০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

কালবৈশাখীর তাণ্ডব অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশু প্রাণে বাঁচলেন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

নীলফামারী জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের হাজিপাড়া এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে সুজা সরকারের পরিবারের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে এক ভয়াবহ রাত।

হাজিপাড়ার বাসিন্দা সুজা সরকারের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শরমলি বেগম তার ৬ বছর বয়সী কন্যা শিশুকে নিয়ে রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ রাত ৩টার দিকে তারা টের পান বাইরে প্রচন্ড ঝড় বইছে। ঘুম ভাঙার পরপরই আকস্মিকভাবে বাড়ির পাশে থাকা একটি বিশাল জাম গাছের ডাল ভেঙে তাদের ঘরের ওপর পড়ে।

এই আকস্মিক ঘটনায় মা ও মেয়ে ঘরের ভেতরে আটকা পড়েন। তাদের চিৎকারে আশেপাশের প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। ঝড় কিছুটা কমলে এলাকাবাসী দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করেন এবং শরমলি বেগম ও তার মেয়েকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হন।

তবে ঝড়ে শরমলি বেগমের ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘরের ভেতরে থাকা টিভি খাটসহ প্রায় সকল আসবাবপত্র ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক দুই লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। শরমলি বেগমের স্বামী বর্তমানে বাড়ির বাইরে অবস্থান করছেন।

এই আকস্মিক দুর্যোগে পরিবারটি এখন দিশেহারা। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত শরমলি বেগম।

এ বিষয়ে নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন আমাদের পক্ষ থেকে তাকে সহযোগিতা করা হবে।

ডিএস./

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

গায়ের জোরে নগর ভবন বন্ধ করে আন্দোলন করছে বিএনপি : উপদেষ্টা আসিফ

কালবৈশাখীর তাণ্ডব অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশু প্রাণে বাঁচলেন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশিত : ০৪:৫২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

নীলফামারী জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের হাজিপাড়া এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে সুজা সরকারের পরিবারের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে এক ভয়াবহ রাত।

হাজিপাড়ার বাসিন্দা সুজা সরকারের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শরমলি বেগম তার ৬ বছর বয়সী কন্যা শিশুকে নিয়ে রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ রাত ৩টার দিকে তারা টের পান বাইরে প্রচন্ড ঝড় বইছে। ঘুম ভাঙার পরপরই আকস্মিকভাবে বাড়ির পাশে থাকা একটি বিশাল জাম গাছের ডাল ভেঙে তাদের ঘরের ওপর পড়ে।

এই আকস্মিক ঘটনায় মা ও মেয়ে ঘরের ভেতরে আটকা পড়েন। তাদের চিৎকারে আশেপাশের প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। ঝড় কিছুটা কমলে এলাকাবাসী দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করেন এবং শরমলি বেগম ও তার মেয়েকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হন।

তবে ঝড়ে শরমলি বেগমের ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘরের ভেতরে থাকা টিভি খাটসহ প্রায় সকল আসবাবপত্র ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক দুই লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। শরমলি বেগমের স্বামী বর্তমানে বাড়ির বাইরে অবস্থান করছেন।

এই আকস্মিক দুর্যোগে পরিবারটি এখন দিশেহারা। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত শরমলি বেগম।

এ বিষয়ে নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন আমাদের পক্ষ থেকে তাকে সহযোগিতা করা হবে।

ডিএস./