চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে কেইপিজেড এলাকা থেকে হাতি অপসারণের ১ দফা দাবী নিয়ে সড়ক আবারও সড়ক অবরোধ করে রেখেছে স্থানীয় জনসাধারণ। ভোর ৬টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দীর্ঘ সাড়ে ৫ ঘন্টা দীর্ঘ যানযট। ঈদের পরে সেনাবাহিনীর আলোচনায় বসার আশ্বাস দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ভোর ছয়টা থেকে কর্ণফুলী উপজেলার কেপিজেড দৌলতপুর স্কুল এলাকায় পিএবি সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের।
আন্দোলনকারীরা কর্ণফুলীর দৌলতপুর স্কুল এলাকা এবং টানেল আনোয়ারার প্রান্তে, চাতরী চৌমুহনী বাজার,সিইউএফএল সড়কের জাইল্লাঘাটা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে।
এদিকে অবরোধের ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন কেইপিজেডের শ্রমিকসহ এই রোডে চলাচল করা আনোয়ারা, চন্দনাইশ,বাঁশখালী,পেকুয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার যাত্রীরা।
অনুসন্ধানে জানা যায়- চট্টগ্রামের আনোয়ারা – কর্ণফুলীতে বন্য হাতির আক্রমণের ৬ বছর ২০ জন নিহত হয়েছে।সর্বশেষ গত শুক্রবার (২১ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের শাহমীরপুর এলাকায় বন্যহাতির তান্ডবে মো. আইমান জাওয়াদ নামে ৩ মাসে এক শিশু মারা গেছে।
বন্যহাতির নিরসনে ১ দফা দাবিতে শিশুটির লাশ নিয়ে ২১ শেষ মার্চ শনিবার ভোর ৬টা থেকে পিএবি সড়ক দৌলতপুর স্কুল এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা।সারে ৫ ঘন্টা ধরে চলে অবরোধ। অবরোধের ফলে পিএবি সড়কে হয়ে বন্ধ হয়ে আছে যান চলাচল,সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজটের। উপজেলা প্রশাসের ৪ দিনের প্রতিশ্রুতি সড়ক ছাড়েন এলাকাবাসী।
হাতি প্রসঙ্গে (চার) ৪ দিন পার হলেও কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় ২৭ মার্চ ভোর থেকে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক আনোয়ারা-কর্ণফুলীর এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে কেপিজেডের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুশফিকুর রহমান বলেন, এটি বৃহত্তর একটি শিল্প অঞ্চল। কেপিজেডে কখনো হাতি ছিল না। হাতি সরাতে আমরাও চাই এবং বনবিভাগকে একাধিকবার হাতি সরাতে চিঠি দিলেও তাদের হাতি সরাতে কোনো পদক্ষেপ নেননি। আর স্থানীয় লোকজন কি কারণে কেপিজেডকে প্রতিপক্ষ ভাবেন আমরা বুঝিনা। হাতি সরানোর জন্য কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন হলে আমরা অবশ্যই পাশে থাকব।
কর্ণফুলী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) জামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, হাতি নিরসনের বিষয়টি সম্পন্ন উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের। যদিও জনগণের ভোগান্তি না হয় সেজন্য আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
কর্ণফুলী সেনাবাহিনীর দায়িত্ব মেজর মেহেদী সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীদের সড়ক ছাড়তে ১০ মিনিটের আলটিমেটাম দেওয়া হয়।এতে আন্দোলনকারী এলাকাবাসী দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়তে রাজি না হলে। সেনাবাহিনীর দায়িত্ব কর্মকর্তা জানান সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে একপাশে দাঁড়িয়ে সারাদিন আন্দোলন করার জন্য জানান। অবশেষে ঈদের পড়ে বনবিভাগ, উপজেলা প্রশাসনের সাথে যৌথভাবে বৈঠক হাওয়া আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারী সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে।এতে সাড়ে ৫ ঘন্টার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।



















