। এর মধ্যে পাঁচবার তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাড়ীতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করে। ষষ্ঠবার ২০২২ সালে তার নিজ এলাকার মসজিদে রমজান মাসে ইফতার চলাকালীন হামলা করা হয়। এসময় তিনি গুরুতর আহত হন।

অহিদুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের রোসানলে পড়েন তিনি। আসামীগণ তার বাড়ীতে হামলার সময় সিসিটিভির ক্যাবল বিচ্ছিন্ন করে এলোপাথারি ভাঙচুর চালাতো। প্রতিবারই বাড়ীতে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি। সে সময় দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক শীর্ষ পত্রিকায় এ সকল হামলার সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, মামলার তদন্ত করা হচ্ছে। একই সাথে আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযানও চলছে।

উল্লেখ্য যে, আওয়ামী সরকারের সাবেক এমপি এস এম আল মামুনের বিরুদ্ধে এ নিয়ে দুটি মামলা দায়ের করা হল। এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস