যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েও গাজায় ফের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সেনারা। বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গাজার বেইত লাহিয়া এলাকায় চালানো এই হামলায় অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল-শিফা হাসপাতাল। ইসরায়েলি সেনারা বলছে, তারা ‘অবিলম্বে হুমকি সৃষ্টি করা’ অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
এই হামলা গাজার ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতিকে নতুন করে অনিশ্চয়তায় ফেলেছে। মঙ্গলবার রাতে শুরু হওয়া ব্যাপক বোমাবর্ষণ ছিল যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ।
মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ‘প্রতিশোধমূলক শক্তিশালী হামলার’ নির্দেশ দেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অন্তত ১০৪ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
ইসরায়েলের দাবি, তাদের হামলায় হামাসের বেশ কিছু নেতা নিহত হয়েছেন। এরপর তারা বুধবার দুপুরে আবারও যুদ্ধবিরতিতে ফেরার ঘোষণা দেয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, যুদ্ধবিরতি কোনোভাবেই বিপদের মুখে নয়।
তবে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার জানায়, তারা পরিস্থিতিতে হতাশ হলেও, যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ বিশেষত হামাসের নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে কাজ অব্যাহত রাখছে।
জাতিসংঘের সতর্কবার্তা
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্তেফান দুজারিক বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অসংখ্য সাধারণ মানুষের মৃত্যুতে মহাসচিব গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকারর তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, এত মানুষের মৃত্যু ভয়াবহ। শান্তি যেন আমাদের হাতছাড়া না হয়।
যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নও ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতিতে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে।
হামাস দাবি করেছে, রাফাহ শহরে ইসরায়েলি সেনা হত্যার ঘটনায় তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং তারা যুদ্ধবিরতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক লঙ্ঘনের কারণে তারা এক বন্দির মৃতদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে।
সূত্র: আল-জাজিরা
ডিএস./




















