রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. সিদ্দিকুর রহমান সরকারের বিরুদ্ধে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের ‘অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
বৃহস্পতিবার দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য দিয়ে চিঠিপত্র তলব করার কথা জানালেও সে বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারেননি।
তবে দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, সংস্থার পরিচালক মো. আবুল হাসনাতকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অন্য সদস্যরা হলেন- দুদকের সহকারী পরিচালক বিষাণ ঘোষ ও উপসহকারী পরিচালক আফিয়া খাতুন।
গত বছরের এপ্রিলে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকারকে দুই বছর মেয়াদে রাজউক চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।
গত ৫ অগাস্ট অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে ১৯ সেপ্টেম্বর তার নিয়োগ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। পরে আবার সেই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে তাকে পুনর্বহালের কথা জানানো হয় ২২ সেপ্টেম্বর। চলতি বছরের মার্চে তার নিয়োগ বাতিল করে সরকার।
অভিযোগের বিষয়ে রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান সরকারের সঙ্গে বিডিনিউজ যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে।
দুদকের সে কর্মকর্তা বলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে কর্মরত থাকাকালে সিদ্দিকুর রহমানের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য বৈধ সুযোগ-সুবিধার তথ্য, সে সময় কোনো অভিযোগে তদন্তের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নেওয়ার কোনো তথ্যা থাকলে তা আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে দুদকে পাঠাতে মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।
এছাড়া, ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজউকের বোর্ড সভার তথ্য চেয়ে বর্তমান রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে এ তথ্য দুদকে পাঠাতে বলা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, সিদ্দিকুর রহমান ও তার স্ত্রী গাজী রেবেকা রওশন যে কোনো সময় দেশত্যাগ করতে পারেন—এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে দুদক।
রাজউকের সাবেক এই চেয়ারম্যানের ব্যাংক লেনদেন যাচাইয়ে দেশের ৬৪টি তফসিলি ব্যাংকে তার হিসাবের তথ্য চেয়েও চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
ডিএস./