০৯:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

সীতাকুণ্ডে কালুশাহ্ কমপ্লেক্সের আধিপত্য নিয়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন 

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে হযরত খাজা কালুশাহ্ (রহঃ) কমপ্লেক্সের আধিপত্য নিয়ে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে বৈধ ও অবৈধ মোতাওয়াল্লি দাবী করে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। ফলে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে কোন মূহুর্তে এ দ্বন্দ্ব রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে। মাজারের বর্তমান কার্যকরী কমিটিকে অবৈধ দাবী করে খন্দকার শওকত আলী ও খন্দকার মোহাম্মদ আলী নিজেদেরকে বৈধ মোতাওয়াল্লি দাবী করায় এ দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। এ নিয়ে মাজার কমপ্লেক্স দখল ও পাল্টা দখলের ঘটনা ঘটেছে।
গত রবিবার সংবাদ সম্মেলনে বতমান কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দৌলা এক লিখিত বক্তব্যে দাবী করেন, ১৯৯৪ সাল থেকে ওয়াকফ প্রশাসনের অনুমোদনক্রমে কার্যকরী কমিটির মাধ্যমে হযরত খাজা কালুশাহ্ (রহঃ) মাজার কমপ্লেক্স পরিচালিত হয়ে আসছে। সর্বশেষ ২০২১ সালে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি করে ৩৯ সদস্যের কমিটি অনুমোদন দেয় ওয়াকফ প্রশাসন। সে আলোকে বর্তমানে হযরত খাজা কালুশাহ্ (রহঃ) মাজার কমপ্লেক্স পরিচালিত হয়ে আসছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে এ কমপ্লেক্সের অধীনে ৮টি প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে জামে মসজিদ, সুন্নিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা, লিল্লাহ বোর্ডিং-এতিমখানা, হেফজখানা, দাতব্য চিকিৎসালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ফোরকানিয়া মাদ্রাসা ও নুরানী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। কিন্তু একটি চক্র মাজারের নজরানার লোভে ‘কালুশাহ’ নামকে ‘কালু ফকির’ নামে বিকৃত করে তার ওয়ারিশ পরিচয়ে ভূয়া ওয়াকফ এস্টেট কমিটি গঠন করে। খন্দকার শওকত আলী ও খন্দকার মোহাম্মদ আলী সেই এস্টেটের মোতাওয়াল্লি সেজে হযরত খাজা কালুশাহ্ (রহঃ) মাজার কমপ্লেক্স দখলের পায়তারা করছে। তারা উভয়ে গত ৭ এপ্রিল খন্দকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মিনহাজ উদ্দিনসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং নিয়ে দেশীয় অস্তশস্ত্র সজ্জিত হয়ে মাজার কমপ্লেক্সে হামলা এবং দানবাক্স লুট করে। শুধু তাই নয় এক সপ্তাহ ধরে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা মাজার কমপ্লেক্সের অফিস ও মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলার সেমিনার কক্ষ দখল করে পবিত্র স্থানে ইয়াবা-গাঁজাসহ মাদক সেবনের আসর বসাতো। এতে তাদের আরো সহযোগীরা অংশগ্রহণ করতো। এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।
এদিকে মাজার কমপ্লেক্সের বর্তমান পরিচালনা কমিটিকে আওয়ামী লীগের দোসর ও দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করছেন মাজারের মোতাওয়াল্লি দাবিদার খন্দকার শওকত আলী ও খন্দকার মোহাম্মদ আলী। খন্দকার মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিনের দাবী আমার বাবা-চাচাই মাজারের বৈধ মোতাওয়াল্লি। এর স্বপক্ষে আমাদের কাছে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের রায় রয়েছে। কিন্তু আওয়ামী সরকারের এমপি আবুল কাশেম মাস্টার নিজ ক্ষমতাবলে ওয়াকফ প্রশাসন দিয়ে দুই বছরের জন্য একটি পরিচালনা কমিটি করিয়ে নেন। আওয়ামী সরকারের প্রভাব খাটিয়ে দেয়া ওই কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধি করে চলছে বর্তমান পরিচলানা কমিটি।
তিনি বলেন, গত ৭ এপ্রিল আমরা কোন সন্ত্রাসী নিয়ে মাজার কমপ্লেক্স দখল করতে যাইনি। বরং আমার বাবা-চাচা মাজারের মোতাওয়াল্লি খন্দকার শওকত আলী ও খন্দকার মোহাম্মদ আলী মাজার কমপ্লেক্সে গেলে দখলদার পরিচালনা কমিটি সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু ১২ এপ্রিল অবৈধ দখলদার সে কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দৌলার ভাড়াটে সন্ত্রাসী আমাকে জীম্মী করে মাজার কমপ্লেক্সের চাবী নিয়ে যায়। এরপর বর্তমান কমিটিকে অবৈধ দাবী করে আমরা গত ১৯ এপ্রিল শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছি।
মাজারের দানবাক্স লুটের বিষয়ে মিনহাজ উদ্দিন বলেন, দানবাক্স লুটপাটের কোন ঘটনা ঘটেনি। বরং ৭ এপ্রিল আমরা কমপ্লেক্সের দায়িত্ব নেয়ার পর মাজারের দানবাক্স খুলে সাত হাজার টাকা পাই। যা দিয়ে সেদিন এতিমখানার বাজার করা হয়েছে।
এদিকে ২০ এপ্রিল হযরত খাজা কালুশাহ্ (রহঃ) মাজার কমপ্লেক্স এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার সর্বত্র আতঙ্ক বিরাজ করছে। যে কোন সময় হামলা পাল্টা হামলার আশঙ্কাও করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে রবিবার চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দৌলা এবং মোতাওয়াল্লি দাবিদার খন্দকার শওকত আলী ও খন্দকার মোহাম্মদ আলী বরাবরে একটি লিখিত নোটিশ পাঠানো হয়। যাতে বিবাদমান উভয় পক্ষকে ওয়াকফ এস্টেটে জোর পূর্বক প্রবেশ করে দখল-বে-দখল থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানানো হয়। নোটিশের সত্যতা স্বীকার করেছেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মজিবুর রহমান।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, হযরত খাজা কালুশাহ্ রহঃ কমপ্লেক্স পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি আবু ছালেহ, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সেলিম আকবর, সলিমপুর বিএনপি সাবেক সভাপতি আবুল হাশেম, সলিমপুর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ আব্দুর রহিম, সীতাকুণ্ড তাতী দল নেতা শাহিদুর রহমান, হযরত খাজা কালুশাহ্ (রহঃ) সুন্নিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল কালামসহ এলাকাবাসী।
ডিএস//
ট্যাগ :

স্ত্রীসহ সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা

সীতাকুণ্ডে কালুশাহ্ কমপ্লেক্সের আধিপত্য নিয়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন 

প্রকাশিত : ০১:১২:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে হযরত খাজা কালুশাহ্ (রহঃ) কমপ্লেক্সের আধিপত্য নিয়ে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে বৈধ ও অবৈধ মোতাওয়াল্লি দাবী করে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। ফলে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে কোন মূহুর্তে এ দ্বন্দ্ব রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে। মাজারের বর্তমান কার্যকরী কমিটিকে অবৈধ দাবী করে খন্দকার শওকত আলী ও খন্দকার মোহাম্মদ আলী নিজেদেরকে বৈধ মোতাওয়াল্লি দাবী করায় এ দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। এ নিয়ে মাজার কমপ্লেক্স দখল ও পাল্টা দখলের ঘটনা ঘটেছে।
গত রবিবার সংবাদ সম্মেলনে বতমান কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দৌলা এক লিখিত বক্তব্যে দাবী করেন, ১৯৯৪ সাল থেকে ওয়াকফ প্রশাসনের অনুমোদনক্রমে কার্যকরী কমিটির মাধ্যমে হযরত খাজা কালুশাহ্ (রহঃ) মাজার কমপ্লেক্স পরিচালিত হয়ে আসছে। সর্বশেষ ২০২১ সালে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি করে ৩৯ সদস্যের কমিটি অনুমোদন দেয় ওয়াকফ প্রশাসন। সে আলোকে বর্তমানে হযরত খাজা কালুশাহ্ (রহঃ) মাজার কমপ্লেক্স পরিচালিত হয়ে আসছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে এ কমপ্লেক্সের অধীনে ৮টি প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে জামে মসজিদ, সুন্নিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা, লিল্লাহ বোর্ডিং-এতিমখানা, হেফজখানা, দাতব্য চিকিৎসালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ফোরকানিয়া মাদ্রাসা ও নুরানী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। কিন্তু একটি চক্র মাজারের নজরানার লোভে ‘কালুশাহ’ নামকে ‘কালু ফকির’ নামে বিকৃত করে তার ওয়ারিশ পরিচয়ে ভূয়া ওয়াকফ এস্টেট কমিটি গঠন করে। খন্দকার শওকত আলী ও খন্দকার মোহাম্মদ আলী সেই এস্টেটের মোতাওয়াল্লি সেজে হযরত খাজা কালুশাহ্ (রহঃ) মাজার কমপ্লেক্স দখলের পায়তারা করছে। তারা উভয়ে গত ৭ এপ্রিল খন্দকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মিনহাজ উদ্দিনসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং নিয়ে দেশীয় অস্তশস্ত্র সজ্জিত হয়ে মাজার কমপ্লেক্সে হামলা এবং দানবাক্স লুট করে। শুধু তাই নয় এক সপ্তাহ ধরে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা মাজার কমপ্লেক্সের অফিস ও মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলার সেমিনার কক্ষ দখল করে পবিত্র স্থানে ইয়াবা-গাঁজাসহ মাদক সেবনের আসর বসাতো। এতে তাদের আরো সহযোগীরা অংশগ্রহণ করতো। এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।
এদিকে মাজার কমপ্লেক্সের বর্তমান পরিচালনা কমিটিকে আওয়ামী লীগের দোসর ও দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করছেন মাজারের মোতাওয়াল্লি দাবিদার খন্দকার শওকত আলী ও খন্দকার মোহাম্মদ আলী। খন্দকার মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিনের দাবী আমার বাবা-চাচাই মাজারের বৈধ মোতাওয়াল্লি। এর স্বপক্ষে আমাদের কাছে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের রায় রয়েছে। কিন্তু আওয়ামী সরকারের এমপি আবুল কাশেম মাস্টার নিজ ক্ষমতাবলে ওয়াকফ প্রশাসন দিয়ে দুই বছরের জন্য একটি পরিচালনা কমিটি করিয়ে নেন। আওয়ামী সরকারের প্রভাব খাটিয়ে দেয়া ওই কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধি করে চলছে বর্তমান পরিচলানা কমিটি।
তিনি বলেন, গত ৭ এপ্রিল আমরা কোন সন্ত্রাসী নিয়ে মাজার কমপ্লেক্স দখল করতে যাইনি। বরং আমার বাবা-চাচা মাজারের মোতাওয়াল্লি খন্দকার শওকত আলী ও খন্দকার মোহাম্মদ আলী মাজার কমপ্লেক্সে গেলে দখলদার পরিচালনা কমিটি সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু ১২ এপ্রিল অবৈধ দখলদার সে কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দৌলার ভাড়াটে সন্ত্রাসী আমাকে জীম্মী করে মাজার কমপ্লেক্সের চাবী নিয়ে যায়। এরপর বর্তমান কমিটিকে অবৈধ দাবী করে আমরা গত ১৯ এপ্রিল শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছি।
মাজারের দানবাক্স লুটের বিষয়ে মিনহাজ উদ্দিন বলেন, দানবাক্স লুটপাটের কোন ঘটনা ঘটেনি। বরং ৭ এপ্রিল আমরা কমপ্লেক্সের দায়িত্ব নেয়ার পর মাজারের দানবাক্স খুলে সাত হাজার টাকা পাই। যা দিয়ে সেদিন এতিমখানার বাজার করা হয়েছে।
এদিকে ২০ এপ্রিল হযরত খাজা কালুশাহ্ (রহঃ) মাজার কমপ্লেক্স এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার সর্বত্র আতঙ্ক বিরাজ করছে। যে কোন সময় হামলা পাল্টা হামলার আশঙ্কাও করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে রবিবার চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দৌলা এবং মোতাওয়াল্লি দাবিদার খন্দকার শওকত আলী ও খন্দকার মোহাম্মদ আলী বরাবরে একটি লিখিত নোটিশ পাঠানো হয়। যাতে বিবাদমান উভয় পক্ষকে ওয়াকফ এস্টেটে জোর পূর্বক প্রবেশ করে দখল-বে-দখল থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানানো হয়। নোটিশের সত্যতা স্বীকার করেছেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মজিবুর রহমান।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, হযরত খাজা কালুশাহ্ রহঃ কমপ্লেক্স পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি আবু ছালেহ, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সেলিম আকবর, সলিমপুর বিএনপি সাবেক সভাপতি আবুল হাশেম, সলিমপুর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ আব্দুর রহিম, সীতাকুণ্ড তাতী দল নেতা শাহিদুর রহমান, হযরত খাজা কালুশাহ্ (রহঃ) সুন্নিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল কালামসহ এলাকাবাসী।
ডিএস//