০৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

ফরিদপুর জেলা আ”লীগের সভাপতি,যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যগ্রেফতার,পুলিশের প্রেস ব্রিফিং

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ ফারুক হোসেন ওরফে বোম্ব ফারুকে গ্রেফতারের বিষয়ে জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ ‌ মঙ্গলবার সকাল ১১ টার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করা হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ‌ বিভিন্ন তথ্য প্রদান করেন ‌ পুলিশ সুপার ‌ মোঃ আব্দুল জলিল।

তিনি জানায় গত ৯ নভেম্বর ‌ সকাল ৬টার সময় ফরিদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে রাস্তার উপর ১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগের ডাকা সাড়াদেশে ‌ লকডাউন সহ বাংলাদেশকে অচল করার লক্ষে আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সমর্থনকারী/ কর্মীরা এবং আওয়ামী লীগের অন্যান্য অঙ্গ সংঘঠনের নেতাকর্মীরা দেশের অভ্যন্তরে অরাজকতা, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, সরকারের বিপক্ষে নানা ধরনের উষ্কানিমূলক স্লোগান দেওয়ার জন্য একত্রিত হয়ে বর্তমান সরকারকে উৎখাত, রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি, জন নিরাপত্তা বিপন্ন করা, জনমনে ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টির ষড়যন্ত্র ও প্রচেষ্টা করে।

এই ষড়যন্ত্রের মূল পরিকল্পনাকারী এবং অর্থ যোগানদাতার অভিযোগে মোঃ ফারুক হোসেন ওরফে বোম্ব ফারুকে গতকাল সোমবার ‌ সন্ধ্যা অনুমান ৬টার দিকে কোতয়ালী থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে সদর থানা ফ্ল্যাট নং-এ-১, (১০ম তলা), নূরজাহান টাওয়ার, ঝিলটুলী, থেকে গ্রেফতার করে। অপর দিকে জেলা যুব মহিলালীগ), (আহবায়ক কমিটির সদস্য নাসরিন আক্তার (২৮) কে সাং-২নং কুঠিবাড়ী, বেলকলোনী সংলগ্ন হতে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে মোঃ ফারুক হোসেন জানায়, আগামী ১৩ নভেম্বর ‌ তারিখে আওয়ামী লীগের ডাকা ঢাকা লকডাউন কর্মসূচিকে সফল করার জন্য ফরিদপুর-৪
আসনের সাবেক এমপি মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী তাকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছে এবং উক্ত টাকার মধ্যে ৪ লক্ষ টাকা মোঃ ফারুক হোসেন ওরফে বোম্ব ফারুক ইতঃমধ্যে একজন ব্যক্তিকে প্রদান করেছে।এছাড়া সে বিভিন্ন সময়ে দলীয় প্রোগ্রাম করার জন্য বিকাশে তার দলীয় লোকজনকে অর্থ প্রেরন করেছছে বলে জানায়।তার মোবাইল ফোনে পর্যালোচনা করে ঢাকা লকডাউনকে সফল করার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে তথ্য আদান-প্রদান করেছে তথ্য পাওয়া যায়।

গ্রেফতারকৃত ‌ আসামী মো: ফারুক হোসেন ওরফে বোম্ব ফারুক ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল।

সে ১৯৮১ সালে সরকারী ইয়াছিন কলেজের ভিপি ছিল। ১৯৮২ সালে সে জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারী এবং পরবর্তীতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিল। এরপর সে যুবলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয় এবং জেলা যুবলীগের সেক্রেটারী ও সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে। সে ২০১২ সাল হতে ২০২১ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিল। অতপর ২০২১ সাল হতে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে। ৫ই আগষ্ট ২০২৪ পরবর্তী সময়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের অনুপস্থিতিতে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দায়িত্ব পালন করছে।

সে সরকারী ইয়াছিন কলেজে ভিপি থাকাকালীন হরতালের সময় বোমা বিস্ফোরন ঘটাতে গিয়ে তার হাতে মধ্যেই বোমা বিস্ফোরিত হলে তার বাম হাতে মধ্যমা আঙ্গুল বিছিন্ন হয়ে যায়। সে সড়ক ও জনপথ বিভাগে ঠিকাদারের কাজ করলেও রর্তমানে সে কিছু করছে না। সে বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করে এবং তার উক্ত ঠিকানা সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তার বিরুদ্ধে ইতঃপূর্বে ৬ টি মামলা রুজু হয়েছে।

ডিএস,.

