সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের চর হরিপুর গ্রামে এক ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় মালয়েশিয়া প্রবাসী ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী পলি খাতুন (২৫ সেপ্টেম্বর) সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ (এজাহার) দায়ের করেন। এরপর থেকে প্রতি রাতেই হুমকি দিয়ে আসছে, জাকারিয়া গং।
এসময় ভুক্তভোগী পলি খাতুন জানান, গত দেড় মাস ধরে প্রায় রাতেই জাকারিয়া, কামাল , খোকনসহ একাধিক ব্যক্তি মেরে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। এসময় তারা উল্টো মামলা করার হুমকি দিয়ে আসছে। এ সময় ভুক্তভোগী পলি জানান , নতুন করে যারা হুমকি দিচ্ছে তাদের বিষয়ে পুলিশকে তথ্য দিয়েও কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না। এসময় এই সাংবাদিকদের হাতে আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে।
এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোখলেসুর রহমান জানান, “ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও শনাক্ত করা গেছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাদেরও গ্রেফতার করা হবে।
উল্লেখ্য যে, গত ২০ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে হাত-পা বেঁধে প্রায় ১১ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় ভুক্তভোগী পলি খাতুন, মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘরে পলি খাতুন একা ছিলেন। সেই সুযোগে একই গ্রামের জাহিদ, খোকন, নাজমুলসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন দুর্বৃত্ত বাড়ির গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা ঘরে থাকা পলি খাতুনকে ধারালো ছুরি দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর তারা ঘরে থাকা ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৮০ হাজার টাকা, মোবাইল সহ আনুমানিক ১১ লাখ টাকার সম্পদ লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে যাওয়ার আগে ডাকাতরা ভুক্তভোগীকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরবর্তীতে তিনি ২৫ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ (এজাহার) দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে জাহিদ ও নাজমুলকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। তবে মামলার অন্যান্য আসামিরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
ভুক্তভোগী পলি খাতুন অভিযোগ করে বলেন, “ডাকাতির পর থেকেই বাকি আসামিরা ও তাদের স্বজনরা প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে। রাতে এসে ভয় দেখাচ্ছে যেন মামলা তুলে নিই। আমরা এখন ভয়ে ঘুমাতে পারছি না।
ডিএস./



