ট্যাগ :

বকেয়া পরিশোধের আশ্বাসে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখল আদানি

ফরিদপুর জেলা আ”লীগের সভাপতি,যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যগ্রেফতার,পুলিশের প্রেস ব্রিফিং

প্রকাশিত : ০৪:৩০:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ ফারুক হোসেন ওরফে বোম্ব ফারুকে গ্রেফতারের বিষয়ে জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ ‌ মঙ্গলবার সকাল ১১ টার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করা হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ‌ বিভিন্ন তথ্য প্রদান করেন ‌ পুলিশ সুপার ‌ মোঃ আব্দুল জলিল।

তিনি জানায় গত ৯ নভেম্বর ‌ সকাল ৬টার সময় ফরিদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে রাস্তার উপর ১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগের ডাকা সাড়াদেশে ‌ লকডাউন সহ বাংলাদেশকে অচল করার লক্ষে আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সমর্থনকারী/ কর্মীরা এবং আওয়ামী লীগের অন্যান্য অঙ্গ সংঘঠনের নেতাকর্মীরা দেশের অভ্যন্তরে অরাজকতা, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, সরকারের বিপক্ষে নানা ধরনের উষ্কানিমূলক স্লোগান দেওয়ার জন্য একত্রিত হয়ে বর্তমান সরকারকে উৎখাত, রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি, জন নিরাপত্তা বিপন্ন করা, জনমনে ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টির ষড়যন্ত্র ও প্রচেষ্টা করে।

এই ষড়যন্ত্রের মূল পরিকল্পনাকারী এবং অর্থ যোগানদাতার অভিযোগে মোঃ ফারুক হোসেন ওরফে বোম্ব ফারুকে গতকাল সোমবার ‌ সন্ধ্যা অনুমান ৬টার দিকে কোতয়ালী থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে সদর থানা ফ্ল্যাট নং-এ-১, (১০ম তলা), নূরজাহান টাওয়ার, ঝিলটুলী, থেকে গ্রেফতার করে। অপর দিকে জেলা যুব মহিলালীগ), (আহবায়ক কমিটির সদস্য নাসরিন আক্তার (২৮) কে সাং-২নং কুঠিবাড়ী, বেলকলোনী সংলগ্ন হতে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে মোঃ ফারুক হোসেন জানায়, আগামী ১৩ নভেম্বর ‌ তারিখে আওয়ামী লীগের ডাকা ঢাকা লকডাউন কর্মসূচিকে সফল করার জন্য ফরিদপুর-৪
আসনের সাবেক এমপি মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী তাকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছে এবং উক্ত টাকার মধ্যে ৪ লক্ষ টাকা মোঃ ফারুক হোসেন ওরফে বোম্ব ফারুক ইতঃমধ্যে একজন ব্যক্তিকে প্রদান করেছে।এছাড়া সে বিভিন্ন সময়ে দলীয় প্রোগ্রাম করার জন্য বিকাশে তার দলীয় লোকজনকে অর্থ প্রেরন করেছছে বলে জানায়।তার মোবাইল ফোনে পর্যালোচনা করে ঢাকা লকডাউনকে সফল করার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে তথ্য আদান-প্রদান করেছে তথ্য পাওয়া যায়।

গ্রেফতারকৃত ‌ আসামী মো: ফারুক হোসেন ওরফে বোম্ব ফারুক ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল।

সে ১৯৮১ সালে সরকারী ইয়াছিন কলেজের ভিপি ছিল। ১৯৮২ সালে সে জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারী এবং পরবর্তীতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিল। এরপর সে যুবলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয় এবং জেলা যুবলীগের সেক্রেটারী ও সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে। সে ২০১২ সাল হতে ২০২১ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিল। অতপর ২০২১ সাল হতে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে। ৫ই আগষ্ট ২০২৪ পরবর্তী সময়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের অনুপস্থিতিতে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দায়িত্ব পালন করছে।

সে সরকারী ইয়াছিন কলেজে ভিপি থাকাকালীন হরতালের সময় বোমা বিস্ফোরন ঘটাতে গিয়ে তার হাতে মধ্যেই বোমা বিস্ফোরিত হলে তার বাম হাতে মধ্যমা আঙ্গুল বিছিন্ন হয়ে যায়। সে সড়ক ও জনপথ বিভাগে ঠিকাদারের কাজ করলেও রর্তমানে সে কিছু করছে না। সে বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করে এবং তার উক্ত ঠিকানা সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তার বিরুদ্ধে ইতঃপূর্বে ৬ টি মামলা রুজু হয়েছে।

ডিএস,.